বিখ্যাত মাইকেল জ্যাকসন। পৃথিবীতে ১৫০ বছর বাঁচতে চেয়েছিল

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২০ | ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ | ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 744 বার দেখা হয়েছে

বিখ্যাত মাইকেল জ্যাকসন। পৃথিবীতে ১৫০ বছর বাঁচতে চেয়েছিল

 কারো সাথে হাত মেলাবার সময় দস্তানা পরতেন, মুখে মাস্ক লাগাতেন। নিজের দেখাশোনা করার জন্য বাড়িতে ১২ জন ডাক্তার নিযুক্ত করে ছিলেন, যারা তার মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত প্রতিদিন পরীক্ষা করতো।খাবার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে খাওয়ানো হত। প্রতিদিন ব্যায়াম করানোর জন্য ১২ জন লোক ছিল। Oxygen যুক্ত বেডে ঘুমাতেন । নিজের জন্য Organ Donar রেডি করে রেখেছিলেন। যাদের সমস্ত খরচ নিজে বহন করতেন, যাতে হঠাৎ দরকার পড়লেই তারা Kidney, Lungs, Eye etc organ মাইকেলকে দিতে পারে।

কিন্তু পারলেন না ! হেরে গেলেন— মাত্র ৫০ বছরে জীবনে। ২৫শে জুন ২০০৯ সালে ওনার হৃৎপিণ্ড স্তব্ধ হয়ে গেল। নিজের ঘরে থাকা ১২ জন ডাক্তারের চেষ্টা কোনো কাজেই লাগলোনা । Los Angeles, California র সমস্ত ডাক্তার একত্রে চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারলেন না। জীবনের শেষ ২৫ বছর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একপাও চলতেন না। যে নিজেকে ১৫০ বছর বাঁচার স্বপ্ন দেখাতেন। তার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল ।

মাইকেল জ্যাকসনের অন্তিমযাত্রা 2.5 million লোক Live দেখেছিল, যেটা আজ পর্যন্ত সব থেকে বড় Live telecast ছিল। তার মৃত্যু দিন অর্থাৎ ২৫শে জুন ২০০৯ ৩ঃ১৫pm Wekipedia, Twitter, AOL’s Instant messagenger বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। Google’s এ ৮ lakh লোক একসাথে মাইকেল জ্যাকসন সার্চ করে ছিল। অতিরিক্ত সার্চের জন্য Google traffic জ্যাম হয়ে গিয়েছিল, প্রায় আড়াই ঘণ্টা Google কাজ করেনি। মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে নিজেই চ্যালেঞ্জের কাছে হেরে গেলেন। এটাই যে প্রকৃতির নিয়ম। কিসের অহংকার, কিসের গর্ব, চারদিনের এই জীবনে একদিন শুন্য হাতে, খালি পায়ে পৌছে যাবেন মৃত্যুর কাছে ?

এবার একটু ভাবুন।

১. আমরা কি Builder, Engineer, Designer, Decorator’s দের জন্য রোজগার করে যাচ্ছি?

২. দামি বাড়ি, গাড়ি, বিলাসবহুল বিয়ে দেখিয়ে কাকে আমরা Impressed করছি?

৩. আপনার নিজের কি মনে আছে দুদিন আগে কারো বিয়েতে কি কি খেয়ে ছিলেন?

৪. জীবনের শুরু সময়ে কেন আমরা পশুর মত খেটে যাচ্ছি?

৫. আগামী কত Generation এর ‌জন্য খাওয়া-দাওয়া, লালন পালনের ব্যবস্থা করে যাবো?

৬. আমাদের বেশিরভাগেরই ২টা করে সন্তান, কারো আবার ১টা।

আমাদের জীবনের প্রয়োজন কতটা আর কতটা পেতে চাই এটা কি ভেবেছেন?

৭. আপনার কি মনে হয় আপনার সন্তানেরা রোজগার করতে পারবেনা, তাই তাদের জন্য অতিরিক্ত Savings করা কি এতই দরকার?

৮. আপনি কি সারা সপ্তাহে ১ দিনও নিজের পরিবার, বন্ধু বান্ধব, এমনকি নিজের জন্য খরচ করেন?

৯. আপনার মাসিক আয়ের ৫% ও নিজের খুশি ও আনন্দের জন্য ব্যয় করেন?

১০. আমরা অর্থ উপার্জনের সাথে সাথে জীবনের আসল আনন্দ কি পাচ্ছি?

উত্তর ৯৯% হবে না না না !

পরিবার-ও কাছের মানুষকে সময় দিন।আমরা কেউই কোনো সম্পত্তির মালিক নই, কেবল কিছু কাগজপত্রে অস্থায়ীরূপে আমাদের নাম লেখা থাকে। যখন আমরা বলি “এই জায়গার মালিক  আমি”সৃস্টিকর্তা তখন হয়তো ব্যাঙ্গো হাসি হাসেন। কারো সুন্দর গাড়ী, বাহারী পোশাক দেখে তার উপর বিচার করবেন না,অহংকার থেকে দুরে থাকুন, কেনোনা এই অহংকার একদিন আপনাকে শেষ করে দিবে,সোশ্যাল নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিতে এসে আমরা কাছের মানুষ গুলোকে অবহেলা করে অনলাইনে থাকা দুরের মানুষ গুলোকেই প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছি।

মানুষকে অমূল্যয়ন নয়, মূল্যয়ন করুন, কেননা মানুষ মানুষেরেই জন্য, ক্ষমা করা সৃষ্টির সেরা লক্ষন,কারো খারাপ দিক টা না দেখে ভালো দিক টা দেখার দৃষ্টি ভঙ্গি রাখুন,কারন খারাপ এর পিছনে ভালো, আর ভালো পিছনে খারাপ থাকে। ধনী হওয়া অপরাধ নয়, কিন্ত কেবল শুধুমাত্র অর্থের জন্যই ধনী হওয়া অপরাধ । তাই বলতে হয়- জীবনকে Control করুন নাহলে জীবন একদিন আপনাকে Control করবেই…………।

চাণক্য পন্ডিত তার নীতি শাস্ত্রে বলেন-

“ জীবনের একটি মাত্র ক্ষণও যদি বৃথা ব্যয় করা হয়, তা হলে কোটি কোটি স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়েও তা আর ফেরত পাওয়া যায় না। সুতরাং বৃথা সময় নষ্ট করা থেকে অধিকতর হানি আর কি হতে পারে?”

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।