কেন সেলিব্রেটিরা নিরামিষাশী? (পর্ব-৩)

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ | ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 1113 বার দেখা হয়েছে

কেন সেলিব্রেটিরা নিরামিষাশী? (পর্ব-৩)

ডেইলি হাফিংটনপোস্টঃ গত দুই পর্বে আমরা বিভিন্ন হলিউড সেলিব্রেটি যেমনঃ নাটালিয়া পোর্টম্যান, ক্যারি আন্ডারউড, মাইক টাইসন, রাসেল ব্রেন্ড, জোকুউন ফোনিক্স, আশার রেইমন্ড এর নিরামিষাশী হওয়ার গল্প জানতে পেরেছি। এই পর্বে আমরা বিশ্ববিখ্যাত তিনজন সেলিব্রেটি সম্পর্কে জানবো যাঁরা নিরামিষ আহারকে।ল তাদের জীবনের সঙ্গী করে নিয়েছেন। তারা নিরামিষাশী হয়ে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে নিরামিষাশী হওয়ার জন্য শিক্ষা প্রদান করছেন।


আল গোর : অ্যালবার্ট গোর সংক্ষেপে আল গোর একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ,আইনজীবী, মানবহিতৈষী ব্যক্তি। তিনি আমেরিকার ৪৫তম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির নমিনেশন লাভ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি একজন লেখক এবং পরিবেশবিদ হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়াও তিনি অ্যালিয়েন্স ফর ক্লাইমেট প্রোটেকশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশন্য বোর্ডের সদস্য এবং গুগল এর সিনিয়র অ্যাডভাইসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৩ সালে বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন আল গোরকে নিরামিষাশী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করিয়ে দেয়। তিনি পরিবেশবিদ হওয়ায় সঙ্গত কারণেই তার নিরামিষাশী হওয়াটা স্বাভাবিক।

কার্ল লুইস: ফ্রেডরিক কার্লটন তথা কার্ল লুইস একজন আমেরিকান ফিল্ড অ্যাথলেট (দৌড়বিদ) যিনি ১০টি অলিম্পিক মেডেল অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ১০টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেডেল অর্জন করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অ্যাথলেট হিসেবে তিনি বহু ট্র্যাকে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এরপর তিনি একজন অভিনেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
মাদার নেচার নেটওয়ার্ক রিপোর্ট এর মতে ১৯৯১ সালে তিনি পুরোপুরি নিরামিষাশীতে পরিণত হন। সেই বছর তিনি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ মেডেল অর্জন করেন।
জেনেকিউন বেনিট এর বিখ্যাত গ্রন্থ ইনট্রোডাকশন টু ভেরি ভেজিটেরিয়ান এ লুইস বর্ণনা করেছিলেন যে, তিনি একজন ডাক্তার এবং একজন পুষ্টিবিদের সাথে সাক্ষাতের পর থেকে তাদের অনুপ্রেরণায় নিরামিষাশী হন। অবশেষে মাছ, মাংস ছেড়ে নিরামীষ খাবারে প্রভূত আনন্দ লাভ করেন।

 

অ্যালিসিয়া সিলভারস্টোন: অ্যালিসিয়া সিলভারস্টোন একজন আমেরিকান হলিউড অভিনেত্রী, প্রযোজক ও লেখক। এছাড়াও তিনি একজন পরিবেশ সচেতনতা কার্যক্রম প্রচারক এবং প্রাণী অধিকার সংরক্ষণ উদ্যোগ এর একনিষ্ঠ কর্মী। হলিউড জগতে ১৯৯৪ সালে তার অভিষেক হয় এবং তিনি সেই বছর সেরা অভিনেত্রী হিসেবে এমটিভি মুভি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ব্লকবাস্টার এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড,কিডস চয়েস অ্যাওয়ার্ড, আমেরিকান কমেডি অ্যাওয়ার্ড সহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হন।
একজন বিখ্যাত নিরামিষাশী হিসেবে তিনি বিখ্যাত সংস্থা ‘পেটা’র সাথে যুক্ত। এছাড়াও জনগণের মাঝে নিরামিষাশী হওয়ার উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক একটি গ্রন্থ লেখেন যার নাম দি কাইন্ড ডায়েট (The Kind Diet)। এছাড়াও তিনি একই নামে একটি ওয়েবসাইট প্রকাশ করেন। তার এই গ্রন্থটি নিউইয়র্ক টাইমসের মতে বেস্ট সেলার গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর তিনি আরও দুইটি গ্রন্থ লেখেন একই বিষয়ে। সেগুলো হল দি কাইন্ড মামা, দি কাইন্ড ডায়েট কুকবুক।
সিলভারস্টোন ১৯৯৮ সালে ২১ বছর বয়সে নিরামিষাশীতে পরিণত হন। সেই বছর একটি প্রাণী অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সেমিনারে তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারছি যে প্রাণীদের জন্য আমিও একটি সমস্যা, কেননা আমি প্রানীদের প্রতি একদিকে ভালোবাসা প্রদর্শন করছি আবার সেই প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণও করছি।” এরপর তিনি পুরোদমে নিরামিষাশীতে পরিণত হন। এছাড়াও একবার অপেরা উইনফ্রে অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে নিরামিষাশীতে পরিণত হওয়ার পর তাঁর হাঁপানি, ব্রণ, অনিদ্রা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যতা কমে গেছে। হরে কৃষ্ণ

(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ মার্চ – ২০১৪ প্রকাশিত)

STAY CONNECTED www.csbtg.org www.fb.com/monthlycaitanyasandes www.youtube.com/caitanyasandesh

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।