এই পোস্টটি 567 বার দেখা হয়েছে
মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ও শ্রীজগন্নাথের কাহিনী
উড়িষ্যায় রয়েছে এমন একটি অজানা ইতিহাস যার মাধ্যমে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীজগন্নাথের কৃপা ও অনুকম্পার চিত্র ফুটে ওঠে। এই ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, পৃথিবীর অন্যতম সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত ও ভয়ের কারক যে শাসক তার প্রতিও জগন্নাথ কিভাবে কৃপাবারী বর্ষণ করেছেন। ভগবান জগন্নাথদেব হলেন এমন এক কৃপার মূর্তি যিনি তাকে শত্রু বলে মনে করা ব্যক্তিকেও কৃপা করেন।
১৬১৮ সালের ৪ নভেম্বর, মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব বাহাদুর আলমগীর, যিনি ঔরঙ্গজেব নামে অধিক সমাদিত, সমগ্র ভারতবর্ষের অধিপতিরূপে সিংহাসন আরোহন করেন এবং দীর্ঘ ৪৮ বছর শাসন করেন। ইতিপূর্বে মোঘল সিংহাসনে অধিষ্টিত হওয়ার জন্য ঔরঙ্গজেব তার বড় ভাইকে হত্যা করেন এবং তার পিতা সম্রাট শাহজাহানকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। শাহজাহান কারাগারে ৮ বছর পর মৃত্যু বরণ করেন। কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ বলেছেন (শ্রী.ভা. ১০/১/৬৭)–
“ভারতের ইতিহাসে দেখা গেছে যে, ঔরঙ্গজেব তার রাজনৈতিক উচ্চাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য তার ভাই এবং ভ্রাতুষ্পুত্রদের হত্যা করেছিল এবং তার পিতাকে বন্দী করেছিল। এই রকম বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে, কংস ছিল সেই রকমই একজন রাজা। কংস তার ভাগ্নেয়দের হত্যা করতে এবং তাঁর ভগ্নী ও পিতাকে কারারুদ্ধ করতে ইতস্তত করেনি। অসুরদের পক্ষে এই ধরণের কার্য মোটেই আশ্চর্যজনক নয়।”
ইতিহাসবিদ এ.এফ.রুডলফ্ ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব সর্ম্পকে “এ হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া”(পৃষ্ঠা ১০৬) গ্রন্থে লিখেছেন-
[ঔরঙ্গজেব] ছিলেন একজন অসহিষ্ণু সুন্নি গোত্রীয় শাসক। তিনি একজন বিগ্রহ চূর্ণকারী এবং অন্য ধর্মে বিশ্বাসীদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণকারী ও নিগ্রহকারী শাসক।
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ ও ব্যাক টু গডহেড এর ।। গ্রাহক ও এজেন্ট হতে পারেন
প্রয়োজনে : 01820-133161, 01758-878816, 01838-144699