পুরীতে জগন্নাথদেবের অলৌকিক লীলা

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১ | ১০:২০ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৬ জুন ২০২১ | ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 252 বার দেখা হয়েছে

পুরীতে জগন্নাথদেবের অলৌকিক লীলা

প্রার্থনার মাধ্যমে কি কঠিন রোগ সেরে যেতে পারে? ডাক্তাররা বা যুক্তিবাদীরা হয়ত সহমত পোষণ করবেন না। তবে অনেকসময় রোগ সারাতে বাড়ীর লোককে বলতে শোনা যায়, এবার ভগবানকে ডাকুন।’ সম্প্রতি প্রার্থনার মাধ্যমে রোগ সেরে যাবার অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে পুরীর সুপ্রাচীন জগন্নাথ মন্দিরে।
৫৯ বৎসর বয়স্ক শ্রীমৃন্মল চিত্র গত তিন বছর ধরে ছিলেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত। হাঁটতে চলতে পারতেন না। তার শরীরের বাঁ দিকটি ছিল অবশ। বাঁ হাত নাড়তে পারতেন না। বাঁ পাও নাড়াতে পারতেন না। পক্ষাঘাত আঘাত হেনেছিল তার কথা বলার শক্তিতেও। তিনি কথা বলতেও পারতেন না। এ হেন শ্রীমৃন্মল চিত্র রাজস্থানের অধিবাসী। তার চেনা রাজস্থানের অনেকেই পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে প্রায় দর্শনে আসেন। তাদের কাছ থেকে তিনি শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের মহিমা কথা শুনেছিলেন। তিনি সুদূর রাজস্থান থেকেই শ্রীশ্রীজগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারাণীর কাছে নিজের শারিরীক অবস্থার আরোগ্যের প্রার্থনা জানাতেন। অবশেষে তিনি গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে স্ত্রীর ও আরও কয়েকজন আত্নীয়কে সঙ্গে নিয়ে পুরীধামে শ্রীজগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীকে দর্শন করতে আসেন। মনে মনে অনবরত শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের কাছে তার প্রার্থনা চলছিলই। ডান হাতে ক্র্যাচ ভর করে এবং তাঁর স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়দের সহায়তায় তিনি মন্দিরে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি যখন শ্রীশ্রীজগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর বিগ্রহের সামনে দাঁড়ালেন, তিনি আশ্চর্য হয়ে অনুভব করলেন, তিনি কারও সাহায্য ছাড়াই তার দু’পায়ে দাড়িয়ে আছেন। বাঁ হাতটিও নাড়তে পারছেন। শিহরিত শ্রীমৃন্মল চিত্র ঐ অবস্থায় আধঘন্টা করজোড়ে বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর দু’চোখ দিয়ে ঝরে পড়ছিল আনন্দ। শুধু তাই নয় এরপর তিনি ধীরে ধীরে কথা বলতেও সমর্থ হলেন পুরীর পুরোহিতগণের সহায়তায়। তাঁর হাত ও পায়ের শক্তি ফিরে আসায় পুরীর পুরোহিতগণ তাকে কথা বলানোর চেষ্টা করার জন্য উৎসাহ দিতে থাকেন। চেষ্টার পর শ্রীমৃন্মল চিত্র প্রথম যে শব্দটি উচ্চারণ করলেন, সেটি হল ‘মা সুভদ্রা।’ এরপর তিনি ‘শ্রীজগন্নাথ’ ও শ্রীবলভদ্র’ নাম দুটি উচ্চারণ করতে সমর্থ হন ।
তিনি বলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, আমার শরীরের বাঁ দিকটি ঠিক তিন বছর আগের মতই সুস্থ হয়ে গেছে। আমি মন্দিরে প্রবেশ করেছিলাম ক্র্যাচ নিয়ে আমার স্ত্রী শ্যালিকার সহযোগীতায়। আর মন্দির থেকে বেড়িয়ে এলাম নিজে, কারোর সহায়তা ছাড়াই । এতো শ্রীশ্রীজগন্নাথ, শ্রীবলভদ্র ও সুভদ্রা দেবীর আমার প্রতি এক অলৌকিক কৃপা।” শ্রীমৃন্মল চিত্রের স্ত্রী গীতা দেবী জানালেন, “সমস্ত চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ায় আমরা খুবই হতাশ ছিলাম। আজ আমরা সকলেই খুব আনন্দিত। এমনকি টেলিফোনে রাজস্থানের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে আমার স্বামী কথা বললে, আত্মীয় স্বজনগণও বিস্মিত হন।

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।