শ্রীমতি দয়ারূপা শচীদেবী দাসী

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২২ | ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৮ মে ২০২২ | ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 190 বার দেখা হয়েছে

শ্রীমতি দয়ারূপা শচীদেবী দাসী

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক, কেননা এটি আমাদের একটি শ্লোকের মধ্যে বর্ণনা করছে যে, জড়জাগতিক জীবনটি প্রকৃতপক্ষে কি, এবং ভগবদ্ভক্তিতে পূর্ণতা লাভ করা বা পারমার্থিক সিদ্ধি লাভ করা বলতে আসলে কি বোঝায়। এখানে নারদ মুনি তাঁর জড় দেহ ত্যাগ করছেন, এবং একটি চিন্ময় পারমার্থিক দেহ লাভ করতে চলেছেন। ভা: ১/৬/২৭ শ্লোকে বলেন- হে ব্রাহ্মণ ব্যাসদেব, আমি যখন শ্রীকৃষ্ণের চিন্তায় সম্পূর্ণরূপে মগ্ন হয়েছিলাম, তখন আমার আর কোন আসক্তি ছিল না। সব রকমের জড় কলুষ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে আমার মৃত্যু হয়েছিল, ঠিক যেভাবে তড়িৎ এবং আলোক যুগপৎভাবে দেখা যায়। এটি অত্যন্ত চমৎকার একটি ব্যাপার যে, ভগবান নারদ মুনিকে একটি চিন্ময় দেহ প্রদান করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে দেহে নারদ মুনি ভগবানের সঙ্গ করতে পারবেন। আর ভগবান নারদ মুনিকে যথাযথ সময়ে একটি অপ্রাকৃত দেহ প্রদান করেছেন। আমাদের জড় দেহ ও চিন্ময় দেহের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে, তা এক নয়। জড় দেহটি বিভিন্নভাবে উপদ্রুত। চিন্ময় দেহটি বিভিন্ন গুণাবলীর দ্বারা বিভূষিত। চিন্ময় দেহ হচ্ছে নিত্য, যেস্থলে জড় দেহটি হলো অনিত্য। জড়দেহ চিরকাল জীবিত থাকে না। কোনো না কোনো সময় আমরা এই জড়দেহ ত্যাগ করতে বাধ্য হই। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ২/১৬-১৭: যাঁরা তত্ত্বদ্রষ্টা তাঁরা সিদ্ধান্ত করেছেন যে অনিত্য জড় বস্তুর স্থায়িত্ব নেই এবং নিত্য বস্তু আত্মার কখনও বিনাশ হয় না। তাঁরা উভয় প্রকৃতির যথার্থ স্বরূপ উপলব্ধি করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। যা সমগ্র শরীরে পরিব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে, তাকে তুমি অবিনাশী বলে জানবে। সেই অব্যয় আত্মাকে কেউ বিনাশ করতে সক্ষম নয়। সাধারণত যদি কোনো ব্যক্তি রোগ নিরাময় করতে পারে তা হলে একজন খুব আধ্যাত্মিক ব্যক্তি বলে গণ্য করা হয়।
তাকে যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কারও রোগ নিরাময় করতে পারে, তা হলে সাধারণ লোকেরা তাকে পূজা করে। সাধারণত যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কারও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বলতে পারে কিংবা কারও রোগ নিরাময় করতে পারে, তা হলে তাকে খুব মহান বলে গণ্য করা হয়। প্রকৃতপক্ষে আপনারা দেখতে পাবেন যে, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রায়ই এটি করেন; এটি তাদের একটি অতিরিক্ত কার্য। তাঁরা হয় লোকদের ভবিষ্যৎ বলেন কিংবা যে সমস্ত লোক তাঁদের কাছে একটি সৌভাগ্যবান লটারি সংখ্যার জন্য যায় তাদের একটি সৌভাগ্য সংখ্যা প্রদান করেন। থাইল্যান্ডে এই সৌভাগ্যের লটারি সংখ্যাটি পাওয়া খুবই জনপ্রিয় ব্যাপার; সেখানকার লোকেরা প্রায়ই আমাদের কাছে আসে এবং আমাদের কাছেও এই ধরনের সৌভাগ্যের লটারি সংখ্যা জানতে চায়। আর কেউ যদি এই সৌভাগ্য প্রদান করতে পারে তা হলে সেই অনুসন্ধানকারীরা খুবই সন্তুষ্ট হয়। জনসাধারণের মধ্যে প্রচলিত ধারণাটি হচ্ছে এইরকম যে, একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তির উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, তিনি জনসাধারণকে একটি সৌভাগ্যের সংখ্যা প্রদান করবেন যেন তারা লটারিতে জিততে পারে কিংবা তাদের রোগ নিরাময় হতে পারে। কিন্তু শ্রীমদ্ভাগবতের এই অধ্যায় থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, আমরা যে দেহটির জন্য এই সমস্ত ইচ্ছা করছি তা হচ্ছে অনিত্য এবং তার জন্য মৃত্যু প্রতীক্ষা করছে।
কোনো ব্যক্তি এই ধরনের দাবী করতে পারে না যে, কোনো একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তির আশীর্বাদে এই জড় দেহটি যুগ যুগান্তর ধরে আজ পর্যন্ত বেঁচে আছে। জড় বিজ্ঞান কিংবা কোনো আধ্যাত্মিক ব্যক্তির আশীর্বাদের দ্বারাই অথবা অন্য কোনো পন্থায় কেউই এটিকে চিরতরের জন্য স্থায়ী করতে পারবে না। এটি প্রথম বিষয়। নারদ মুনি যে চিন্ময় দেহ পাবেন সেটি হবে নিত্য। এটি কখনও মৃত হয় না। সেই জন্য এটি অগ্নির মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করতে পারে, এটি সূর্য বা চন্দ্রলোকে বিচরণ করতে পারে, এমনকি প্রকৃতপক্ষে এটি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে এবং তারও ঊর্ধ্বে বিচরণ করতে পারে।
আত্মার জন্য মহাকাশের পোশাকের প্রয়োজন নেই, ঠিক যেমন যে সমস্ত লোকেরা জড় দেহে আবদ্ধ আছে তাদের যদি মহাকাশে বিচরণ করতে হয়, তাহলে তাদের মহাকাশের পোশাক পরিধান করতে হবে, যা ছাড়া তারা এক মুহূর্তের মধ্যেই মৃত্যু বরণ করবে, কেননা সেখানকার আবহাওয়াটি মানুষের জন্য অনুপযোগী। কিন্তু আত্মার কোনো অক্সিজেন বা কোনো মহাকাশের পোশাক প্রয়োজন নেই। এই কারণে আত্মা সর্বত্র বিচরণ করতে পারে। নারদ মুনি যে দেহটি পেতে চলেছেন সেটি এবং জড় দেহের মধ্যে প্রথম পার্থক্যটি হলো, এদের প্রথমটি নিত্য, কিন্তু পরবর্তীটি অনিত্য। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর একটি অত্যন্ত চমৎকার লীলা রয়েছে, যার মাধ্যমে এটি চিত্রিত হয় যে, আত্মা কিভাবে মৃত্যুহীন ও নিত্য?
একদা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শ্রীবাস ঠাকুরের গৃহে গিয়েছিলেন এবং তাঁর অঙ্গনে কীর্তন করছিলেন, শ্রীবাস ঠাকুরের পুত্র গৃহাভ্যন্তরেই ছিল, সে হঠাৎ করে মৃত্যুবরণ করল। সমস্ত মহিলা বিলাপ করতে লাগলেন। এই কোলাহল শুনে শ্রীবাস ঠাকুর গৃহাভ্যন্তরে কি হয়েছে তা দেখার জন্য ছুটে গেলেন। শ্রীবাস ঠাকুরকে দেখে সমস্ত মহিলা আরও উচ্চস্বরে ক্রন্দন করে বলতে লাগলেন,” ওহ! তোমার পুত্র মৃত্যুবরণ করেছে! সে আর নেই।!” একজন সাধারণ মানুষের মতো নিজেও পরিতাপ করার পরিবর্তে শ্রীবাস ঠাকুর শান্তভাবে বললেন, “ক্রন্দন বন্ধ করো। “তোমরা কেন বিলাপ করছ? আমাদের পুত্র চৈতন্য-মহাপ্রভুর কীর্তন চলাকালীন দেহত্যাগ করেছে। এর অর্থ হচ্ছে সে একটি দিব্য-শরীর লাভ করতে চলেছে। তোমরা ক্রন্দন করে বাইরে অনুষ্ঠিত কীর্তনে ব্যাঘাত ঘটাবে না।” কিন্তু গৃহের মহিলাগণ এত সহজে ক্রন্দন থামাতে রাজি হলেন না। তখন শ্রীবাস ঠাকুর বললেন, “যদি তোমরা ক্রন্দন না থামাও, আমি গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করব। তখন তোমরা আমার ও আমার এই পুত্র উভয়েরই মৃতদেহের পাশে বসে ক্রন্দন করবে।” এই কথায় মহিলারা ভয়ে চুপ হলেন।
এরপর শ্রীবাস ঠাকুর পুনরায় আঙ্গিনায় গিয়ে অন্য ভক্তদের সাথে এমনভাবে নৃত্য করতে শুরু করলেন, যেন গৃহে কিছুই হয়নি। অবশ্যই, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যিনি সকলের হৃদয়ে অবস্থান করছেন, তিনি জানতেন গৃহে কি হচ্ছিল। মহাপ্রভুর কীর্তনে শ্রীবাস কোনো বাধা দেননি। দিব্যানন্দে সেদিন রাতব্যাপী কীর্তন হয়েছিল! ভোরে মহাপ্রভু বললেন, “আমার মন বলছে শ্রীবাসের গৃহে কিছু ঘটেছে। কেউ কি জানে ব্যাপারটি কি? “শ্রীবাস ঠাকুরের পুত্র মৃত্যুবরণ করেছে!” “কখন সে মৃত্যুবরণ করল?” “গতকাল সন্ধ্যায়, আমাদের কীর্তন চলাকালীন।” “কেন আমাকে কেউ কিছু বলেনি?” শ্রীবাস ঠাকুর তখন বললেন, “প্রভু, আপনার কীর্তনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে চাইনি।”
মহাপ্রভু তখন বললেন, “এত বড় এক ব্যাপার ঘটে গেল আর কীর্তনে ব্যাঘাত ঘটবে বলে তুমি আমাকে এটি জানালে না? শ্রীবাস ঠাকুর পুনরায় বললেন, “আমি মনে করেছিলাম কীর্তনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা ঠিক হবে না, কেননা যার মৃত্যু হয়েছে তাঁর দেহ নিয়ে কোনো কিছু করা অসম্ভব। তাই আমি আপনাকে না জানিয়ে, আপনার কীর্তন উপভোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে চাই নি।”
মহাপ্রভু তখন শ্রীবাস ঠাকুরকে আলিঙ্গন করে বললেন, “তুমি অনেক মহান! কিভাবে আমি তোমার সঙ্গ ত্যাগ করব? তোমার পুত্র মৃত্যু সংবাদেও তুমি এতটাই নির্লিপ্ত যে, তুমি চিন্তা করছ কিভাবে তুমি আমাকে সন্তুষ্ট করতে পার।” শ্রীবাস ঠাকুর মহাপ্রভুর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে দিব্য আনন্দে নীরব রইলেন। আলিঙ্গন মুক্ত করে মহাপ্রভু অন্যান্য ভক্তদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “শ্রীবাস পুত্রের মৃতদেহ কোথায়?” তখন মৃতদেহটি আঙ্গিনায় নিয়ে আসা হলো।
মহাপ্রভু শ্রীবাসের পুত্রকে বললেন, “কেন তুমি তোমার পিতা-মাতাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছ?” সকলের বিস্ময় উৎপন্ন করে শ্রীবাস ঠাকুরের পুত্র উঠে মহাপ্রভুকে প্রণতি নিবেদন করল। অবিশ^াস্যভাবে বালকটি কথা বলতে শুরু করলে ঘিরে দাঁড়ানো ব্যক্তিরা আশ্চর্য হলো। যদি শ্রীবাসের পুত্র মৃত হয়, তবে সে কিভাবে কথা বলছে? সে একজন জীবাত্মা বা (চিন্ময় আত্মা) রূপে কথা বলছিল। মহাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন তুমি তোমার পিতাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছ?”
“কোন্ পিতা? এ পর্যন্ত আমার অনেক পিতা ছিল।”
“শ্রীবাস হলেন তোমার পিতা।”
“তিনি কেবলমাত্র এই জন্মে আমার পিতা হয়েছেন। অবশ্যই, হে প্রভু আপনার ইচ্ছতেই আমি দেহত্যাগ করেছি। আপনার কৃপায় আমি শ্রীবাস ঠাকুরের মতো একজন মহান ভক্তের পুত্র রূপে জন্মগ্রহণ করে আপনি ও আপনার পার্ষদগণের সঙ্গ করতে পেরেছি এবং আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আমাকে এই দেহটি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। আমি আপনার কাছে কেবল এটি প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে কৃপা করুন, যেন আমি এই সৌভাগ্য লাভ করতে পারি যে, আমি আপনার শুদ্ধ ভক্ত এবং আপনার সেবা করতে পারি।”
ভক্ত এবং ভগবানের মধ্যে এই বার্তালাপটি একটু থামিয়ে মহাপ্রভু সবার দিকে তাকিয়ে দেখলেন সকলে আনন্দিত, তাঁরা সকলেই এখন বুঝতে পেরেছেন যে, শ্রীবাসের পুত্র যদিও তাঁদের মধ্যে আর নেই, সে মহাপ্রভুর আশ্রয়ে তার ক্রমাগত যাত্রাপথে এগিয়ে চলেছে এবং সেইজন্য বিলাপ অহেতুক। তখন মহাপ্রভু বললেন, “ঠিক আছে।” এই লীলা চৈতন্য ভাগবতের মধ্যখন্ডে ২৫ অধ্যায়ে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের ব্যাখ্যাসহ বর্ণিত রয়েছে, যার মধ্যে একই লীলার উপরে শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের একখানি সংগীত যুক্ত আছে।
আত্মার নিত্য স্বভাব এবং ভগবানের ইচ্ছা সম্বন্ধে কথা বলার পর শ্রীবাস ঠাকুরের পুত্র ঠিক একইভাবে বর্তমান দেহ ত্যাগ করে চলে গেল। শ্রীবাস ঠাকুর নির্লিপ্ত ছিলেন। তিনি মহাপ্রভুকে অনুরোধ পর্যন্ত করলেন না যে, তিনি যেন তাঁর পুত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে দেন, কেননা তিনি জানতেন যে, যদিও কাউকে পুনরুজ্জীবিত করা হয় সে কেবলমাত্র আর কিছু বেশী সময় বাঁচতে পারবে, মৃত্যু সকলের জন্য অবধারিত। এই জড় দেহে কেউই অমর নয়।
যেমন কেউ যদি একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে এবং যদি একটি বিজ্ঞপ্তি পায় যে তাকে এক মাসের মধ্যে বাড়িটি ত্যাগ করতে হবে। সে হয়তো জমিদার থেকে অনুরোধ করে সময় নিতে পারে। কিন্তু সেটি ক্ষণস্থায়ী। তাকে দ্রুত আরেকটি বাসা খুঁজে পেতে হবে। কারও এমন করা উচিত নয় যে, সেই একই বাড়িতে দীর্ঘস্থায়ী থাকার চেষ্টা করা। সে যদি তা করে তবে তাকে বলপূর্বক উচ্ছেদ করা হবে।
আমরা প্রত্যেকেই এই জড় দেহে আরও কিছুকাল থাকার জন্য ব্যস্ত আছি। কেউই চিন্তা করছে না যে, একদিন আমাদেরও এই দেহ থেকে উচ্ছেদ করা হবে। এই ব্যাপারে কারও আমাদের পরবর্তী গন্তব্য সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না।


 

চৈতন্য সন্দেশ  মে- ২০২২ প্রকাশিত
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।