এই পোস্টটি 410 বার দেখা হয়েছে

নিত্যানন্দ প্রভু একচক্রা ধামে খেলার বাস্তব প্রেমের সুধারস আস্বাদনে মাতোয়ারা ছিলেন। তাঁর ভাবী জীবনের লীলা বাল্য খেলাতেই সূচিত হয়েছিল। বাল্যলীলাচ্ছলে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু শ্রীকৃষ্ণলীলা, রামলীলাদি তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে অভিনয় করতেন। তিনি জাগতিক সাধারণ শিশুদের মতো শৈশবোচিত খেলা খেলতেন না। তিনি শ্রীকৃষ্ণের ও শ্রীরামচন্দ্রের লীলা বিষয়ক খেলা খেলে লোক শিক্ষা প্রদান করেছেন। যাত্রাগানে, গীতাভিনয়ে যে সব সাজ সজ্জার প্রয়োজন শ্রীনিত্যান্দ অতি বাল্য বয়সে যথাসম্ভব সেই সব সাজ সজ্জার আয়োজন করতেন, তাতে সুচারুরূপে লীলাভিনয় সম্পন্ন হতো। এর ফলে নরনারীগণের চিত্তে যে কেবল আনন্দেরই সঞ্চার হতো তা নয়, তাদের হৃদয় ভক্তিরসে প্লাবিত হতো।
খেলাছলে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুসকল নর-নারীদের চিত্তে এ ভাবে নিত্য আনন্দময় ভক্তিরসের সঞ্চার করতেন। পৌগণ্ড বয়সে মহাসমারোহে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর উপনয়ন সংস্কার সম্পন্ন হয়েছিল। শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু পাঠশালায় অল্প দিনের মধ্যেই ব্যাকরণাদি শাস্ত্রে বিচক্ষণ হয়েছিলেন দ্বাদশ বছরের মধ্যেই তার অসাধারণ প্রতিভা দর্শনে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে “ন্যায় চূড়ামণি” উপাধি প্রদান করা হয়েছিল।