জড় থেকে চিন্ময়

প্রকাশ: ২ এপ্রিল ২০২১ | ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২ এপ্রিল ২০২১ | ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 572 বার দেখা হয়েছে

জড় থেকে চিন্ময়
বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার বিজ্ঞান
বিগ্রহ রূপে শ্রীপঞ্চতত্ত্বের আবির্ভাবে ব্যবহৃত বৈদিক আচার-অনুষ্ঠান ও মন্ত্রসমূহ
শ্রী প্রহ্লাদ দাস ও ব্রজ-সেবকী দেবী দাসী
 
প্রথমবারের মত শ্রীপঞ্চতত্ত্বের অভিষেক অনুষ্ঠান দর্শন করতে সমবেত হয়েছিল হাজার হাজার ভক্ত। আর এজন্য চারদিক যেন বর্ণিল সাজে সজ্জিত এবং সে সাথে বিগ্রহ অভিষেকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় আয়ােজন।
সেই আয়ােজনসমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল অগ্নিযজ্ঞ। একটি বিশাল যজ্ঞকুণ্ডে বড় একটি কাঠের চামচ দিয়ে ঘি ঢালা হচ্ছে, আর সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিশিখা বর্ধিত হয়ে যেন ৪০ ফুট উঁচু সিলিংও যেন উত্তপ্ত হচ্ছে। এবং সমস্বরে ঐ কুরে চারপাশের ভক্তরা সুমধুর সুরে বৈদিক মন্ত্র ও প্রার্থনা উচ্চারণ করছে। এটিকে বলা হয় তত্ত্ব হােম, যেটি বিগ্রহ অভিষেক প্রক্রিয়ার জন্য ছয়টি সংস্কারের মধ্যে অন্যতম।
বৈদিক শাস্ত্রানুসারে ভগবানের নাম, রূপ, গুণ এবং অতীত লীলাবিলাসসমূহ স্বয়ং ভগবান থেকে অভিন্ন। তাই বিগ্রহ হল স্বয়ং ভগবানের রূপ এবং তা স্বয়ং ভগবান থেকে অভিন্ন। তাই যদি হয়ে তাকে তবে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান করার কী প্রয়ােজন? এটি প্রয়ােজন এজন্যই যে, এই প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভগবানের প্রকাশ গঠিত হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভক্তরা ভগবানকে অনুরােধ করেন, যেন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিগ্রহে অবস্থান করেন এবং তাদের নিবেদিত সেবা তিনি গ্রহণ করেন। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় (৪/১১) বলা হয়েছে ‘যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে ‘-যারা যেভাবে আমার প্রতি আত্মসমর্পণ করে। এজন্য ভক্তরা ভগবানকে বিগ্রহরূপে আরাধনা করার মাধ্যমে তার প্রতি আত্মসমর্পণ করেন।
হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র, “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে জপ করলে যেমন জপকারীর সমস্ত মিথ্যা অহংকার বিনাশপ্রাপ্ত হয় এবং ক্রমান্বয়ে তার চিন্ময় স্বরূপ জাগরিত হয়, ঠিক তদ্রুপ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার ৬টি সংস্কারসমূহ দুটি বিশেষ কার্য সম্পাদন করে থাকে।
প্রথমটি- বিগ্রহ তৈরির জন্য ব্যবহৃত জড় উপাদানগুলাে পরিশুদ্ধ করা এবং দ্বিতীয়টি উপাদানসমূহকে চিন্ময়ত্বে প্রদান করা। অর্থাৎ এককথায় বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার মূল বিষয়টি হল জড় পদার্থকে পরিশুদ্ধ করে চিন্ময় স্বরূপে অধিষ্ঠিত করা। শ্রীল প্রভুপাদ তার ভাষ্যে এই বিষয়টি নিয়ে শ্রী ঈশােপনিষদের ৮নং শ্লোকে ব্যাখ্যা করেন:
“অধিকারী আচার্যবৃন্দ পূজার্চনার্থে মন্দিরে যে শ্রীবিগ্রহ (অর্চাবিগ্রহ) প্রতিষ্ঠা করেন এবং যারা সপ্তম মন্ত্র অনুসারে ভগবানকে উপলব্ধি করেন, সেই বিগ্রহের সঙ্গে ভগবানের আদি স্বরূপের কোনাে পার্থক্য নেই। শ্রীকৃষ্ণই ভগবানের আদি স্বরূপ এবং তিনি বলদেব, রাম, নৃসিংহ, বরাহ ইত্যাদি অসংখ্য রূপে নিজেকে বিস্তার করেন। এই সমস্ত রূপ সেই একই পরমেশ্বর ভগবান।
তেমনই, মন্দিরে পূজিত অৰ্চাবিগ্রহই ভগবানের প্রকাশ্য-রূপ। অর্চাবিগ্রহ উপাসনা দ্বারা ভক্ত তৎক্ষণাৎ ভগবানের সম্মুখীন হন এবং ভগবান তাঁর অচিন্ত্য শক্তির দ্বারা ভক্তের সেবা গ্রহণ করেন। শুদ্ধাত্মা আচার্যবৃন্দের প্রার্থনায় ভগবানের অর্চাবিগ্রহ অবতরণ করেন এবং ভগবানের অসীম শক্তি দ্বারা ভগবানের আদি স্বরূপের মতাে ক্রিয়া করেন। শ্রীঈশােপনিষদ ও শ্রুতি মন্ত্র সম্বন্ধে অজ্ঞ ও মূর্খ ব্যক্তিগণ শুদ্ধ ভক্তের উপাস্য অর্চাবিগ্রহকে জড় উপাদানে গঠিত বলে বিবেচনা করে। কনিষ্ঠ-অধিকারী বা মূর্খ ব্যক্তিদের ক্রুটিপূর্ণ দৃষ্টিতে এই অর্চাবিগ্রহ জড় বলেই বিবেচিত হলেও এই সব মানুষেরা বুঝতে পারে না যে, ভগবান সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞ হওয়ার ফলে তিনি তাঁরই ইচ্ছা। অনুসারে জড়কে চেতন এবং চেতনকে জড়ে পরিণত করতে পারেন।”
 
কীর্তন ও বিগ্রহ অর্চনা
 
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তনের সাথে ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা নিবেদন করা হয়, যাতে ভগবান এই বিগ্রহ স্বরূপে আবির্ভূত হন। ১৯৭৫ সালে বৃন্দাবনে ইস্কন কৃষ্ণ বলরাম মন্দির উদ্বোধনের সময় শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের বলেছিলেন যে, বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কীর্তন করাই যথেষ্ট। কিন্তু, তবুও তিনি স্থানীয় ব্রাহ্মণদের মাধ্যমে অভিষেক যজ্ঞের আয়ােজন করেছিলেন, যাতে করে বৃন্দাবনের অধিবাসীরা কর্তৃপক্ষ অনুমােদিত পন্থায় প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ হিসেবে বিগ্রহকে গ্রহণ করতে পারেন।
 
আগেকার যুগে পারমার্থিক উৎকর্ষতা অর্জন অনেকটাই জটিল ছিল এবং এজন্য মন এবং ইন্দ্রিয়গুলােকে পরম শুদ্ধতার স্তরে অধিষ্ঠিত করা আবশ্যকীয় ছিল, যা এই কলিযুগের জন্য অত্যন্ত দুরহ। তখনকার সেই পদ্ধতিসমূহে অন্তর্ভুক্ত ছিল ধ্যান, বিগ্রহ অর্চন এবং যজ্ঞ। শ্রীমদ্ভাগবতে ১২/৩/৫২-এ বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে –
কৃতে যদ্ধ্যায়তাে বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যজতো মখৈঃ।
দ্বাপরে পরিচর্যায়াং কলৌ তদ্ধরিকীর্তনাৎ ।।
“সত্যযুগে শ্রীবিষ্ণুর ধ্যান করে, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ অনুষ্ঠান করে এবং দ্বাপরযুগে ভগবানের চরণ পরিচর্যার মাধ্যমে যা-কিছু ফল লাভ হয়, কলিযুগে শুধুমাত্র হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করার মাধ্যমেই সেই ফল লাভ হয়ে থাকে।
এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারে, যারা এই কলিযুগে হরিনামকে প্রতিষ্ঠা করেছেন তবে তাদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য কেন এত আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়ােজন হয়? অথবা, এই যুগে বিগ্রহ পূজারই বা কী প্রয়ােজন? উত্তর হল, কলিযুগে ধ্যান, বিগ্রহ পূজা এবং যজ্ঞ এসব অপেক্ষাকৃত কম প্রাসঙ্গিক আচার-অনুষ্ঠানসমূহ যখন মহামন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন জীবের মন এবং ইন্দ্রিয়ের ওপর শক্তিশালী প্রভাব সৃষ্টি করে এবং ইন্দ্রিয়গুলােকে কলুষিত অবস্থা থেকে পরিশুদ্ধ করে তােলে। বিগ্রহের প্রতি এরূপ সেবা নিবেদনের মাধ্যমে একজন ভক্ত তার সমস্ত ইন্দ্রিয়কে চিন্ময় কার্যকলাপে নিযুক্ত করার সুবর্ণ সুযােগ লাভ করেন।
বিগ্রহ অভিষেক অনুষ্ঠানে অনেক ভক্তের সমাগম ঘটে এবং প্রত্যেকে তা দর্শন করে দুর্লভ অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন বাড়িতে কোনাে এক বন্ধুর আগমন ঘটে, তখন তার সঙ্গ উপভােগের একটি মাধ্যম হিসেবে আমরা তার জন্য খাবারের আয়ােজন করে থাকি। অভ্যন্তরীণভাবে পারস্পরিক সম্পর্কই প্রাধান্য পায় এবং তার বাহ্যিক প্রকাশ হল খাবারের আয়ােজন। তদ্রপ, ভগবানের অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় ভগবানের সাথে আমাদের যে প্রেমময়ী সম্পর্ক তা এ প্রকার নির্দিষ্ট বৈদিক কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এ প্রকার কার্যকলাপে আমাদের সমস্ত ইন্দ্রিয় নিয়ােজিত থাকে। আর এভাবে ভিন্নমাত্রিক একটি চিন্ময় পরিবেশে ভক্তরা ভগবানের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা বা অভিষেকের দুর্লভ অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন।
 
বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার শাস্ত্রীয় বিধিসমূহ
 
বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার ৬টি বিধির মধ্যে একটি হল বিগ্রহের স্নান সম্পাদন। এ প্রক্রিয়াটি প্রায় দুইদিনেরও বেশি সময় ধরে অতিবাহিত হয়। শাস্ত্রানুসারে এটিকে গাভির পাঁচটি উপকরণ সহযােগে স্নানের মাধ্যমে পরিশােধন প্রক্রিয়া নামে অভিহিত করা হয়। সেই পাঁচটি উপকরণসমূহ হল দুধ, দধি, ঘি, গাে-মূত্র এবং গােবর, যেগুলাে দিয়ে বিগ্রহের স্নান কার্য সম্পাদিত হয়। বৈদিক সাহিত্য মতে গাভির সবকিছুই পবিত্র এবং পরিশােধক হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিগ্রহ তৈরির সময় যদি কোনাে দোষ-ত্রুটি থাকে তবে তা পরিশােধিত হয়ে যায় এবং সে সাথে বিগ্রহ যারা তৈরি করেছেন তাদের সে কার্যও পূর্ণতা লাভ করে। আর এভাবে পূজারিরাও বিগ্রহ সেবার দায়িত্ব অর্জন করে বলে প্রতিভাত হয়।
দ্বিতীয় ধাপটি বলা হয় নেত্র উন্মিলম্, অর্থাৎ বিগ্রহের আঁখিযুগল উন্মােচন। ভগবদ্গীতার একাদশ অধ্যায়ে অর্জুন কৃষ্ণকে বলছেন, শশিসূর্যনেত্রম : চন্দ্র ও সূর্য তােমার চক্ষুদ্বয়। এই ধাপটিতে সংস্কার অনুসারে, আঁখি, যেটি চন্দ্র বলে প্রতিভাত, তা মধু ঢালার মাধ্যমে উন্মােচিত হয়; এরপর ঘি, যেটি সূর্য বলে প্রতিভাত, সেটিও ব্যবহৃত হয় বিগ্রহের আঁখি উন্মােচনে। একবার আঁখি উন্মােচিত হলে বিগ্রহকে তৎক্ষণাৎ মন্ত্রধ্বনির সাথে সাথে বিভিন্ন পবিত্র দ্রব্য দর্শন করানাে হয়, যেমন-স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, পাথর, চাল, ঘি, দধি, পুষ্প, বৈদিক স্বস্তিকা চিহ্ন, গঙ্গাজল, পবিত্র স্থানের মাটি ইত্যাদি।
তৃতীয় ধাপটির নাম শয়নাধিবাস। এ ধাপটিতে বিগ্রহগুলােকে অনেক পবিত্র দ্রব্য সহযােগে একটি বিছানার ওপর স্থাপন করা হয়। বিছানার নীচে রাখা হয় ধান, যা সুন্দর বস্ত্র পুষ্প দ্বারা সজ্জিত থাকে এবং পবিত্র জল দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এসময় বিগ্রহসমূহকে দুধ থেকে তৈরি বিভিন্ন মিষ্টিদ্রব্য নিবেদন করা হয়। এরপর বিগ্রহসমূহকে বিশ্রামের জন্য আমন্ত্রণ জানানাে হয় এবং ভক্তরা সারারাত বাইরে অবস্থান করে ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকে।
চতুর্থ ধাপটিতে পূজারি একটি কুশ-ঘাস-কাঠি বিগ্রহের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করান। সে সাথে একটি মন্ত্র জপ অব্যাহত থাকে। বিগ্রহ তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন জড় উপাদান বিনাশ করতে গােপাল মন্ত্র জপ করা হয় এবং এরপর সেগুলােকে চিন্ময়ত্ব রূপ দান করা হয়।
সবচেয়ে সুপরিচিত ধাপটি হল পঞ্চম ধাপ অভিষেক অনুষ্ঠান, অর্থাৎ স্নান অনুষ্ঠান। এক্ষেত্রে শুধু জল ব্যবহারের পরিবর্তে পূজারিরা পঞ্চামৃত-দুধ, দধি, ঘি, মধু ও মিষ্টি জল ব্যবহার করে। সে সঙ্গে ফলের রস, ঔষধি জল এবং ফুল শােভিত জল দিয়ে বিগ্রহকে স্নান করানাে হয়। পূজারীরা এক হাজার ছিদ্র সংবলিত একটি রূপার পাত্র দিয়ে জল ঢালেন।
অভিষেকের ৬ষ্ঠ দ্রব্যটি পরিচিত প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হিসেবে। বিগ্রহের হৃদয় স্পর্শ করে বিগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি প্রার্থনা নিবেদন করা হয় এবং এর মাধ্যমে ভগবানকে তার বিগ্রহ রূপে অধিষ্ঠান হওয়ার জন্য অনুরােধ জানানাে হয়। যারা এ কার্যটি সম্পাদন করেন তারা বিগ্রহের হৃদয়ে প্রবেশ করে তাদের হৃদয়ে শ্রীভগবানের চিন্ময় ধ্যানে নিমগ্ন থাকেন।
এই ৬টি বিশেষ প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর পূজারিরা বিগ্রহদের বস্ত্র ও অলংকারাদি দ্বারা সজ্জিত করেন এবং ১০৮টি ভােগদ্রব্য নিবেদন করেন। এ সময় বেদি পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। আর যখন পর্দা উন্মােচিত হয় তখন শ্রীপঞ্চতত্ত্ব উপস্থিত কীর্তনরত ভক্তদেরকে পুনরায় তার চিন্ময়স্বরূপে দর্শন দান করেন।
 

ত্রৈমাসিক ব্যাক টু গডহেড, এপ্রিল-জুন ২০১৩

 

 

 

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।