মুম্বাই সন্ত্রাস : যুদ্ধ নাকি ইন্দ্ৰিয়াতীত বিষয়?

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২১ | ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৫ মে ২০২১ | ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 297 বার দেখা হয়েছে

মুম্বাই সন্ত্রাস : যুদ্ধ নাকি ইন্দ্ৰিয়াতীত বিষয়?

পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানাবিধ দুর্ঘটনা, তবে প্রকৃত সমস্যা কোন্‌টি?

ব্রজবিহারী দাস

এক বন্ধু আমাকে হঠাৎ বলল, মুম্বাই শহর হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসীদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়েছে, তখন আমি তাকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। এরপর একজন প্রতিবেশী তৎক্ষণাৎ দ্রুত বেগে এসে জানাল যে, পুলিশ দু’জন সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করেছেন, সেই স্থানটি আমাদের মন্দিরের মাত্র কয়েক মিটার দূরে অবস্থিত। যখনই সাইরেন বেজে উঠল, তৎক্ষণাৎ সমগ্র শহরে ভীতি ছড়িয়ে পড়ল। অধিকাংশ মানুষের মাঝে বিশৃঙ্খলা, অনিশ্চয়তা ও উদ্বিগ্নতা দেখা গেল। সেই মুহূর্তে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা মুম্বাইয়ের দুইটি প্রথম সারির হোটেলের দখল নিয়ে নিল, সেগুলোও আমাদের মন্দিরের খুবই সন্নিকটবর্তী। দ্রুতবেগে কমান্ডো সৈন্যগণ এসে অবশেষে ৭২ ঘন্টা পর রুদ্ধশ্বাস অভিযান সফলভাবে শেষ হয়।

প্রচারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ

মুম্বাই হামলার পরপরই তিন লক্ষাধিক নাগরিক র্যালি বের করে পাকিস্তানে সামরিক হামলার পক্ষে জোর দাবি জানায় কেননা হামলা পরিচালনাকারীগণ পাকিস্তানে ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়েছিল । “রাজনৈতিক বিপ্লবের যদি প্রয়োজন না হয়, তবে বর্তমানে কৃষ্ণভাবনামৃতের প্রাসঙ্গিকতা বা প্রয়োজনীয়তা কোথায়?” আমাকে উক্ত কথাটি বলে চ্যালেঞ্জ জানাল একজন ছাত্র ।
আমি উপস্থিত দর্শনার্থীদের এই বলে আশ্বস্ত করলাম যে, আমাদের নেতাগণ অবশ্যই অসহায় জনগণের সুরক্ষায় অবশ্যই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং আমাদের সকলকে একত্রিত থাকতে হবে যাতে আমরা সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে পারি। কিন্তু এই সমস্যা ব্যক্তিগতভাবে মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথে আমাদের অবশ্যই সর্বদাই নিজেদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃত সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরি সন্ত্রাস থাকুক বা না থাকুক আমাদের জীবনের সবচেয়ে অপছন্দনীয় সত্য মৃত্যু, রোগ-ব্যাধি, বৃদ্ধ হওয়া এবং পুনঃপুনঃ জন্মগ্রহণের মত প্রকৃত সমস্যা আমাদের দিকে সর্বদাই তাকিয়ে আছে এবং যেকোনো মুহূর্তে হামলা করার জন্য প্রস্তুত আছে। (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১৩/৯)
পারমার্থিকতা অনুশীলন আমাদের চেতনাকে পরিশুদ্ধ করে। আমি তাদের বললাম যে, এই পারমার্থিকতা অনুশীলন আমাদেরকে মৃত্যুর সময় পরমেশ্বর ভগবানকে স্মরণ করার জন্য সাহায্য করবে। ভক্তিজীবন অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত থাকতে পারব যে, এই দুঃখ দুদর্শাপূর্ণ জড়জগতে আমাদের আর জন্মগ্রহণ করতে হবে না, বরং আমরা নিত্য শাশ্বতভাবে পরমেশ্বর ভগবানের নিজ আলয় চিন্ময় জগতে অবস্থানের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারব। (শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতা ৮/১৬)
একজন ছাত্র আমাকে জানাল যে, “কিন্তু এই ট্র্যাজেডি আমাদের চেতনাকে সম্পূর্ণ নষ্ট করেছে। আমি জপ করতে পারছি না, আমি কোনো আশা খুঁজে পাচ্ছি না।”

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার চেয়েও জরুরি কার্য

আমার ভাবনায় ১৯২০ সালের ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য ভারতবাসীদের অধিক কষ্টকর অবস্থার কথা মনে পড়ল। পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালা অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ মিছিলকারীদের ওপর গুলি বর্ষণের জন্য জেনারেল দিয়ার তাঁর সৈন্যদের নির্দেশ দিলেন। ব্রিটিশ শাসনে হাজার হাজার ভারতবাসী নিহত হওয়ার পর তারা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য স্বাধীনতা আকাঙ্খা করছিল । যুবক অভয় (শ্রীল প্রভুপাদের বাল্য নাম) তখন তাঁর ভবিষ্যত গুরুদেব শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের সাথে প্রথম সাক্ষাতে ভারতের স্বাধীনতা লাভকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন। শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর অভয়কে ইংরেজি ভাষাভাষী পাশ্চাত্য জনগণের কাছে কৃষ্ণভাবনা প্রচারের জন্য উপদেশ দেন। কিন্তু অভয় এর প্রতিবাদ করলেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ভারত স্বাধীনতা অর্জন না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কৃষ্ণভাবনা প্রচারের প্রাসঙ্গিকতা নেই।
এই বক্তব্য সমগ্র দেশ হয়তোবা অভয়কে সমর্থন জানাত, কিন্তু শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর অত্যন্ত দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করলেন যে, কৃষ্ণভাবনা প্রচারই হল প্রকৃত গুরুতর কার্য এবং এটি স্বাধীনতা লাভের অনুপবর্তীও নয়। যথাযথ পারমার্থিক শিক্ষার অভাবই হল একমাত্র সমস্যা এবং কৃষ্ণভাবনামৃতই হল একমাত্র সমাধান।
ভারত স্বাধীনতা লাভের ৬০ বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনও তারা নানাবিধ সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারে নি, বরং সমস্যার পাল্লাটা আরো বেশি ভারী হয়েছে ৷ মন্দা, ক্ষুধা, নৈরাজ্য, পরিবারে ভাঙ্গন, শিশু নির্যাতন হল কয়েকটি মাত্র সমস্যা যা হাজারো জনগণের পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনো পরিবারসমূহ তাদের টিভির সাথে আঠার মত আষ্টেপৃষ্টে বসে ব্রেকিং নিউজের মত সমস্যা বৃদ্ধি করছেন, কিন্তু তারা মনে করছেন কৃষ্ণভাবনা আমার জীবনে এখনো আসার সময় হয় নি !

পারমার্থিকতার প্রতি
শ্রীল প্রভুপাদের আকুতি

শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের প্রথম দর্শন ও সাক্ষাতেই শ্রীল প্রভুপাদের জীবন পরিবর্তিত হয়েছিল এবং তিনি ভুলপথে চালিত সমাজে কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন। বহু বছর পর যখন যুক্তরাজ্য ভারতকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য চাপ প্রয়োগ করছিল, সেই মুহূর্তগুলোতে শ্রীল প্রভুপাদ ব্যাক টু গডহেড ম্যাগাজিন ছাপানো শুরু করেছিলেন। যখন কলকাতায় বোমা পড়ল, তখনও তিনি ব্যস্ত ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট জ্ঞানসমুদ্র খ্যাত শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতার অমৃতময় ভাষ্য রচনায়।
কয়েক দশক পর শ্রীল প্রভুপাদ নিউইয়র্কে এমন সাথীদের নিয়ে ইসকন প্রতিষ্ঠা করলেন, যারা সেই সময় আমেরিকার ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছিল। শ্রীল প্রভুপাদ তাঁর যুবক অনুসারীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন যে, এই যুদ্ধ কয়েক বছরের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে, কিন্তু জড়া প্রকৃতির যে নির্দয় ও অকল্পনীয় নিয়ম রয়েছে তা আমাদের বিনাশ করার জন্য দ্রুতবেগে ধাবমান রয়েছে। ১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল, তখন একজন রিপোর্টার শ্রীল প্রভুপাদকে অনুরোধ জানান, জেনারেল আইয়ুব খানকে যুদ্ধ হতে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানোর জন্য। কিন্তু শ্রীল প্রভুপাদ পুনরায় মৃত্যুর সেই ঘৃণিত থাবার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, “যদি যুদ্ধ বন্ধ হয়, তবেও কি তোমার মৃত্যু হবে না?”

ভক্তদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

তাহলে দিনের পর দিন এই পৃথিবীর নানা সমস্যাগুলো দেখে আমরা অন্ধ হয়ে থাকব?
না, একজন কৃষ্ণভক্ত সবর্দাই এই পৃথিবীর নানা সমস্যা মোকাবেলায় কার্য সম্পাদন করে থাকেন, তবে সেই সাথে তিনি এমন কার্যও সম্পাদন করেন যাতে এই জড় বন্ধন অতিক্রম করে তিনি পুনঃপুনঃ জন্মগ্রহণকে রোধ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, মি.নিলিশ ঘোষালকর মুম্বাই পুলিশ ফোর্সের একজন সদস্য এবং তিনি একজন ভক্ত যিনি নিয়মিত মন্দিরের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন । তিনি সেই মুম্বাই সন্ত্রাসী দমন ফোর্সের সামনের সারিতে ছিলেন এবং সৌভাগ্যক্রমে রক্ষা পান। সমাজের প্রয়োজন নিলিশের মত একজন যোদ্ধা যিনি সমাজের আইনকানুন সুরক্ষিত রাখবেন। তাদের ক্ষুদ্র সময়ের কঠোর কার্যাবলীসমূহ ঠিক একজন ডাক্তারের রোগীকে বাঁচানোর জন্য ছুরি, কাঁচি ব্যবহার করার মতই।

কৃষ্ণভাবনামৃত শোকে শক্তি প্রদান করে

কৃষ্ণভাবনামৃত হয়তোবা সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন, প্রিয়জনের বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা সুনামীর তীব্র আগ্রাসন রুখবে না কিন্তু নিলিশের মত ভক্তদের জীবন সর্বদাই সহনশীল এবং আশাবাদী থাকবে কেননা একজন ভক্ত জীবনের সর্বোত্তম উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত-পরমেশ্বর ভগবানের সাথে আমাদের সম্পর্ক স্থাপন এবং আমাদের পরমধাম তথা চিন্ময়জগতে প্রত্যাবর্তন। তাই যতই সমস্যা বৃষ্টি বর্ষণ করুক না কেন, ভক্তগণ সর্বদাই কৃষ্ণভাবনা অনুশীলনের আশ্রয়সূচক ছাতায় অবস্থান করেন। এই অনুশীলন তাদের সমস্যাসঙ্কুল পরিস্থিতিতেও প্রকৃতিস্থ থাকতে সহায়তা করে।

হরিনামই উদ্ধারের একমাত্র উপায়

কারো ভাবা উচিত নয় যে, ভক্তগণ পলায়ন প্রকৃতির। সকলের হিতকারী সেবক হিসেবে তিনি অন্যদের সহায়তা করেন এবং ভগবানের সাথে সম্বন্ধ স্থাপনে ভূমিকা রাখেন।
২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে ইসকনের একজন জিবিসি এবং প্রচারক গুরু, শ্রীমৎ ইন্দ্ৰদ্যুম্ন স্বামী শ্রীলঙ্কায় সুনামী উপদ্রুত এলাকায় পরিদর্শনে যান। তখন সমগ্র বিশ্ব থেকে আসা ত্রাণ বিতরিত হতে থাকে। তখন একজন শ্রীলঙ্কান আর্মি মেজর শ্রীমৎ ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী এবং তাঁর দলকে একটি বিশেষ অনুরোধ জ্ঞাপন করেন। “আপনারা কি সুনামীতে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মানসিক ভয় ও সমস্যাবলী মুক্ত করতে সহায়তা করতে পারেন। কেননা বর্তমানে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কষ্টকর কাজ।”
শ্রীমৎ ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী মহারাজ তৎক্ষণাৎ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন এবং তাঁর দলসহ হরিনাম সংকীর্তনের উদ্দেশ্য রাস্তায় নেমে এলেন। হাজার হাজার নগরবাসী সেই হরিনাম সংকীর্তনে অংশগ্রহণ করলেন। হরিনাম সংকীর্তনের ফলে তাদের সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা ও ভয় দূরীভূত হল এবং পরমেশ্বর ভগবানের প্রতি তাদের স্বাভাবিক ভালবাসা বৃদ্ধি পেল। ভক্তরা সেখানে সুদ্বাদু কৃষ্ণপ্রসাদ বিতরণ করল। কয়েক ঘন্টার মধ্যে শ্রীমৎ ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী ও ভক্তগণ গ্রামের প্রত্যেক পরিবারের আপনজনে পরিণত হলেন। কৃষ্ণ একটি উন্নত উদ্দেশ্যে সকলকে একত্রিত করলেন। এভাবে ‘হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র’ আমাদের ব্যক্তিগত, জাতীয় ও সমগ্র মানবসত্ত্বার প্রতি দায়িত্বসমূহ সঠিকভাবে, আনন্দের সাথে এবং ফলপ্রদভাবে পালনে সহায়তা করে থাকে। এভাবেই পৃথিবীর সমগ্র জীবের মধ্যে ভিন্নভাবে ভ্রাতৃত্ববোধ স্থাপন করা সম্ভব, যার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হবে। এই মূল উদ্দেশ্য পরিহার করে শুধুমাত্র ক্রিকেট খেলা উপভোগ করে, উন্মত্তভাবে বলিউড সংগীতে মশগুল হয়ে কিংবা আতশবাজি ফুটিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠানে হৈ হুল্লোড় করে সন্ত্রাসকে ভুলে থাকা যাবে না। কেননা পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিনিয়ত এইডস, ক্ষুধা, নেশা, দূর্ঘটনা এবং আরো হাজারো কারণে মারা যাচ্ছে। সমস্যার মহাসমুদ্র থাকা সত্ত্বেও কী কৃষ্ণভাবনামৃত আপনার জন্য এখনো অপেক্ষায় থাকবে?

ব্রজবিহারী দাস ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে MBA সম্পন্ন করেছেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষ্ণভাবনা বিষয়ক সেমিনার এবং ট্রেনিং প্রোগ্রাম নিয়মিত পরিচালনা করে থাকেন।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।