এই পোস্টটি 1055 বার দেখা হয়েছে

শ্রীমৎ গোপাল কৃষ্ণ গোস্বামী মহারাজ হরে কৃষ্ণ টিভি চ্যানেলের প্রশংসা করেন: “তোমরা টিভি চ্যালেল খুললে দেখবে, সেখানে ধর্মীয় চ্যানেলসহ অনেক ধরনের প্রোগ্রাম চালু আছে। এগুলোর মধ্যে হরেকৃষ্ণ টিভিও একটি। শ্রীল প্রভুপাদের মিশনকে প্রতিটি গ্রামে-নগরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য Iskcon Desiree Tree অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। আমার অনুরোধ, তোমরা তাদেরকে সমর্থন দিও।”
প্রচার কার্যে সহায়তার জন্য এ হরে কৃষ্ণ টিভি চ্যানেল নির্মাণ করা হয়। বিশেষ করে, বর্তমানে ইসকনের নানা ধরনের কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান সকলের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দেয়াও এর অন্যতম লক্ষ্য। এ চ্যানেলটি দিনে ধর্মীয় হিন্দি প্রোগ্রামও রাতে ধর্মীয় ইংলিশ প্রোগ্রাম দেখায়। এ টেলিভিশন প্রকল্পটি চালু করার জন্য Iskcon Desiree Tree তে কাজ করেছেন আটত্রিশ জন ভক্ত। তাদের সার্বক্ষণিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাও কর্মযজ্ঞের ফসল স্বরূপ গড়ে ওঠে এ হরেকৃষ্ণ চ্যানেল। এ কাজে যাদের অবদান রয়েছে তারা হলেন শ্রীমৎ -গোপাল কৃষ্ণ গোস্বামী, রাধা গোবিন্দ স্বামী, জয়পতাকা স্বামী, লোকনাথ স্বামী, রাধা গোবিন্দ স্বামী, রাধানাথ স্বামী, ভক্তি ধীর স্বামী ও ভক্তি বিকাশ স্বামী মহারাজের শিষ্যবৃন্দ।
হরে কৃষ্ণ টিভি তার কার্যক্রম আরো বেগবান করতে ভক্তদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা ও কৃপাভিক্ষা আশা করছে। শ্রীল প্রভুপাদের কৃপা প্রতিটি গ্রামে ও নগরে পৌঁছে দেয়ার জন্য এর অপার সম্ভাবনা রয়েছে। হরেকৃষ্ণ টিভি ভক্তদের কাছ থেকে মাসিক অনুদান আশা করছে। শ্রীল প্রভুপাদের কৃপা সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য শীঘ্রই আপনাদের কাছ থেকে আর্থিক আনুকল্য ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি। এ টেলিভিশন প্রকল্পটির মধ্য দিয়ে আমরা ইস্কনের যাবতীয় কার্যসমূহ আপনাদের অবহিত করতে পারব।
২০ শে এপিল ২০১৮, ইসকন্ মিরারোডে সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান কালে Iskcon Desiree Tree Team শ্রীমৎ গোপাল কৃষ্ণ গোস্বামী মহারাজের নিকট তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কেননা তাঁর সহায়তায় এ চ্যানেলটি লাখো পরিবারের দ্বার প্রান্তে পৌঁছায়।
২০১৬ সালে জন্মাষ্টমী উৎসব হতে চালু হওয়া হরে কৃষ্ণ টেলিভিশন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। অনুমান করা হয় যে, ভারতবর্ষে টেলিভিশন দেখেন এমন ৩ কোটিরও বেশি পরিবারের কাছে হরে কৃষ্ণ টিভি চ্যানেলটি পৌঁছেছে। এটি ভারত ছাড়াও অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপ, ফিজি, গুয়ানা, জাপান, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সাউথ আফ্রিকা, ত্রিনিদাদ এবং টোবাকো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট এবং যুক্তরাজ্য-তে যাত্রা শুরু করেছে।হরেকৃষ্ণ।
(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ জুন ২০১৮ সালে প্রকাশিত)