প্রকাশ: ৪ নভেম্বর ২০২২ | ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০২২ | ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ
এই পোস্টটি 160 বার দেখা হয়েছে
রাধাবিনোদিনী দাসী (বিন্তি বণিক)
‘অক্ষয়’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ যার ‘ক্ষয় বা বিকার নেই’। কিন্তু অক্ষয় তৃতীয়া ব্যাপারটি কি? তৃতীয়া যা কিনা অক্ষয়। প্রতি বছরের বৈশাখ মাসে শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথিটিকে বলা হয় অক্ষয় তৃতীয়া। এই তিথিকে অক্ষয়তীজ্ বা পরশুরাম জয়ন্তীও বলা হয়। এটি একটি বছরের মাহত্ম্যপূর্ণ দিন। আবার ঐদিন যদি হয় সোমবার আর রোহিণী নক্ষত্র সমাসীন, তবে তো কথাই নেই। দিনটি আরও বেশী বিশিষ্টতা পায়। বৈশাখ মাসের এই বিশেষ দিনে দেখা গেছে নানাবিধ মহতী কর্মের সূচনার পরম্পরা । আমাদের অতীত ইতিহাস অবলোকন করলে এমন সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই দিনে ঘটতে দেখা যায় যার পরিণাম ফল আজও ক্ষয়হীন হয়ে সময়ের স্রোতের সঙ্গে নিরবধি বয়ে চলেছে। তাই তো আবহমান কাল থেকে এই দিনে অনুষ্ঠিত যে কোন শুভ কার্যানুষ্ঠানের পুণ্যফল অক্ষয় বলে ধার্য হয়। ‘অক্ষয়, তৃতীয়া’ আখ্যা তাই সার্থক। এ তিথি যে বাস্তবিকই অক্ষয়, তার প্রমাণস্বরূপ অতীতে, পুরাণে যে সমস্ত ঘটনাবলী ঘটছে তার বিবরণী প্রসঙ্গ হল—
১) এই তিথিতে সত্যযুগের সূচনা হয়।
২) এই তিথিতে পুণ্যতোয়া, পুণ্যসলিলা ভগবতীদেবী গঙ্গা মর্ত্যে অবতরণ করেন। তারপর থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অক্ষয় জলসম্ভার সমেত মর্ত্যবাসীর জীবনদায়িনী তথা পাপনাশিনী নদী রূপে প্রবাহমানা।
৩) ভগবানের দশ অবতারের অন্যতম ষষ্ঠ অবতার ‘পরশুরামদেব’ এই তিথিতেই আবির্ভূত হন অবনীমাঝে। তিনি তো চিরঞ্জীবী। অমর, অক্ষয় আয়ু নিয়ে আজও মর্ত্তচারী। তাই এ তিথির আরেক নাম ‘পরশুরাম জয়ন্তী’।
৪) এই তিথিতেই ব্যাসদেব মহাভারত রচনা শুরু করেন। মহাভারতের মধ্যে ২৫ থেকে ৪২ পর্যন্ত আঠারো অধ্যায় ‘গীতা’য়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী রয়েছে, যা অনন্তকাল হতে আমাদের ভবসাগর উত্তরনের অক্ষয় পথপ্রদর্শক।
৫) দেবী পার্বতীর অপর এক রূপ ‘মা অন্নপূর্ণা” এই তিথিতেই আবির্ভূতা হয়ে মহাদেবকে অন্নভিক্ষা দেন। তারপর থেকে অন্নের অক্ষয় উৎসস্বরূপা রূপে দেবী পূজিতা হন ।
৬) এই তিথিতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম বান্ধব সুদামা বিপ্র দ্বারকাতে তাঁর প্রসাদে আসেন, নিজের দারিদ্রাবস্থার কথা জানিয়ে কিছু অর্থ সাহায্য লব্ধ হতে। কিন্তু ‘অতিথি দেবঃ ভবঃ’ এবং ‘ব্রাহ্মণ নিত্য পূজ্য’-এই জ্ঞানে শ্রীকৃষ্ণ বিপ্ৰ সুদামাকে যে আতিথেয়তা করেন, তাতে মুগ্ধ হয়ে সুদামা আর নিজের দৈন্যাবস্থার কথা মুখ ফুটে বলতে পারেননি। এমনকী কৃষ্ণের প্রাসাদে সম্পদের বৈভব দেখে, তাঁর জন্য আনা কাপড়ে বাঁধা সামান্য চালভাজাটুকুও লজ্জায় আর দিতে পারেননি সুদামা। কিন্তু ভক্তবৎসল ভগবান বাসুদেব যে ভাবগ্রাহী। তিনি ভাবটুকু গ্রহণ করেন, কেবল ভেট নয়। তাই নিজেই সেই চালভাজা খেয়ে পরম তৃপ্ত হন। আর সুদামা বিপ্ৰ নিজমুখে কিছু না চাইলেও, বাড়িতে ফিরে দেখেন যে তার ক্ষুদ্র কুটীরের পরিবর্তে বৃহৎ অট্টালিকা অবস্থান করছে সেখানে। শ্রীভগবান অযাচিত করুণাভরে সবকিছু সাজিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁর একান্ত প্রিয় বান্ধব তথা ভক্তপ্রবর সুদামাকে। এই লীলার দ্বারা এটাই প্রমাণ হয় যে, ভক্তের চাওয়ার অপেক্ষা করেন না ভগবান। অহৈতুকী অযাচিত কৃপা অক্ষয়রূপে তিনি নিজে থেকেই করেন তাঁর নিষ্কাম ভক্তের প্রতি। সত্যি, তাঁর মতো সুহৃদ, তাঁর মতো পরম বান্ধব আর কে আছেন?
৭) দুর্যোধনের নির্দেশে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করে দুঃশাসন এই তিথিতেই। কিন্তু দ্রৌপদী যখন পূর্ণ বিশ্বাসসহ শরণাগতি স্বীকার করে আত্মনিবেদন করলেন মনে মনে শ্রীকৃষ্ণের চরণে, তখন ভগবান অনন্ত বস্ত্রের যোগান দিয়ে তাঁর সম্মান রক্ষা করলেন। পূর্ণেরূপে ভগবানের চরণকমলে আত্মনিবেদিত হতে পারলে যে ভগবানই রক্ষা কর্তা হয়ে অক্ষয় কৃপা করেন— এ লীলা তারই নিদর্শন।
৮) কথিত আছে-অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই সূর্যদেব পান্ডবদের বনবাসের সময় অক্ষয় পাত্র দান করেন। একথালা অন্ন দ্রৌপদীর আহার গ্রহণের আগে পর্যন্ত যতজন উপস্থিত থাকতো তাদেরকে খাওয়ানো যেত।
৯) দীর্ঘকাল তপস্যার পর মহাদেবকে প্রসন্ন করে যক্ষরাজ কুবের স্বর্গের সমস্ত ধনসম্পত্তির অধিকারী দেবতা হন এই তিথিতেই ।
১০) এই তিথিতেই প্রতিবছর পুরীতে শ্রীজগন্নাথদেবের রথের নির্মাণকার্যের শুভ সূচনা হয়। ভক্তবৎসল জগন্নাথদেব ভক্ত দর্শনের জন্য রথযাত্রা করেন, আর ভক্তদের প্রতিও তাঁর অক্ষয় কৃপা যে স্বয়ং ভগবান মন্দির থেকে পথে আসেন তাঁদের দর্শনসুখ দিতে।
১১) প্রবাদ আছে-এই তিথিতেই ভিক্ষা করতে গিয়ে আদি শঙ্করাচার্য এক নিঃসম্বল দম্পতির থেকে, তাদের কুটীরের একমাত্র খাদ্যবস্তু একটি টেপারি ফল প্রাপ্ত হলেন। নিদারুণ দৈন্যাবস্থা সত্ত্বেও ক্ষুধায় কাতর দম্পতির ভিক্ষাদানে এমন আগ্রহ দেখে শঙ্করাচার্য ‘কলকাধার’ নামক বিখ্যাত শ্লোকটি রচনা করেন, যা তার এক অক্ষয় কীর্তি ।
১২) ‘গোয়া’ ও ‘কেরল’ এই তিথিতেই পরশুরাম ক্ষেত্র নামে চিহ্নিত হয়।
অতএব, আমরা উপলব্ধি করতে পারছি যে, অক্ষয় তৃতীয়া তিথি পরম মহিমাময়। এই তিথিতে যা শুভকর্ম করা হয়, তার ফল অক্ষয় পুণ্যদায়িনী। যা জ্ঞান আহরণ করা হয়, এই তিথিতে- তাও অক্ষয় প্রভাব ফেলে বুদ্ধিতে, চিত্তে। দানের ফলও অক্ষয় হয়। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তাহলে এই তিথিতে যদি ইচ্ছা-অনিচ্ছায় বা অজ্ঞাতে যদি কোন পাপকর্ম করে ফেলি, তবে সেটাও অক্ষয় পাপ হয়ে কর্মফলের খাতায় লেখা থাকে। তাই সতর্ক থাকাটাই শ্রেয়। অজান্তেও কোন পাপ বা বৈষ্ণব অপরাধ, সেবাপরাধ নামাপরাধ না করে ফেলি বা কোন কুভাবনা না ভাবি- সে বিষয়ে সজাগ থাকাটাই সমীচীন। তাই এই মাহাত্ম্যপূর্ণ তিথিকে ভাগবত শ্রবণ, শ্রীনামসংকীর্তন, সগ্রন্থ অধ্যয়ন, অর্চন-বন্দন, শ্রীগুরুসেবা, সাধুসঙ্গ, মালা জপ-বেশী করে মনকে গৌর-গোবিন্দের শ্রীচরণসেবায় ব্যস্ত রাখব ।
১) এই তিথিতে সত্যযুগের সূচনা হয়।
২) এই তিথিতে পুণ্যতোয়া, পুণ্যসলিলা ভগবতীদেবী গঙ্গা মর্ত্যে অবতরণ করেন। তারপর থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অক্ষয় জলসম্ভার সমেত মর্ত্যবাসীর জীবনদায়িনী তথা পাপনাশিনী নদী রূপে প্রবাহমানা।
৩) ভগবানের দশ অবতারের অন্যতম ষষ্ঠ অবতার ‘পরশুরামদেব’ এই তিথিতেই আবির্ভূত হন অবনীমাঝে। তিনি তো চিরঞ্জীবী। অমর, অক্ষয় আয়ু নিয়ে আজও মর্ত্তচারী। তাই এ তিথির আরেক নাম ‘পরশুরাম জয়ন্তী’।
৪) এই তিথিতেই ব্যাসদেব মহাভারত রচনা শুরু করেন। মহাভারতের মধ্যে ২৫ থেকে ৪২ পর্যন্ত আঠারো অধ্যায় ‘গীতা’য়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী রয়েছে, যা অনন্তকাল হতে আমাদের ভবসাগর উত্তরনের অক্ষয় পথপ্রদর্শক।
৫) দেবী পার্বতীর অপর এক রূপ ‘মা অন্নপূর্ণা” এই তিথিতেই আবির্ভূতা হয়ে মহাদেবকে অন্নভিক্ষা দেন। তারপর থেকে অন্নের অক্ষয় উৎসস্বরূপা রূপে দেবী পূজিতা হন ।
৬) এই তিথিতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম বান্ধব সুদামা বিপ্র দ্বারকাতে তাঁর প্রসাদে আসেন, নিজের দারিদ্রাবস্থার কথা জানিয়ে কিছু অর্থ সাহায্য লব্ধ হতে। কিন্তু ‘অতিথি দেবঃ ভবঃ’ এবং ‘ব্রাহ্মণ নিত্য পূজ্য’-এই জ্ঞানে শ্রীকৃষ্ণ বিপ্ৰ সুদামাকে যে আতিথেয়তা করেন, তাতে মুগ্ধ হয়ে সুদামা আর নিজের দৈন্যাবস্থার কথা মুখ ফুটে বলতে পারেননি। এমনকী কৃষ্ণের প্রাসাদে সম্পদের বৈভব দেখে, তাঁর জন্য আনা কাপড়ে বাঁধা সামান্য চালভাজাটুকুও লজ্জায় আর দিতে পারেননি সুদামা। কিন্তু ভক্তবৎসল ভগবান বাসুদেব যে ভাবগ্রাহী। তিনি ভাবটুকু গ্রহণ করেন, কেবল ভেট নয়। তাই নিজেই সেই চালভাজা খেয়ে পরম তৃপ্ত হন। আর সুদামা বিপ্ৰ নিজমুখে কিছু না চাইলেও, বাড়িতে ফিরে দেখেন যে তার ক্ষুদ্র কুটীরের পরিবর্তে বৃহৎ অট্টালিকা অবস্থান করছে সেখানে। শ্রীভগবান অযাচিত করুণাভরে সবকিছু সাজিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁর একান্ত প্রিয় বান্ধব তথা ভক্তপ্রবর সুদামাকে। এই লীলার দ্বারা এটাই প্রমাণ হয় যে, ভক্তের চাওয়ার অপেক্ষা করেন না ভগবান। অহৈতুকী অযাচিত কৃপা অক্ষয়রূপে তিনি নিজে থেকেই করেন তাঁর নিষ্কাম ভক্তের প্রতি। সত্যি, তাঁর মতো সুহৃদ, তাঁর মতো পরম বান্ধব আর কে আছেন?
৭) দুর্যোধনের নির্দেশে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করে দুঃশাসন এই তিথিতেই। কিন্তু দ্রৌপদী যখন পূর্ণ বিশ্বাসসহ শরণাগতি স্বীকার করে আত্মনিবেদন করলেন মনে মনে শ্রীকৃষ্ণের চরণে, তখন ভগবান অনন্ত বস্ত্রের যোগান দিয়ে তাঁর সম্মান রক্ষা করলেন। পূর্ণেরূপে ভগবানের চরণকমলে আত্মনিবেদিত হতে পারলে যে ভগবানই রক্ষা কর্তা হয়ে অক্ষয় কৃপা করেন— এ লীলা তারই নিদর্শন।
৮) কথিত আছে-অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই সূর্যদেব পান্ডবদের বনবাসের সময় অক্ষয় পাত্র দান করেন। একথালা অন্ন দ্রৌপদীর আহার গ্রহণের আগে পর্যন্ত যতজন উপস্থিত থাকতো তাদেরকে খাওয়ানো যেত।
৯) দীর্ঘকাল তপস্যার পর মহাদেবকে প্রসন্ন করে যক্ষরাজ কুবের স্বর্গের সমস্ত ধনসম্পত্তির অধিকারী দেবতা হন এই তিথিতেই ।
১০) এই তিথিতেই প্রতিবছর পুরীতে শ্রীজগন্নাথদেবের রথের নির্মাণকার্যের শুভ সূচনা হয়। ভক্তবৎসল জগন্নাথদেব ভক্ত দর্শনের জন্য রথযাত্রা করেন, আর ভক্তদের প্রতিও তাঁর অক্ষয় কৃপা যে স্বয়ং ভগবান মন্দির থেকে পথে আসেন তাঁদের দর্শনসুখ দিতে।
১১) প্রবাদ আছে-এই তিথিতেই ভিক্ষা করতে গিয়ে আদি শঙ্করাচার্য এক নিঃসম্বল দম্পতির থেকে, তাদের কুটীরের একমাত্র খাদ্যবস্তু একটি টেপারি ফল প্রাপ্ত হলেন। নিদারুণ দৈন্যাবস্থা সত্ত্বেও ক্ষুধায় কাতর দম্পতির ভিক্ষাদানে এমন আগ্রহ দেখে শঙ্করাচার্য ‘কলকাধার’ নামক বিখ্যাত শ্লোকটি রচনা করেন, যা তার এক অক্ষয় কীর্তি ।
১২) ‘গোয়া’ ও ‘কেরল’ এই তিথিতেই পরশুরাম ক্ষেত্র নামে চিহ্নিত হয়।
অতএব, আমরা উপলব্ধি করতে পারছি যে, অক্ষয় তৃতীয়া তিথি পরম মহিমাময়। এই তিথিতে যা শুভকর্ম করা হয়, তার ফল অক্ষয় পুণ্যদায়িনী। যা জ্ঞান আহরণ করা হয়, এই তিথিতে- তাও অক্ষয় প্রভাব ফেলে বুদ্ধিতে, চিত্তে। দানের ফলও অক্ষয় হয়। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তাহলে এই তিথিতে যদি ইচ্ছা-অনিচ্ছায় বা অজ্ঞাতে যদি কোন পাপকর্ম করে ফেলি, তবে সেটাও অক্ষয় পাপ হয়ে কর্মফলের খাতায় লেখা থাকে। তাই সতর্ক থাকাটাই শ্রেয়। অজান্তেও কোন পাপ বা বৈষ্ণব অপরাধ, সেবাপরাধ নামাপরাধ না করে ফেলি বা কোন কুভাবনা না ভাবি- সে বিষয়ে সজাগ থাকাটাই সমীচীন। তাই এই মাহাত্ম্যপূর্ণ তিথিকে ভাগবত শ্রবণ, শ্রীনামসংকীর্তন, সগ্রন্থ অধ্যয়ন, অর্চন-বন্দন, শ্রীগুরুসেবা, সাধুসঙ্গ, মালা জপ-বেশী করে মনকে গৌর-গোবিন্দের শ্রীচরণসেবায় ব্যস্ত রাখব ।
‘যার থাকবে গৌরপ্রেমে রতি,
কলি তার করবে কোন্ ক্ষতি?
অক্ষয় তৃতীয়ায় ক্ষয়হীন কৃপা এভাবেই একমাত্র লব্ধ করা সম্ভব।
লেখক পরিচিতি: রাধাবিনোদিনী দাসী (শ্রীমতি বিন্ত বণিক) বিগত ২০ বৎসর ধরে ভক্তি জীবনে যুক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সমগ্র পার্ষদবৃন্দের জীবনী লেখনীর সুমহান ব্রতী আছেন।
লেখক পরিচিতি: রাধাবিনোদিনী দাসী (শ্রীমতি বিন্ত বণিক) বিগত ২০ বৎসর ধরে ভক্তি জীবনে যুক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সমগ্র পার্ষদবৃন্দের জীবনী লেখনীর সুমহান ব্রতী আছেন।