যুুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেঁচে থাকার গল্প

প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২২ | ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২২ | ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 195 বার দেখা হয়েছে

যুুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেঁচে থাকার গল্প

ভক্তরা ইউক্রেন থেকে বের হতে পেরেছিল গ্রীনলাইট লাইট সেইফ প্যাসেজ দিয়ে।
প্রায় পঞ্চাশ জন সাবধানতার সাথে মারিউপোল থেকে আজকে পালিয়ে এসেছে। গতকাল প্রায় ১৮ জন পালিয়ে এসেছে।
কৃষ্ণ আমরা পৌঁছে গিয়েছি। তাই আমরা আপনাদের বার্তা পাঠাতে পারছি। গুরুদেব, মা এবং অন্যান্য সব ভক্তদের আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং তাদের চরণে প্রণাম নিবেদন করছি কেননা শুধুমাত্র তাদেরকেই আমরা আজ এই কঠিন পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে এসেছে। এটি ছিল ভয়ঙ্কর একটি যুদ্ধে যুদ্ধ সিনেমা বা ভূতের সিনেমা। সেখান থেকে বের হয়ে কাছের একটি শহরে গিয়েছি। কিন্তু সেখানে আমরা শুধুমাত্র এক রাত্রি যাপন করি আবার গাড়ি দিয়ে যাত্রা শুরু করি কেননা এটি ছিল খুবই কঠিন পরিস্থিতি। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা যাচ্ছিল না কেননা বিদ্যুৎ সংযোগ সব সময় থাকে না। আমরা চিন্তা করছিলাম এরপর কোথায় যাওয়া যায়। আগামীকালের খবর দেখতাম। বাচ্চারা ভালো ছিল এবং তারা তাদের আমরা প্রসাদ দিয়ে খাইয়েছিলাম। কৃষ্ণ খুবই করুণাময় এবং তিনি আমাদের রক্ষা করেছিলেন। আমরা খুবই চিন্তিত ছিলাম। এদের অনেক আত্মীয়-স্বজন সেখানে যায় এবং অন্যান্য ভক্তরাও সে জায়গায় আসে। সব ভক্তরাই চলে যান না কিছু কিছু ভক্ত আগামীকাল যাবার জন্য অপেক্ষা করে। আমরা তাদের জন্য প্রার্থনা করি।
বিষ্ণু চরণ দাস তার সহধর্মিণী মধুরেক্ষনা দেবী দাসী এবং তার ছোট ছেলে বেণুগোপাল কিভ এর কুরেননিভকা যেখানে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাগুলো হয়। তাদের ছোট বাচ্চার এক বছরও হয়নি। তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো পিজা এবং সমুচা প্রসাদ বানিয়ে। তারা কিভ মন্দিরে সংকীর্তন ও সেবা করেন এবং এই দুঃসময়ে যুদ্ধকালীন কেননা তারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয়ে গিয়েছে এবং কোন কাজই করতে পারছে না। ধন্যবাদ অনুদানের জন্য যার দ্বারা তারা কিভ পরিত্যাগ করে ইউক্রেনের পশ্চিমভাগে যায়। তারা ট্রেনের মাধ্যমে যায় এবং তাদের ১১ ঘণ্টা ব্যাগে শহর পরিত্যাগ করতে। মনসব ভাব ধরে চলে আসে তাদের সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। মিলিটারিরা কিছুদিন পর আসে এবং ডকুমেন্টগুলো দেখে। এরপর বিষ্ণুচরণ দাস সেই ডকুমেন্টগুলো মিলিটারি অফিসে পাঠান এবং সেখান থেকে নির্দেশনা আসার জন্য তার অপেক্ষা করছে। মধুরেক্ষনা দেবী দাসী তার বাচ্চা নিয়ে প্রায় একলা হয়ে গিয়েছিল এবং যে অনুদান তারা পেয়েছিল তারা তারা তার বাচ্চার বিভিন্ন খরচ তারা করবেন। বিষ্ণুচরন দাস মিলিটারি অফিসে আছেন কিন্তু সে সেখান থেকে কোন খবর এখনো আসেনি। গোলক নন্দিনী দেবী দাসী তার শশুর মেয়ে সতী’ এবং ছোট মেয়ে রাসলীলা নোভা কাকহোবকা বাস করেন। প্রথম দিনের যুদ্ধে প্রায় রাতে ৩ টায় তাদের শহর লুটপাট ও ধ্বংস শুরু হয়ে যায়।
অনেক ইউক্রেরিয়ান মিলিটারি সে শহরটিতে ছিল এবং তারা শহরটি পরিত্যাগ করে চলে যায়। সেই সময় থেকে শহরটি একটি ব্লক এর মধ্যে রয়েছে সেখানে খাদ্য অভাব চিকিৎসার অভাব ওষুধের অভাব জ্বালানির অভাব এবং প্রাত্যহিক জীবনে জিনিসপত্রগুলো প্রয়োজন সবকিছুই অভাব ছিল। গোলক নন্দিনী দেবী দাসী এখন কোন কাজই করতে পারছে না তাদের পরিবারকে চালানোর জন্য এবং দিনের পর দিন তারা আরো খারাপ পরিস্থিতিতে যাচ্ছে। তার কন্যা সতী শারীরিক সমস্যা রয়েছে এবং তার সব সময় ওষুধের প্রয়োজন রয়েছে তার থেকেও বেশি হল গ্যাস হিটার নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং বাহিরে তাপমাত্রা ছিল ০ সেলসিয়াস। গোলক নন্দিনী মন্তব্য করেছেন এই আর্থিক সাহায্য তাদের মানসিকভাবে ও সাহায্য করেছে। তারা আর পরিত্যক্ত বা ভীত বোধ করে না। এখন তাদের আশা এবং কিছুটা নিরাপত্তার অনুভূতি আছে।


 

চৈতন্য সন্দেশ এপ্রিল-২০২২ প্রকাশিত
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।