এই পোস্টটি 125 বার দেখা হয়েছে

শচীদুলাল প্রেম সাগর দাস: বিগত ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৫দিন ব্যাপী শ্রীশ্রী পুন্ডরীকধামে শ্রীপাদ কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারীর সমাধি মন্দির উদ্বোধন, ৫১ জন বৈষ্ণব-মহন্ত সেবা, বৈষ্ণব হোম, শ্রীশ্রী পুন্ডরীক বিদ্যানিধি ঠাকুরের অভিষেক ও শ্রীশ্রী বার্ষভানবীমুরারী মহাঅভিষেক এবং ষোল প্রহর ব্যাপী নামসংর্কীতন যজ্ঞসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন মঠ-মন্দির থেকে মহন্ত-মহারাজ বৈষ্ণবদের মিলনমেলা ঘটে। প্রথমদিন সকাল ৯টায় বাংলাদেশ ইস্কনের সিনিয়র সহ সভাপতি, বরিষ্ট প্রচারক ও উপমহাদেশের বিখ্যাত কীর্তনীয়া শ্রীপাদ কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারীর নবনির্মিত সমাধি মন্দির উদ্ভোধন করে সকলে প্রভুর আত্মার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা অঞ্জলি প্রদান করেন।
সকাল ১০টায় শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের আরোগ্যকামনায় বৈষ্ণব হোম ও শ্রীনৃসিংহ যজ্ঞ অনুষ্টিত হয়। দুপুর ১২ঘটিকায় দেশের বিভিন্ন মঠ-মন্দির থেকে আগত প্রবীন মহন্ত-মহারাজ ও বৈষ্ণবদের পাদপক্ষালন, পূজা, মাল্য-চন্দন অর্পন, সুস্বাদুু মহাপ্রসাদ ভোজন এবং বিভিন্ন রকমে উপহার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে বৈষ্ণবদের সেবা প্রদান করেন শ্রীশ্রী পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম ইস্কনের বিভাগীয় সম্পাদক শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। উক্ত অনুষ্ঠানে ভারতের চেন্নায় থেকে জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ইস্কনের দীক্ষাগুরু ও সন্ন্যাসী শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ আর্শীবাদ প্রদান করেন এবং আরোও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইস্কনের প্রথম সন্ন্যাসী শ্রীমৎ ভক্তিপ্রিয়ম গদাধর গোস্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ ভক্তিঅদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজ, শ্রীপাদ চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী ও শ্রীপাদ জগদ্গুরু গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারীসহ বিভিন্ন মন্দিরে থেকে আগত ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ৫ই ফেব্রুয়ারী পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে শ্রীশ্রী বার্ষভানুবীমুরারী মহাঅভিষেক ও শ্রীপুণ্ডরীক বিদ্যানিধি ঠাকুরের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীপুণ্ডরীক বিদ্যানিধি সম্পর্কে শাস্ত্রে বলা হয়েছে-
বৃষভানু মহারাজ তয়াখ্যাতঃ পুরা যে ব্রজমণ্ডলে।
অধুনা পুণ্ডরীকাক্ষো বিদ্যানিধি মহাশয়ঃ॥
“ব্রজে যিনি বৃষভানু মহারাজ রূপে বিখ্যাত ছিলেন তিনিই শ্রী পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি মহাশয় রূপে আবিভূত হয়েছেন।”
অভিষেকের পর পর সকলের মাঝে সুস্বাদু কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকাল ৪ ঘটিকা থেকে শ্রীপুণ্ডরীক বিদ্যানিধি ঠাকুরে মহিমা বর্ণনা এবং ধর্মসভার মাধ্যমে তিনদিন ব্যাপী বিশ্বশান্তিকল্পে হরিনাম সংর্কীতন অনুষ্ঠিত হয়।