এই পোস্টটি 280 বার দেখা হয়েছে

যখন পুতনা তার বিশাল শরীর নিয়ে ভূপতিত হলেন ১২ মাইল জুড়ে সমস্ত বৃক্ষ ধ্বংস হয়েছিল। এরকম সুবিশাল শরীর নিয়ে প্রকাশিত হওয়ায় পুতনাকে অদ্ভুত লাগছিল। শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর উল্লেখ করেছেন: “ ১২ মাইল জুড়ে সমস্ত বৃক্ষ পুতনার সুবিশাল শরীর ভূপতিত হওয়ার চূর্ণ হয়েছিল। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে শুধুমাত্র বৃৃক্ষগুলোই চূর্ণ হয়েছিল কোন ব্রজবাসীদের গৃহ নয়। জীব গোস্বামীর ভাষ্য অনুসারে সেই সমস্ত বৃক্ষ সুন্দর সুন্দর ফল নিয়ে ভারাক্রান্ত ছিল এবং সেগুলো কংসের ব্যক্তিগত বাগানের মধ্যে ছিল।”
সেই রাক্ষসীর মুখের দাঁতগুলো একেকটি লাঙ্গলের অগ্রভাগের ন্যায় মনে হচ্ছিল, তার নাসিকা ছিল সুগভীর পর্বতগুহার ন্যায় এবং তার স্তনযুগল পাহাড় থেকে পতিত পাথরের সুবৃহৎ ফলকের ন্যায় মনে হচ্ছিল। তার এদিক ওদিক বিস্তৃত কেশ তাম্র রঙের মত মনে হচ্ছিল। তার হাত ও পাগুলো মনে হচ্ছিল বড় বড় সেতুর মতো এবং তার উদর দেখতে মনে হচ্ছিল একটি শুকনো সরোবরের মতো।
গোপ সখা ও সখীদের হৃদয়, কর্ণ ও মস্তক ইতোমধ্যেই রাক্ষসীর চিৎকারে আলোড়িত হয়েছিল। কিন্তু তারা যখন পুতনার এ ভয়ঙ্কর শরীর দেখল তখন তারা আরো ভীত হয়েছিল। নির্ভিকভাবে শিশু কৃষ্ণ পুতনার স্তনের অগ্রভাগের উপর খেলছিলেন। গোপীরা যখন শিশুটির অদ্ভুত কার্যকলাপ দেখলেন, তারা অনতিবিলম্বে আনন্দময় ধ্বনি করতে করতে এগিয়ে এসে কৃষ্ণকে তুলে নিলেন। শ্রীল প্রভুপাদ ভাষ্য দিয়েছেন, “এই হল পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। যদিও পুতনা তার অদ্ভুত শক্তিবলে তার শরীর ছোট বড় করতে পারতেন এবং আনুপাতিক হারে শক্তি লাভ করতেন। কিন্তু পরমেশ্বর ভগবান তার যেকোনো শক্তিবলে সর্বদা একইভাবে পরম শক্তিমান।