শ্রী জগন্নাথ লীলা -বিমলা দেবী ও জগন্নাথ মন্দির

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২০ | ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২২ জুন ২০২০ | ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 669 বার দেখা হয়েছে

শ্রী জগন্নাথ লীলা -বিমলা দেবী ও জগন্নাথ মন্দির

পড়তে ২ মিনিট লাগবে

শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত
 বিমলা দেবী ও জগন্নাথ মন্দির”

বিমলা দেবী ও জগন্নাথ মন্দির

বিমলা মন্দির হল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরের জগন্নাথ মন্দির চত্বরে অবস্থিত। এটি দেবী বিমলার মন্দির। হিন্দুরা এই মন্দিরটিকে একটি শক্তিপীঠ (শাক্ত সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র প্রধান তীর্থগুলির অন্যতম) মনে করেন।
বিমলা মন্দির জগন্নাথ মন্দির চত্বরের ভিতরের অংশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এবং জগন্নাথের মিনারের পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এই মন্দিরের পাশেই পবিত্র জলাধার রোহিণীকুণ্ড অবস্থিত। মন্দিরটি পূর্বমুখী এবং বেলেপাথর ও ল্যাটেরাইটে নির্মিত। এই মন্দির “দেউল” স্থাপত্যশৈলীর একটি নিদর্শন। বিমলা মন্দিরটি জগন্নাথ মন্দির চত্বরের একটি ছোটো মন্দির হলেও শাক্ত ও তান্ত্রিকদের কাছে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। তাঁরা মূল জগন্নাথ মন্দিরের চেয়েও এই মন্দিরটিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তান্ত্রিক মতে, বিমলা জগন্নাথের শক্তি এবং মন্দির চত্বরের রক্ষয়িত্রী। ভক্তেরা মূল মন্দিরে জগন্নাথকে পূজা করার আগে বিমলাকে পূজা করেন। জগন্নাথের প্রসাদ বিমলাকে নিবেদন করার পরেই মহাপ্রসাদ হিসেবে গণ্য হয়। প্রতি বছর আশ্বিন মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) উদযাপিত দুর্গাপূজা এই মন্দিরের প্রধান উৎসব।


জগন্নাথ মন্দিরের নিয়ম অনুসারে, মূল মন্দিরে জগন্নাথকে পূজার আগে বিমলাকে পূজা করতে হয়। বিমলার “তীর্থ” বা পবিত্র জলাধার রোহিণীকুণ্ডের জল পবিত্র মনে করা হয়। তান্ত্রিকদের কাছে বিমলা মন্দিরের গুরুত্ব মূল জগন্নাথ মন্দিরের চেয়েও বেশি।

 ভোগ নিবেদন

বিমলাকে নিবেদন করার পর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ।
সাধারণত বিমলার জন্য আলাদা ভোগ রান্না করা হয় না। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, বিমলা জগন্নাথের উচ্ছিষ্ট প্রসাদ খান। জগন্নাথ মন্দিরে নিবেদিত নিরামিশ ভোগই বিমলাকে নিবেদন করা হয়। জগন্নাথের প্রসাদ বিমলাকে নিবেদন করার পরই তা মহাপ্রসাদের মর্যাদা পায়। ভোগে নারকেল বাটা, চিজ ও মাখন সহ শুকনো অন্ন দেওয়া হয়। তারপর সেই প্রসাদ আনন্দ বাজারে পাওয়া যায়……

জয় জগন্নাথ।।

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।