ডাইনোসরের কি সত্যিই অস্থিত্ব ছিল? (১ম পর্ব)

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৫ অক্টোবর ২০২৪ | ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 30 বার দেখা হয়েছে

ডাইনোসরের কি সত্যিই অস্থিত্ব ছিল? (১ম পর্ব)

পৃথিবীতে একসময়ে একটি বৃহৎ আকারের প্রাণী বাস করত যা বর্তমানের যে কোন প্রাণী থেকে বৃহৎ এবং খুব ভয়ংকরও। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের ঘোষনা দিয়ে আসছিলেন বহু দিন ধরে। সেই বৃহৎ আকারের প্রাণীর নাম হল ‘ডাইনোসর’। এর যৌক্তিকতা বা প্রমাণ খুঁজতে গেলে উঠে আসবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আবিষ্কৃত বৃহদাকারের ফসিলসমূহ। তারা এ প্রাণীর হাঁড়গুলোর সমন্বয় করে একটি গঠন দাঁড় করিয়ে প্রমাণ করছে এটি প্রকৃতপক্ষে ডাইনোসররই। এ নিয়ে অনেকগুলো ডকুমেন্টারি ফিল্মও তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত প্রাণী তাই এখন ডাইনোসরই। এসবের বাইরেও প্রশ্ন থেকে যায় আসলেই কি এই পৃথিবীতে ডাইনোসর নামে কোন প্রাণীর অস্থিত্ব ছিল? আবার এটাও প্রশ্ন উঠে আসছে পৃথিবী থেকে যদি তারা বিলুপ্ত হয়ে যায় তবে ৪টি যুগের (সত্য, ত্রেতা,দ্বাপর, কলি) ঠিক কোন যুগে তারা বাস করত? এসব সন্দেহ এবং প্রশ্নের অবতারণা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কেননা এটি সত্য যে মানুষ প্রকৃতপক্ষে এই পৃথিবীর মাত্র একটি ক্ষুদ্র অংশ সম্পর্কে অবগত, পড়ে রয়েছে বিশ্বের আরো বিশাল পরিমানের স্থান যেখানেও হয়ত রয়েছে নানান রকমের বিচিত্র সব প্রাণী। স্থলভাগের যদি এ অবস্থা হয় তবে কি বলা যাবে সাগর বা মহাসাগর নিয়ে।

এখনও তো তারা এগুলোর কিছু গভীরে প্রবেশ করেছে মাত্র। আর তাতেই আবিষ্কৃত হচ্ছে প্রতি বছর নিত্য নতুন অনেক অনেক বিচিত্র প্রজাতীর প্রাণী। সরিসৃপ, মাছ, পাখি, স্তন্যপায়ী অনেক প্রাণীগুলো আকারেও বৃহৎ। এই শতাব্দিতেই আবিষ্কৃত হল অনেক বড় বড় প্রজাতির প্রাণী যেমন ভিয়েতনাম থেকে আবিষ্কৃত হয় জঙ্গল শূকর, রিউ-কিউ আর্কিপেলাগো থেকে আবিষ্কৃত হয় নতুন প্রজাতির একটি বড় হাঙর, মেক্সিকোতে পুমা (Puma), দক্ষিণ আমেরিকার চিতাবাঘসদৃশ হিংস্র জন্তুর মত দেখতে ভিন্ন এক প্রাণী ওনুজা (Onuja), মহাসাগরের তলদেশে আবিষ্কৃত জায়ান্ট বা বৃহৎ আকৃতির অক্টোপাস সহ নানান ধরনের বিচিত্র সব প্রাণী। বিজ্ঞানীরা বলছে পৃথিবী থেকে অনেক প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্ত ঘটেছে এবং একইভাবে ডাইনোসরেরও বিলুপ্তি ঘটেছিল। কিন্তু শাস্ত্র তথ্য অনুসারে প্রকৃতপক্ষে কোন প্রজাতিরই বিলুপ্ত ঘটেনি। পৃথিবীতে এরা এখনও রয়েছে হয়ত মানুষ এগুলোর সন্ধান পায়নি এখনও পর্যন্ত। বেদে উল্লেখ রয়েছে ৮৪,০০০০০ (৮৪লক্ষ) প্রজাতির জীব রয়েছে এবং সেগুলোর সবগুলিই এই পৃথিবীর প্রতিটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্রলয়ের পরও পুনরায় আবির্ভাব ঘটে। উল্লেখ্য, এই পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত আংশিক আংশিক প্রলয় সাধিত হচ্ছে। কোন না কোন স্থান প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। এভাবে সামগ্রিক প্রলয়ের পরও এই পৃথিবীতে সেই প্রজাতিগুলোর উদ্ভব ঘটে থাকে। শাস্ত্র অনুসারে জলজ নভ-লক্ষনি অর্থাৎ ৯ লক্ষ প্রজাতীর জলচর এবং পশস ত্রিমস্ল লক্ষনি  অর্থাৎ ৩০ লক্ষ প্রজাতীর পশু রয়েছে। যার মধ্যে মানুষ আবিস্কার করতে পেরেছে মাত্র কয়েকশ প্রজাতীর। তার মানে এখনও অনাবাঞ্ছিত রয়েছে বহু প্রজাতি তাহলে মানুষ কি করে নিশ্চিত হতে পারে যে, অনেক প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বড়জোর এটি বলা যায় আমাদের দৃশ্যমান নির্দিষ্ট স্থানে এই প্রাণীসমূহের বিলুপ্ত ঘটেছে বা দেখা মিলছে না। তার মানে এই নয় যে তারা পৃথিবী থেকেই বিলুপ্ত। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করলে যৌক্তিকতা উঠে আসে এখনও ডাইনোসর নামে ঐ প্রাণীর অস্থিত্ব প্রসঙ্গে তবে এক্ষেত্রে ডাইনোসর নামটি মানুষ প্রদত্ত নাম। এটি একটি বিরল প্রজাতীর বৃহৎ প্রাণী এদের অস্থিত্ব সাগর তলদেশে থাকাটাও অস্বাভাবিক নয়। বৈদিকশাস্ত্রে বৃহৎ আকারের প্রাণীদের নামের তালিকায় নাম নেই ডাইনোসরের। তবে যা কিছু বৃহৎ আকারের প্রাণীদের বর্ণনা দেওয়া আছে সেগুলো হল বৃহৎ ঈগল (শ্রীমদ্ভাগবত ৫.২৩.৩) তিমিঙ্গিলা একটি বৃহৎ তিমি (শ্রীমদ্ভাগবত ৮.৭.১৮,৮.১০১০-১২,১০.১.৫-৭)

শ্রীমদ্ভাগবতে  বর্ণিত আছে বৃহৎ আকারের টিকটিকির কথাও (৮.১০.১০-১২)। অবশ বেদেও উল্লেখ রয়েছে যে, সময়ের বির্বতনে এসব জীবগুলো কিছু ক্ষুদ্রাকৃতির হয়ে গেছে যেমন মানুষের কথায় ধরা যাক। মানুষই তে হাজার বছর পূর্বে দীর্ঘদেহী ছিল সেক্ষেত্রে অন্যান্য জীবদের কথা আর কি বলার আছে বিজ্ঞানীদের ধারণা ডাইনোসর দেখতে বিভিন্ন আকৃতির ছিল। কিছু ডাইনোসর আবার আকাশে উড়তেও পারত। এক্ষেত্রে উড়ত ডাইনোসরের সঙ্গে শাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বিরাট মিল পরিলক্ষিত হয়। হতে পারে, বর্তমানে যে ফসিলগুলো আবিষ্কৃত হচ্ছে তা ঐ প্রাণীরই।

পরবর্তীতে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত আর্টিকেল  দেওয়া হবে।

হরে কৃষ্ণ ।


মাসিক চৈতন্য সন্দেশ , সেপ্টেম্বর ২০১০ ইং

শেষ পর্ব এর লিংকঃ

ডাইনোসরের কি সত্যিই অস্তিত্ব ছিল? (শেষ পর্ব)

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।