গো-হত্যা নিষিদ্ধ আইন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | ১২:০৯ অপরাহ্ণ

এই পোস্টটি 72 বার দেখা হয়েছে

গো-হত্যা নিষিদ্ধ আইন

ডেকান হেরাল্ড অবলম্বনে: দীর্ঘ ৪ ঘন্টা সরকার পক্ষীয় নেতাদের সঙ্গে বিরোধী পক্ষীয় নেতাদের সঙ্গে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়। ভয়েস-ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হয় অবশেষে সরকার পক্ষীয় নেতাদের। আর এরই মাধ্যমে বিল পাশ হয় যে, ভারতের কর্ণাটকে এখন থেকে গো-হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুধু গো-হত্যা নয় এই বিলের মাধ্যমে গরু বিক্রি এবং তার মাংস বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি গরুবাহী যানবাহনের যাতায়াতের উপরও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিজেপি সরকার। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, তবে তার জন্য শাস্তিও খুব কঠোর। অপরাধসূচক যে কাউকে জরিমানা হিসেবে ২৫০০০ থেকে ৫০০০০ রুপি সহ ন্যূনতম এক বছর থেকে সাত বছর পর্যন্ত হাজত বাস হতে পারে। বিলটি ১৯৬৪ সালের কর্ণাটক গরু জবাই প্রতিরোধ এবং গবাধি পশু সংরক্ষণ আইনের সংশোধনী বিল হিসেবে প্রসিদ্ধ। শুধু নয় এই বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটনের দামও প্রতি কেজিতে ২৬০ থেকে বেড়ে ১০০০ রুপিতে হয়েছে। এই আইনের বিরোধী কিছু থাকলেও তার চেয়ে অনেকগুন বেশি সরকারের এই আইনে সমর্থন জানিয়েছে। অনেকের মন্তব্য, “এভাবে যদি গরু জবাই আর বেশি দিন চলতে থাকে তবে আর কিছু দিন পরে দুধের ঘাটতি হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত।” কর্ণাটকের অধিকাংশ জনগণ এই আইনের স্বপক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতের অনেক স্থানে গো-হত্যার বিরুদ্ধে ইসকন ভক্তদের সঙ্গে সাধারণ জনগণরাও জোর আন্দোলনে নেমে পড়েছিল। কর্ণাটকের এই গো-হত্যা আইন প্রতিরোধে কিছুদিন আগের ঐ আন্দোলন এক বিরাট প্রভাব ফেলেছে। এই আন্দোলন এখন সারাবিশ্বে ঘটে চলেছে যার প্রভাব অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববাসী দেখতে পাবে। যার একটি নিদর্শন কর্ণাটকের এ বিল পাশ।

হরে কৃষ্ণ।


চৈতন্য সন্দেশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন :https://play.google.com/store/apps/details?id=com.differentcoder.csbtg


 

Hare Krishna Thanks For Reading

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।