বর্তমান সমাজ- WWW. COM

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২০ | ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ | ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 532 বার দেখা হয়েছে

বর্তমান সমাজ- WWW. COM
শ্রীপাদ অনঙ্গমোহন দাস ব্রহ্মচারী

বাংলার প্রবাদ, ‘যাকে সাপে কেটেছে সে রজ্জু দেখলেও ভয় পায়।’ কেননা অজ্ঞতাবশত মানুষ চিন্তিত বা মোহিত হয়ে যায়। যারা ভগবানের শরণাগত হয়নি বা ভগবানকে পূর্ণরূপে ভালবাসতে পারেনি, ভগবান সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা রাখে না তারা সর্বদা এভাবে ভ্রমিত হতে থাকে এবং তাদের কোনো আশ্রয় নেই। সে কারণে তারা সর্বদা ভয়ে থাকে কখন কি হয়। আর ভগবানের চরণাশ্রিত ভক্তরা থাকে ‘অকুতোভয়’। পরমেশ^র ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় (১৮/৬৬) বলেছেন-

সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।
অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ॥

“সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরণাগত হও। আমি তোমাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব।”
ভগবানের মধ্যে স্নেহ, ভালবাসা, বিভৎস ও করুণ রস ইত্যাদি সবকিছুই রয়েছে। সেজন্য ভগবানকে অর্জুন বলেছেন, ‘আমি আপনার বিশ্বরূপ দেখতে চাই। বলছেন, না-না আমি দ্বিভূজ শ্যামসুন্দর রূপই কেবল দর্শন করতে চাই।

স্তর ভেদে ভগবৎ দর্শন

যেই ভগবানকে ভালবাসে সেই একমাত্র ভগবানকে বুঝতে পারে। কৃষ্ণ এবং বলরাম যখন কৃষ্ণের মল্ল যুদ্ধ করার জন্য মঞ্চের দিকে যাচ্ছে তখন বিভিন্ন জন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দর্শন করছে। ভাগবতের (১০/৪৩/১৭) তা এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে- “মল্লক্রীড়া স্থানে শ্রীকৃষ্ণ যখন তার অগ্রজসহ প্রবেশ করলেন, তখন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে তিনি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রকাশিত হলেন।

মল্লযোদ্ধাগণ তাঁকে বজ্রের মতো, মথুরার জনসাধারণ তাঁকে নরশ্রেষ্ঠ রূপে, রমণীগণ তাঁকে মূর্তিমান কামরূপে, গোপগণ তাঁকে স্বজন রূপে, অধার্মিক রাজারা তাঁকে দণ্ডদাতা রূপে, তাঁর পিতা-মাতা তাঁকে তাঁদের সন্তান রূপে, ভোজরাজ কংসের কাছে মৃত্যু রূপে, অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের কাছে ভগবানের বিরাট মূর্তি রূপে, যোগিগণের কাছে পরম ব্রহ্মরূপে এবং বৃষ্ণীগণ তাদের পরম পূজ্য বিগ্রহ রূপে তাঁকে দর্শন করল।”
এক পূজারী ভক্ত ইস্‌কন মন্দিরে ভগবানের অর্চা বিগ্রহের অর্চনাদি সেবা করে। একদিন মন্দিরে তার পিতাকে নিমন্ত্রণ করেছে। প্রথমবার মন্দিরে এসে পিতা দেখছে পুত্র শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দের স্নান, অঙ্গরাগ, বস্ত্র পরিধান প্রভৃতি করে ভগবানকে সাজাচ্ছে। তা দেখে পিতা অঝোড় ধারায় কান্না করছে। তখন পুত্র ভাবছে ‘আহারে ভগবানের বিগ্রহ দর্শন করে পিতার মনটা গলে গেল। সরাসরি গিয়ে পিতাকে জিজ্ঞেস করছে, ‘আপনার কেমন লাগছে বিগ্রহ সেবা ও রাধাগোবিন্দকে? পিতা বলছে, ‘আমি ভাবছি, তোর কি হল এত বড় হয়ে পুতুল নিয়ে খেলা করছিস্’। এত বড় হলি তুই কিন্তু পুতুল খেলা ছাড়লি নাড়ে।

চিন্তা বনাম চিতা

যে ভগবান ভালবাসতে পারেনি সে সর্বদা চিন্তায় থাকে। কেন চিন্তায় থাকে? কেউ আমার কি ক্ষতি করে দেয় কোন সময়। সে সম্বন্ধে স্মৃতিশাস্ত্রে একটি শ্লোক আছে-

চিন্তাধিক সমযুক্তানাম্ বিন্দুমাত্রেণ বিশেষতঃ।
নির্জীবিত দহতি চিতা সজীবিত দহতি চিন্তা॥

‘চিন্তা আর চিতার মাঝে কেবল একটি বিন্দুর পার্থক্য রয়েছে। একটি নির্জীব ব্যক্তিকে চিতা একবার জ¦ালায় আর সজীব ব্যক্তিকে চিন্তা সারাজীবন জালায়।’

চিন্তা মানে আমার অন্য কারোর উপর ভরসা নেই। নিজেই নিজের সমস্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। ভগবান, গুরু ও বৈষ্ণবের উপরও ভরসা নেই। তার ফলে সর্বদা চিন্তাগ্রস্ত থাকে। সে সবসময় ভাবছে কিভাবে কাজ করতে পারব? তার কারণে সে সর্বদা আতঙ্কে থাকে আমার কি হবে? এটা সর্ব অবস্থায় দেখা গেছে। যখন শরণাগতি থাকে না তখন মনে হয় কেউ আমার ক্ষতি করে দেবে এবং ভাল জিনিসকেও অন্যভাবে দেখার চেষ্টা করে। এ ধরনের চিন্তা যাদের হয় পাঁচটি ধাপে তাদের যেতে হয়। বর্তমান সমাজে মানুষের চিন্তা আরো বেশি। তার কারণ ভরসা পায় না কারোর উপর।

বর্তমান সমাজটা হচ্ছে হচ্ছে WWW. COM

Write Write Write –––– লেখ-লেখ-লেখ
Work Work Work –––– কাজ-কাজ-কাজ
Wealth Wealth Wealth–––– ধন-ধন-ধন
Worry Worry Worry– দুশ্চিন্তা-দুশ্চিন্তা-দুশ্চিন্তা
Wine Wine Wine––––––– মদ-মদ-মদ

শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা সম্পন্ন করার পর প্রতিযোগীতা শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেওয়ার। শৈশব থেকেই সবাই লেখা-পড়া করে ভাল চাকুরি বা কাজের জন্য, আর কাজ করে প্রচুর অর্থ সঞ্চয় হবে, আর মানুষের যখন অনেক সম্পত্তি হয় তখন তা চোর-ডাকাতের হাত থেকে সংরক্ষণের জন্য দুশ্চিন্তা করে অবশেষে সেই দুশ্চিন্তা সইতে না পেরে চিন্তামুক্ত থাকার জন্য মানুষ মদ্যপান করে।

কে খুশি থাকতে পারে?

যে জানে আমার সাথে ভগবানের সম্পর্ক কি। ৮৮% মানুষ বেকার চিন্তা করে। মাত্র ১২% চিন্তা আমরা করি যেগুলো বাস্তব। চিন্তা কেমন? চিন্তা হচ্ছে ইজি বা রকিং চেয়ারের মতো। যেটা আপনাকে এক জায়গায় ঘুরাবে কিন্তু কোথাও নিয়ে যাবে না। একটা ছেলে স্কুল থেকে ছুটি নেবে। কিন্তু কিভাবে ছুটি নিবে? তাদের বাড়িতে ৩টি মহিষ ছিল প্রথমটিতে ১ নম্বর, দ্বিতীয়টিতে ২ নম্বর এবং তৃতীয়টিতে ৪ নম্বর লিখে দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে স্কুলে। পরেরদিন স্কুল ছুটির পর ১, ২ ও ৪ নম্বর মহিষ পাওয়া গেছে কিন্তু ৩ নম্বর মহিষ পাওয়া যাচ্ছে না। সে ৩ নম্বর খুঁজতে খুঁজতে হাঁপিয়ে গেছে। ব্যাপারটি হল ৩ নম্বর মহিষ সেখানে ছিলই না। কিন্তু ওটাকেই সবাই খুঁজছে। এটাই হলো চিন্তা।

কার চিন্তা আর ভয় নেই?

প-বর্গের মধ্যে যারা আছে তাদের ভগবানের প্রতি বিশ্বাস নেই। প-পরিশ্রম, ফ-ফেনা, ব-বন্ধন, ভ-ভয় ও ম-মৃত্যু। শ্রীমদ্ভাগবতে সে সম্বন্ধে বলা হচ্ছে-ধর্মস্য হি অপবর্গস্য। ধর্ম মানে ভগবানের নির্দেশানুসারে জীবনযাপন করে তাদের কোনো ভয় বা চিন্তা নেই (অকুতভয়)। কারণ তারা জানে অবশ্য রক্ষিবে কৃষ্ণ বিশ্বাস পালন। তাই শ্রীপ্রহ্লাদ মহারাজের দৃষ্টান্ত শাস্ত্রে দেওয়া হয়েছে। কারণ তার কষ্ট ছিল বর্ণনাতীত।
অনেক নবাগত ভক্তরা আমার কাছে বলে, ‘আমি দৈত্য কুলের প্রহ্লাদ’। তখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি, ‘তোমার পিতা কি তোমায় খাবারে বিষ দিয়েছে, পর্বত থেকে ছুঁড়ে ফেলেছে? না। তাহলে তুমি ‘দৈত্য কুলের প্রহ্লাদ’ কি করে হলে? আমরা কেউ প্রহ্লাদ মহারাজের মতো কেউ হতে পারব না। প্রহ্লাদের পিতা হিরণ্যকশিপুর মতোও হতে পারবে না। ‘হিরণ্য’ মানে ‘স্বর্ণ’ ও ‘কশিপু’ মানে ‘নরম বিছানা’। অর্থাৎ যে স্বর্ণ অণে¦ষণ এবং ইন্দ্রিয়তৃপ্তির জন্য জীবন দিয়েছে। প্রহ্লাদ মানে ‘প্রকৃষ্ট রূপেন আহ্লাদ’ অর্থাৎ যিনি সর্বদা আনন্দে থাকেন। আর আনন্দের প্রকৃত বস্তু হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ। তিনি সর্বত্র ভগবানকে দেখেন (চৈ.চ মধ্য ৮/২৭)

স্থাবর জঙ্গম দেখে, না দেখে তার মূর্তি।
সর্বত্র হয় নিজ ইষ্টদেব-স্ফূর্তি ॥

মহাভাগবত স্থাবর-জঙ্গম দর্শন করেন, কিন্তু তিনি তাদের রূপ দর্শন করেন না। পক্ষান্তরে, তিনি সর্বত্র পরমেশ্বর ভগবানকে দর্শন করেন।

তিনি সম্পূর্ণরূপে কৃষ্ণময়

হিরণ্যকশিপু যখন উদ্ধার হয় তখন ভক্ত, দেব-দেবী ও স্বয়ং ব্রহ্মা অবাক হয়ে গেছে নৃসিংহদেবের উগ্র রূপ দর্শন করে। ব্রহ্মা, এমনকি মহালক্ষ্মীও নৃসিংহদেবের নিকট যেতে পারছে না। তিনি কে? নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃত্যোর্মৃত্যুং নমাম্যহূম। নৃসিংহ দেবের সেই রূপে ইন্দ্র, চন্দ্র, বরুণ ও মৃত্যুর দেবতা যমরাজও ভয়ে ভীত। কিন্তু একজন নির্ভীক ছিলেন আর তিনি হলেন শ্রীপ্রহ্লাদ মহারাজ। তাই সমস্ত দেবতারা মিলে শ্রীপ্রহ্লাদ মহারাজকে সম্মুখে রেখে ভগবানের সম্মুখে গেলেন।
প্রহ্লাদ মহারাজ জানেন ভগবান কারো ক্ষতি করবেন না এবং সবার হিতকাক্সক্ষী। সুহৃদং সর্বভূতানাং জ্ঞাত্বামাং শান্তি মৃচ্ছতি। ভগবান কারো ক্ষতি করেন না। আমরাই আমাদের ক্ষতি করি। ভগবান আশ্রয় দান করার জন্য সম্পূর্ণরূপে উপস্থিত এবং ভগবানের থেকে কোনো ভয় নেই।
শ্রীল প্রভুপাদ ভয় পান নি। তাই তিনি ৭০ বছর বয়সে মালবাহী জাহাজে করে সুদীর্ঘ এক মাসের যাত্রায়, অপরিচিত জায়গায় একাই গিয়েছিলেন।
তিনি ভাবছিলেন-

মারবি রাখবি যো ইচ্ছা তোহারা
নিত্য দাস প্রতি তুয়া অধিকারা।
আনিয়াছ যদি প্রভু আমারে নাচাতে
নাচাও নাচাও প্রভু নাচাও সে-মতে।

ভগবানের ভক্তদের ভগবান সর্ব অবস্থায় রক্ষা করেন। একবার নারায়ণ বৈকুণ্ঠে শয়ন করছিলেন। হঠাৎ শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম ধারণ করে দাঁড়িয়ে পড়লেন কোথাও যাওয়ার জন্য। আবার তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অনন্ত শেষের বক্ষে শয়ন করে লক্ষ্মীদেবীকে বললেন, ‘যেভাবে তুমি আমার চরণ সেবা করছিলে সেভাবে কর।’ এসমস্ত দেখে লক্ষ্মী দেবী নারায়ণকে বলল, ‘আপনি কোথাও যাবেন বলে প্রস্তুত হলেন এবং গরুড়দেবও এসেছিল কিন্তু আবার শুয়ে পড়লেন কেন প্রভু? এর রহস্যটা কি? আমি দেখলাম আমার এক ভক্ত বিপদে পড়েছে তাই তাকে রক্ষা করতে যাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই দেখছি সে নিজেই সেই বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে গেল। তাই আমি আর যাচ্ছি না।
কারা সর্বদা ভয়ে থাকে?
গীতার (৭/১৫) এভাবে তা বর্ণিত হয়েছে-

ন মাং দুষ্কৃতিনো মূঢ়াঃ প্রপদ্যন্তে নরাধমাঃ।
মায়য়াপহৃতজ্ঞানা আসুরং ভাবমাশ্রিতাঃ॥

“মূঢ়, নরাধম, মায়ার দ্বারা যাদের জ্ঞান উপহৃত হয়েছে এবং যারা আসুরিক ভাবসম্পন্ন, সেই সমস্ত দুষ্কৃতকারীরা কখনও আমার শরণাগত হয় না।”

উপরোক্ত চার প্রকার ব্যক্তিরা ভগবানকেই মানতে চায় না। অনেকে ভগবানকে বিশ্বাস করে না। কিন্তু তারা ভগবানকে অমান্য করে তা নয় তারা ভয় পায় ভগবানকে। তারা যা অন্যায় কার্য করছে সব ভগবান দেখছে এবং নির্দিষ্ট সময় তার জন্য দণ্ডদান করবেন বলে। ভগবান মায়া বা শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে গীতায় (৭/১৪) বলা হয়েছে-

দৈবী হ্যেষা গুণময়ী মম মায়া দুরত্যয়া।
মামেব যে প্রপদ্যন্তে মায়ামেতাং তরন্তি তে॥

“আমার এই দৈবী মায়া ত্রিগুণাত্মিকা এবং তা দুরতিক্রমণীয়া। কিন্তু যাঁরা আমাতে প্রপত্তি করেন, তাঁরাই এই মায়া উত্তীর্ণ হতে পারেন।”
যে ভগবানের চরণে শরণাগত হয়েছে তার কাছে এই জড় জগত গোষ্পদের মতো। আর সবাইকে ভগবানকে ভালোবাসতেই হবে। ভগবানকে ভালবাসার ৫টি পন্থা দিয়েছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু।

সাধুসঙ্গ, নামকীর্তন, ভাগবত শ্রবণ।
মথুরাবাস শ্রীমূর্তির শ্রদ্ধায় সেবন ॥
সকলসাধন-শ্রেষ্ঠ এই পঞ্চ অঙ্গ।
কৃষ্ণপ্রেম জন্মায় এই পাঁচের অল্প সঙ্গ ॥
(চৈ.চ. মধ্য ২৪/১৯৩-১৯৪)

ভক্তদের সঙ্গ করা, ভগবানের দিব্যনাম কীর্তন করা, শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণ করা, মথুরায় বাস করা এবং শ্রদ্ধা সহকারে ভগবানের শ্রীমূর্তির সেবা করা, এই পাঁচটি অঙ্গ সবকটি সাধনাঙ্গের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এই পাঁচের অল্প সংখ্যক প্রভাবেই কৃষ্ণপ্রেমের উদয় হয়।

লেখক পরিচয়: শ্রীপাদ অনঙ্গমোহন দাস ব্রহ্মচারী শ্রীমৎ তমালকৃষ্ণ গোস্বামীর শিষ্য। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। শ্রীল প্রভুপাদের শিক্ষায় আকৃষ্ট হয়ে ২০০২ সালে কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচারের উদ্দেশ্যে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক মানের একজন প্রচারক। এছাড়াও তিনি কলকাতা রথযাত্রার চেয়ারম্যান ও মন্দির ব্যবস্থাপনার কাউন্সিলের প্রধান।

সূত্র:ব্যাক টু গডহেড (জানুয়ারী – মার্চ) ২০২০
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ ও ব্যাক টু গডহেড এর ।। গ্রাহক ও এজেন্ট হতে পারেন
প্রয়োজনে : 01820-133161, 01758-878816, 01838-144699
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।