এই পোস্টটি 185 বার দেখা হয়েছে
জড় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার জন্য এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় হওয়ার জন্য, আমাদের রাধারাণীর পূজা করা উচিত। শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর এক মহান বৈষ্ণব আচার্য তিনি তার রচিত গ্রন্থ গীতাবলীতে রাধারাণীর পূজার মাহাত্ম্য গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “রাধা-ভজনে যদি মতি নাহি ভেলা/কৃষ্ণভজন তবে অকারণ গেলা।“যদি কারও অভিলাষ রাধা ভজনে না জন্মায় তাহলে তার তথাকথিত কৃষ্ণভজন পূর্ণরূপে অর্থহীন। একদা যখন এক ব্যক্তি রাধাকুণ্ডে বসে কৃষ্ণভজন করছিলেন এবং কৃষ্ণের কৃপা ভিক্ষা করছিলেন তখন শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর তৎক্ষণাৎ মন্তব্য করেন, “আমরা শ্রীমতি রাধারাণীর ভৃত্য এবং তাঁর ভৃত্যের সেবক। এটিই হলো রূপ গোস্বামীর সমস্ত অনুগামীদের মনোভাব। “আমরা রাধারাণীর ভক্ত না হয়ে কৃষ্ণকে প্রাপ্ত করতে পারি না। তিনি দেবদেবীদের মতো নয়। তিনি জড়জগতের যে কোন দেব-দেবীর থেকে মহান। কৃষ্ণ নিখিল বিশে^র সমস্ত জীবের পরম পিতা। রাধা কৃষ্ণের অন্তরঙ্গা কান্তা, তিনি হলেন নিখিল বিশ্বের পরম মাতা। আমাদের সকলেরই এই অভিজ্ঞতা আছে যে পিতা অপেক্ষা মাতাকে সন্তুষ্ট করা অপেক্ষাকৃত সহজ। কারণ মায়েরা কোমলহৃদয়া। তাই আমাদের চিন্ময় মাতা রাধারাণীর হৃদয় মাখনের মতো কোমল। তাঁকে অনায়াসে সন্তুষ্ট করা যায় এবং আমরা জানি কৃষ্ণ মাখন পছন্দ করেন।
সুতরাং যদি আমরা ঐকান্তিক সেবা দ্বারা রাধারাণীকে আকৃষ্ট করতে পারি তাহলে পরিশেষে আমরা কৃষ্ণের কৃপা পাব। ভক্তিবিনোদ ঠাকুর গীতাবলীতে আরও লিখেছেন। “যদি কেউ নিজেকে রাধারাণীর একজন বিনীত ভৃত্য বলে মনে করে তখন সে অতি সত্ত্বর গোকুলেশ্বরকে লাভ করতে পারে।”