বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও..

প্রকাশ: ৪ নভেম্বর ২০২১ | ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০২১ | ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 327 বার দেখা হয়েছে

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও..

এ সংক্ষিপ্ত জীবনের চলার পথে যারা আপনাকে সঙ্গ দিচ্ছে কিংবা আপনি যাদের সঙ্গ দিচ্ছেন তারা কতটাই বা সুসঙ্গী। তার কতিপয় মর্মান্তিক দৃষ্টান্তসূচক ঘটনাবলী বাস্তবের নিরীক্ষেই গত সংখ্যায় তুলে ধরা হয়েছিল। তারই ফলশ্রুতিতে পাঠকদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল যে, চারপাশে বিচরণরত সুদক্ষ এবং সুকৌশলিকভাবে অভিনয় রত এ সব নকল সঙ্গীদের মধ্যে কে সত্যিকারভাবে প্রকৃত সঙ্গী? অত্যন্ত কৌতূহল উদ্দীপক এ প্রশ্নের নিরীক্ষেই এ সংখ্যায় সঙ্গ প্রভাবজনিত সকল দ্বন্দের নিরসনজনিত সমাধান পাঠকদের জ্ঞাতার্থে নিম্নে উপস্থাপিত হল ।
বৈদিক শাস্ত্রে ব্যবহৃত একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শব্দ হল ‘সুহৃদ’, অর্থাৎ ‘পরম বন্ধু’ । শ্রীমদভগবদ্গীতার ৫ম অধ্যায়ের ২৯নং শ্লোকে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, “সুহৃদং সর্বভূতানাং” অর্থাৎ সকলের উপকারী পরম সঙ্গী”। এখানে ‘পরম বন্ধু’ দ্বারা ভগবান শ্রী কৃষ্ণকেই সম্বোধন করা হয়েছে। যাকে ছাড়া এক মুহুর্তও থাকা যায় না তিনিই পরম ‘সুহৃদ’। এখন প্রশ্ন হলো কেন তাকে ‘সুহৃদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে? এ প্রশ্নটির উত্তর আশা করি নিম্নের আলোচনা থেকে পাঠকদের বোধগম্য হবে।
সাধারণত দেখা যায় যে, কোন মানুষ যদি কোন মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন কেমন আছেন ? তখন সাধারণত আমরা তদুত্তরে শ্রবণ করি যে “এই চলে যাচ্ছে” বা কেহ বলেন “আর দাদা ভাল নেই” আবার কেহ বা বলেন “এই একরকম চলে যাচ্ছে” যার ভাবার্থ এই যে আমরা কেউই যেন ঠিক সুখী নই। অর্থাৎ ইশ্বর আমাদের যেভাবে রেখেছেন সেটা যেন আমাদের ঠিক মনঃপুত নয়। কিন্তু আমরাতো একবারও ভাবিনা যে, তারই কৃপায় এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেছি এবং জন্মগ্রহনের পূর্ব হতেই মাতৃবক্ষে স্তনক্ষীর ধারার ব্যবস্থা করে রেখেছেন যাতে মানুষ তথা যাবতীয় জীবজন্তু মাতৃ জঠর হতে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার পর হতেই সেই দুগ্ধপান করতে পারে। আমরা বিজ্ঞানের যতই বড়াই করি না কেন, পৃথিবীর কোন বৈজ্ঞানিক কি এই পর্যন্ত এই রহস্যের সমাধান করতে পেরেছেন ? না, এই পর্যন্ত হয় নাই, বা হবেও না। কারণ তাহলে সেই দিন আর ভগবানের অস্তিত্বে মানুষের বিশ্বাস থাকবে না। যেই মাতৃর্বক্ষে এমন ক্ষীরধারা বর্তমান সেখানে কি কোন বৈজ্ঞানিক বা ডাক্তার ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে সেই দুগ্ধ বের করতে পারবেন ? কখনই না, এবং তখন দুগ্ধের পরিবর্তে রক্ত নিস্কাশিত হবে। অথচ সন্তান যখন সেই মাতৃবৃক্ষের দুগ্ধ পান করতে চাইবে তখনই অজস্র ধারায় দুগ্ধ প্রবাহ তার মুখে এসে পড়বে। অর্থাৎ কৃপাময় ভগবান তার সৃষ্ট সন্তানদের জীবন ধারণের জন্য কতসব কলাকৌশল সৃষ্টি করেছেন যেখানে জড় বিজ্ঞান সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত। কিন্তু তথাপি সেই মানুষ যখন বড় হয়, যখন তার জ্ঞান বুদ্ধি লাভ হয়, তখন সে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ভগবানের এই মহিমার কথা ভুলে যায়। কিন্তু পরমেশ্বরের এত করুণা যে, তথাপিও তিনি সকলকেই সমভাবে তার করুণাধারা বর্ষণ করেন। আবার দেখুন কৃপাময় ভগবান আমাদের এই দেহের মধ্যে বিভিন্ন ইন্দ্রিয় সংযোগ মাধ্যমের সব জিনিষকে উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বকের দ্বারা যাবতীয় ভোগ্য বস্তুকে আস্বাদন করবার ব্যবস্থা করেছেন। প্রাকৃতিক সম্পদে পৃথিবী ভরে দিয়েছেন, ব্যাধি নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন প্রকারের গাছ গাছরা সৃষ্টি করেছেন। চন্দ্র, সূর্য্য, গ্রহ, তারা, আকাশ, বাতাস, পানীয় জল, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করে পৃথিবীর অশেষ করুণা সাধন করেছেন মানুষের সুখের জন্য এবং ভোগের জন্য। কৈ তিন তো এসব জিনিষ চন্দ্র গ্রহে বা মঙ্গল গ্রহে দেন নাই। দিয়েছেন শুধু এই পৃথিবীর বুকে । কেন? না তার সৃষ্ট সন্তানগনের যেন কোন কষ্ট না হয়। তবে একটি প্রশ্ন সকলেই করতে পারেন যে, তাহলে এত লোক এত কষ্ট পাচ্ছে কেন, তার উত্তর খুবই সহজ। কার কপালে যে কি আছে, তা কারো বলবার ক্ষমতা নাই। মানুষ মাত্রই কর্মফল ভোগ করতে হবে যে কথা সাধু, গুরু, শাস্ত্র ও বৈষ্ণবগণ বলেন যে, প্রারব্ধ কর্মের ফল ভোগ সকলকেই করতে হবে। আমাদের আজকের এই দুঃখ দুর্দশার জন্য আমাদের পূর্ববর্তী জীবনের কর্মফলই দায়ী। কিন্তু শ্রীমদভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদভাগবতসহ বিভিন্ন আদি শাস্ত্রে এই বিষয়টি ব্যক্ত করে বলা হয়েছে যে, কেউ যদি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যিনি সকলের পরম বন্ধু তার চরণের শরণাগতি লাভ করেন, তাহলে তিনি আমাদের সমস্ত কর্মের ফলভোগের প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি দিবেন। তাহলে উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা অতি সহজেই অনুধাবন করতে পারি যে, আমাদের পরম বন্ধু হলেন, একমাত্র পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। এই বিষয়টি আরো গভীরভাবে অনুধাবনের জন্য ভাগবতের ২য় স্কন্ধে শুকদেব গোস্বামী বর্ণনা করেছেন,

“তস্মাদ্ভারত সর্বত্মা ভগবানীশ্বরো হরিঃ।
শ্রোতব্যঃ কীর্তিতব্যশ্চ স্মর্তব্যশ্চেচ্ছতাভয়ম্ ৷ (২/১/৫)

অর্থাৎ, “হে ভারত! সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা থেকে যে মুক্ত হওয়ার বাসনা করে, তাকে অবশ্যই পরমাত্মা, পরম নিয়ন্তা এবং সমস্ত দুঃখ হরণকারী পরমেশ্বর ভগবানের কথা শ্রবণ, কীর্তন ও স্মরণ করতে হবে।” কিন্তু এখানে উল্লেখ্য যে, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত হওয়ার পদমর্যাদা আমরা লাভ করতে পারি শুধুমাত্র তার ভক্তদের সঙ্গ করার মাধ্যমে। কেননা ভক্তরাই একমাত্র শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে অবগত। এর প্রমাণ বৈষ্ণব পরম্পরা ধারায় অধিষ্ঠিত অন্যতম আচার্য্য ভক্তিবিনোদ ঠাকুর এই সম্পর্কে বলেছিলেন,

“কৃষ্ণ সে তোমার, কৃষ্ণ দিতে পার,
তোমার শকতি আছে।”

অর্থাৎ, “শ্রীকৃষ্ণ তোমারই । তুমিই কৃষ্ণকে আমার কাছে দান করতে পার – তোমার এইরকম শক্তি রয়েছে।”
উপরোক্ত পয়ার থেকে ভক্ত সঙ্গের গুরুত্ব আমরা উপলদ্ধি করতে পারি, তবে এতেই যথেষ্ট নয়। এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে বিশ্লেষণার্থে শাস্ত্র থেকে সংগৃহিত নিম্নোক্ত শ্লোকসমূহ তুলে ধরা হলো।

যস্তিন্দ্রগোপমথবেন্দ্রমহো স্বকর্ম-
বন্ধানুরূপফলভাজনমাতনোতি ।
কর্মাণি নির্দহতি কিন্তু চ ভক্তিভাজাং
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি॥
(ব্রহ্মসংহিতা ৫/৫৪)

“যিনি ইন্দ্ৰগোপ কীট থেকে আরম্ভ করে দেবরাজ ইন্দ্র পর্যন্ত সমস্ত জীবদের কর্ম অনুসারে ফল ভোগ করান, কিন্তু যিনি তাঁর ভক্তদের সমস্ত কর্মই বিনাশ করেন, আহা! সেই আদি পুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি। ”

যে মে ভক্তাজনাঃ পার্থ ন মে ভক্ত্যাশ্চ তে জনাঃ।
মদ্ভজ্ঞানাং চ যে ভক্তাস্তে যে ভক্ততমাঃ মতাঃ ॥

“শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন, “হে পার্থ ! যারা কেবল আমারই ভক্ত, তারা বস্তুত আমার ভক্ত নয়, কিন্তু যারা আমার ভক্তের ভক্ত তাদেরই উত্তম ভক্ত বলে জানবে।”
(আদি পুরাণ)।

আরাধনানাং সর্বেষাং বিষ্ণোরারাধণং পরম।
তস্মাৎ পরতরং দেবি তদীয়ানাং সমর্চণম্ ॥

“মহাদেব পার্বতীকে বললেন, “হে দেবি! অন্যান্য দেবতার আরাধনা অপেক্ষা বিষ্ণুর আরাধনা শ্রেষ্ঠ, কিন্তু বিষ্ণুর আরাধনা থেকেও তার ভক্তের পূজা করা শ্রেষ্ঠ” (পদ্মপুরাণ)। এ ক্ষেত্রে শ্রীমদভাগবতমের নিম্নোক্ত শ্লোকটি ভক্তসঙ্গের তাৎপর্য আরো মহিমান্বিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে,

তুলয়াম লবেনাগি ন স্বর্গং নাপুনর্ভবম্।
ভগবৎসগিসঙ্গস্য মর্ত্য্যানাং কিমুতাশিষঃ
(ভাগবত ১/১৮/১৩)

অর্থাৎ, “ভগবৎ সঙ্গীর নিমেষ মাত্র সঙ্গ দ্বারা জীবের যে অসীম মঙ্গল সাধিত হয়, তার সঙ্গে স্বর্গসুখ ভোগের বা মুক্তি লাভের কিছুমাত্র তুলনা করা যায় না, তখন মরণশীল মানুষের জাগতিক সমৃদ্ধির কথা আর কি বলার আছে।” (সূত গোস্বামীর প্রতি মুনি-ঋষিরা।)
মহান ভক্ত চানক্য পণ্ডিত এ ভক্ত সঙ্গের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন,

ত্যজ দুর্জন সংসর্গং ভজ সাধুসমাগমম্।
কুরু পুন্যমহোরাত্রং স্মর নিত্যং অনিত্যতাম॥

অর্থাৎ, “দুর্জনসঙ্গ ত্যাগ কর, সাধুসঙ্গে ভজনা কর, দিন-রাত ধরে শুধু পুণ্য অনুষ্ঠান কর, সব সময় স্মরণে রাখ যে, এই জড় জগৎ ক্ষণস্থায়ী।”
শ্রীমদভাগবতমের নিম্নোক্ত শ্লোকটিতে ‘প্রহ্লাদ মহারাজ’ বলেন,

নৈষ্যং মতিস্তাবদুরুক্রমাঙ্ঘ্রিং
স্পৃশত্যনথাপগমো যদৰ্থঃ।
মহীয়মাং পাদরজোহভিষেকং
নিস্কিঞনানাং ন বৃণীত যাবৎ ॥

অর্থাৎ, “মানুষের মতি যতক্ষণ নিস্কিঞ্চন ভগবদ্ভক্তদের শ্রী পাদপদ্মের ধূলির দ্বারা অভিসিক্ত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তা অনর্থ নাশক কৃষ্ণ-পাদপদ্ম স্পর্শ করতে পারে না।” (ভাগবতম ৭/৫/৩২)
সর্বশেষে, চৈতন্য চরিতামৃতের অত্যন্ত সুপরিচিত এ শ্লোকটির মাধ্যমে ভক্ত সঙ্গের গুরুত্ব ও মহিমা তুলে ধরা হল ।

‘সাধুসঙ্গ’ ‘সাধুসঙ্গ’- সর্বশাস্ত্রে কয় ।
লবমাত্র সাধুসঙ্গ সর্বসিদ্ধি হয়॥

“সমস্ত শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে, শুদ্ধ ভক্তের সঙ্গ যদি মুহুর্তের জন্যও লাভ করা যায়, তা হলেই সর্বসিদ্ধি লাভ হয়।” (সনাতন গোস্বামীর প্রতি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু)।
এখানে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে একটা বিষয় অবগত করাতে ইচ্ছা করি যে, ভক্তসঙ্গ বলতে শুধুমাত্র দৈহিক মেলামেশাকেই বোঝায় না। পারমার্থিক আলোচনা, বিনীতভাবে আত্মতত্ত্ব বিষয়ক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, ভগবানের লীলা কথা শ্রবণ, বিগ্রহ দর্শন, শুদ্ধ ভক্তের দর্শন লাভ, প্রসাদ সেবন ইত্যাদি নানাবিধ পারমার্থিক কার্যকলাপ সম্পন্ন করাই হচ্ছে ভক্তসঙ্গ। তাই উপরোক্ত বৈদিক শাস্ত্রের শ্লোকসমূহ দ্বারা এটাই সুস্পষ্ট যে, কুসঙ্গের প্রভাবজনিত কারণে আমাদের বিবিধ সমস্যা নিরসন কল্পে ভগব্দধাম অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই ভক্ত সঙ্গের উপর গুরুত্ব আরোপ করা উচিত। কেননা ভক্ত সঙ্গই হল একমাত্র নিরাপদ সঙ্গ। তাদের সঙ্গের ফলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গ পাওয়া যায়। শ্রীকৃষ্ণ একমাত্র ভক্ত অধীনেই ন্যস্ত। কে না জানে, আপনি যদি ভক্ত সঙ্গের মত প্রকৃত সঙ্গির সঙ্গ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন তাহলে হয়ত আপনার জীবনেও গত সংখ্যায় প্রকাশিত সেই মর্মান্তিক ঘটনাবলী ঘটে যেতে পারে। হয়ত একটু ভিন্ন মাত্রায় কিংবা আরো মর্মান্তিকভাবে। সুতরাং এক্ষুণি সিদ্ধান্ত নিন আপনি কাকে বেছে নেবেন? প্রকৃত সঙ্গীকে নাকি তথাকথিত ভুঁইফোড় নকল সঙ্গীকে, যারা আপনাকে জড় জগতের বিভিন্ন দুঃখ-দুর্দশায় নিপতিত করতে সদা সর্বদা প্রস্তুত। সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। তবে সমস্ত বেদ শাস্ত্র যা সরাসরি ভগবান প্রদত্ত, হ্যাঁ, আপনাকেই নির্দেশ দিচ্ছে, “বন্ধু তোমার পথের সাথীকে (শ্রীকৃষ্ণ) চিনে নিও, মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে গেঁথে নিও…। হরে কৃষ্ণ !


 

জানুয়ারি ২০০৯ মাসিক চৈতন্য-সন্দেশ
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।