এই পোস্টটি 570 বার দেখা হয়েছে
এখনো ঔরঙ্গজেব সন্তুষ্ঠ হলেন না। তিনি চাইলেন রথযাত্রা উৎসব যেন চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বিলগ্রাম থেকে উড়িষ্যা যাওয়ার জন্য মীর সাঈদ মোহাম্মদকে নির্দেশ দিলেন। মীর সাঈদ উড়িষ্যাগামী সকল রাস্তার পথ বন্ধ করে তীর্থযাত্রীদের পুরী যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিলেন। এরপর ১৬৯১ থেকে ১৭০৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ বছর পুরীতে জগন্নাথের আরাধনা চলল কোন ধরণের শংখ ঘন্টা শব্দ ব্যাতীত গোপনে। মন্দিরের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন একটি টানেলের ভেতর দিয়ে মন্দিরের পুরোহিত রাত্রিকালে গমন করতেন জগন্নাথের সেবার উদ্দেশ্যে। চন্দন যাত্রা, রুক্ষ্মনী হরণ সহ সকল উৎসব স্থগিত হয়। নিশ্চুপভাবে স্থানযাত্রা পালিত হয় জগন্নাথের সিংহাসনে এবং রথযাত্রা পালিত হয় ভোগ মন্ডপে যেখানে জগন্নাথের ভোগ নিবেদন করা হয়।
মীর সাঈদের বাধার কারণে তীর্থযাত্রীগণ পুরী যাত্রায় বিরত থাকতে বাধ্য হলেন। কঠক-রাজা-বংশাবলী গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে তীর্থযাত্রীদের বাধা দেওয়ার কারণে মন্দিরের অর্থ সংকট সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে উড়িষ্যাবাসী ও জগন্নাথের ভক্তগণ দীর্ঘদিন যাবত তাদের প্রাণনাথ জগন্নাথের দর্শন না পেয়ে মর্মাহত হন। চৌকাঠপন্থি নামক একটি উড়িষ্যা ইতিহাস গ্রন্থে সেই সময়কালীন পুরীর অবস্থাকে একটি শবদাহ স্থান বলে কল্পনা করা হয়েছে।
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ ও ব্যাক টু গডহেড এর ।। গ্রাহক ও এজেন্ট হতে পারেন
প্রয়োজনে : 01820-133161, 01758-878816, 01838-144699