শ্রীমদ্ভাগবত মাহাত্ম্য

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২০ | ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২০ | ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 819 বার দেখা হয়েছে

শ্রীমদ্ভাগবত মাহাত্ম্য

?এক সেট ভাগবত যদি কোনো গৃহে থাকে, তাহলে সেই গৃহ তীর্থে পরিণত হয়,কারণ সেই গৃহে ভগবান আছেন ।
– শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ
শ্রীমদ্ভাগবতীয় প্রবচন, ২২ আগস্ট ২০২০, মায়াপুর।

?শ্রীমদ্ভাগবতে(১২.১৩.১৩) বলা হয়েছে ঃ
? ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে যদি কেউ স্বর্ণ সিংহাসনে শ্রীমদ্ভাগবত স্থাপন করেন এবং তা উপহারস্বরূপ প্রদান করেন, তবে তিনি পরম চিন্ময় গতি লাভ করেন।”?

?”হে প্রিয় বৎস,যতদিন পর্যন্ত শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থটি কারও গৃহে থাকে,ততদিন পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষেরা দুধ,ঘি,মধু ও জল উপভোগ করে।?

?”এই কলিযুগে যারা নিজ গৃহে নিয়মিত শ্রীমদ্ভাগবত পূজা করে এবং নিঃশঙ্ক চিত্তে নৃত্য করে,তাদের প্রতি আমি অতীব তুষ্ট।”?

?”যে ব্যক্তি শ্রদ্ধায় দাঁড়িয়ে শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থকে প্রণাম নিবেদন করে,আমি তাকে ধন-সম্পদ, ভার্যা,সন্তানাদি ও ভক্তিপূর্ণ সেবা দান করি।”?

?শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণের ফলে ধার্মিক হয় এবং সর্ব রোগ ও পাপ মুক্ত হয়ে দীর্ঘ-জীবন লাভ করে।?

?কলি-যুগে যেখানেই পবিত্র শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ হয়,সেখানেই সকল দেব-দেবী সমভিব্যাহারে আমি বাস করি।?

?প্রিয় বৎস, যারা ষোড়শোপচারে শ্রীমদ্ভাগবতের পূজা করে ও ভক্তি সহকারে ভাগবত শ্রবণ করে তাদের দ্বারা আমি নিয়ন্ত্রিত। ?

?আমার সন্তুষ্টির জন্য যারা এই উৎসবে অংশগ্রহন করে ও ভক্তিসহকারে শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণ করে এবং যারা বস্ত্র,অলংকার, পুষ্প, প্রদীপ ও ধূপ-ধুনা ইত্যাদি সুগন্ধী দ্রব্য দিয়ে শ্রীমদ্ভাগবতের পূজা করে তারা সতীনারী তার পতিকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

?প্রতিদিন নিয়মিতভাবে যে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করে পিঙ্গলবর্ণের গো-দানের ফল সে অক্ষরে অক্ষরে লাভ করে থাকে।

?যে প্রতিদিন শ্রীমদ্ভাগবতের অর্ধ বা এক চতুর্থাংশ শ্লোকও পাঠ বা শ্রবন করে,এক সহস্র গো-দান জনিত ফল সে লাভ করে।?

?প্রিয় বৎস, যে সম্পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে প্রতিদিন শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করে, অষ্টাদশ পুরাণ পাঠের ফল তার লাভ হয়।?

?শ্রীমদ্ভাগবত অর্চনকারী কলির এক্তিয়ার বর্হিভূত।

?ভক্তিসহকারে যে ব্যক্তি শ্রীমদ্ভাগবত কোন বৈষ্ণবকে দান করে,লক্ষ লক্ষ কল্প সে আমার আলয়ে বাস করে।?

?প্রিয় বৎস, যেখানে শ্রীমদ্ভাগবত কথা আলোচনা হয়, সেখানেই সকল পবিত্র নদ-নদী,কুন্ড,হ্রদ,সকল যজ্ঞ,সপ্ত তীর্থক্ষেত্র-অযোধ্যা,মথুরা,মায়া(হরিদ্বার), কাশী,কাঞ্চি,অবন্তি(উজ্জয়িন)ও দ্বারকা-এবং পবিত্র পর্বতসমূহ উপস্থিত থাকে।?

?”হে চতুরানন ব্রক্ষা,গাভী যেমন স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার বৎসকে অনুসরণ করে আমিও তেমনই যেখানে শ্রীমদ্ভাগবত প্রসঙ্গের আলোচনা হয় সেখানেই গমন করি।?

?শ্রীমদ্ভাগবত কথন ও শ্রবন উপভোগকারীকে আমি কখনও পরিত্যাগ করি না।?

?শ্রীমদ্ভাগবতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যে দাঁড়িয়ে এই গ্রন্থের প্রতি প্রণাম নিবেদন করে অন্তিমে আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট হই।?

?শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থকে যে পায়ে হেঁটে পরিক্রমা করে, প্রতি পদক্ষেপে তার অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।?

?”শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণে যে বিশুদ্ধতা অর্জন করা যায়,বদরিকাশ্রম দর্শনে বা প্রয়াগ-সঙ্গমে অবগাহন করেও সেই শুদ্ধতা অর্জন করা যায় না।”?

??সংগ্রহঃ শ্রীমদ্ভাগবত(অমল পুরাণ)?

??শ্রীমদ্ভাগবত নিজে গ্রহণ করুন এবং অপরকে(আত্মীয় -স্বজন,বন্ধু-বান্ধব,প্রতিবেশী) উৎসাহিত করুন এবং প্রকৃত পরোপকার করুন।??

?”ভারত ভূমিতে মনুষ্য জন্ম হইল যার জন্ম স্বার্থক করি করো পরোপকার

Call : 01820133161, 01838-144699

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।