এই পোস্টটি 53 বার দেখা হয়েছে
তারা বিশ্বে কেমন উজ্বল তারকা ছিলেন এর ধারাবাহিক ২য় পর্বে এমন একজন মহান ব্যক্তির কথা তুলে ধরা হবে, যিনি একাধারে বিজ্ঞানী এবং সম্পূর্ণ কৃষ্ণভাবনাময় একজন ব্যক্তি ছিলেন। যার নাম রিচার্ড এল. থাম্পসন (১৯৪৭-২০০৭)। যিনি ১৯৪৭ সালে নিউওয়র্কের বিঙ্গহামটনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি কর্ণেল ইউনিভার্সিটি থেকে গণিতে পি.এইচ.ডি. লাভ করেন যেখানে তিনি স্ট্যাস্টিকাল মেকানিকস্ এবং প্রভাবিলিটি তত্ত্বের উপর বিশেষভাবে মনোযোগ দেন। তিনি কোয়ান্টাম ফিজিক্স এবং মেথমেটিক্যাল বায়োলজির উপর নিউইয়র্কের স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা চালান। পরবর্তীতে ঐ একই বিষয়ের উপর লন্ডনের ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি ও সান ডিয়াগোর লা যোল্লা ইনস্টিটিউট গবেষণা চালান। রিচার্ড এল, থম্পসন বর্তমান বিশ্বে এখনও খুবই বিখ্যাত। তার রচিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ বহুজনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। তিনি ডারউইন তত্ত্বের বিপক্ষে অনেক সুগঠিত যুক্তি তুলে ধরে যা বিজ্ঞানমনস্ক সমাজে অনেক আলোচিত হয়। সেরকম একজন গুনী ব্যক্তি শ্রীল প্রভুপাদের সংস্পর্শে এসে সম্পূর্ণ বদলে যান। শ্রীল প্রভুপাদের কৃষ্ণভাবনামৃতের জ্ঞান তাকে নতুন এক সত্যের পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করে। পরবর্তীতে তিনি ভক্তিবেদান্ত ইনস্টিটিউটে বাকি জীবনটা কৃষ্ণভাবনামৃত ও বিজ্ঞানের সমন্বয়তা নিয়ে গবেষণা চালান এবং বিশ্বে তা প্রচার করেন। রিচার্ড এল. থম্পসন একসময় শ্রীল প্রভুপাদের নিকট থেকে দীক্ষা নিয়ে হন সদাপুত দাস। তার রচিত গবেষণামূলক গ্রন্থ Forbidden Arceology এবং Alien Identities সারাবিশ্বে খুবই আলোচিত হয়।
বিশেষত Forbidden Arceology এর মাধ্যমে ডারউইনের বিবর্তনবাদ মতবাদ নিঃশেষিত হয়।
এভাবে রিচার্ড এল. থম্পসনের মত অনেক গুণীজন শ্রীল প্রভুপাদের মাধ্যমে কৃষ্ণভাবনামৃতের এই গভীর এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দর্শন উপলব্ধি করে তা পরবর্তীতে গ্রহণ করেন।
হরে কৃষ্ণ।
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ , নভেম্বর – ২০১০ ইং