গুরুভ্রাতাদের নিকট শ্রীল প্রভুপাদের ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশ: ১ অক্টোবর ২০২১ | ৬:২১ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১ অক্টোবর ২০২১ | ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 253 বার দেখা হয়েছে

গুরুভ্রাতাদের নিকট শ্রীল প্রভুপাদের ক্ষমা প্রার্থনা

অভিরাম দাস: শ্রীল প্রভুপাদের অপ্রকটের সময় আমরা অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করছিলাম। সে সময়টি হচ্ছে, যখন আমরা উপলব্ধি করেছি প্রভুপাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য আরোগ্য হওয়ার জন্য কিছু গ্রহণ করছেন এবং সে মুহূর্তটিতে আমরা খুবই আনন্দ ও উৎফুল্ল অনুভব করেছি। তখন আমরা নিমজ্জিত পানিতে ডুবে যেতে যেতে হঠাৎ করে শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে বেঁচে যাওয়া অনুভব করেছি। অতঃপর আমরা হঠাৎ দেখলাম যে তাঁর শরীরে আরোগ্য লাভের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু এটি খুব খারাপের দিকে যাচ্ছিল।
আমরা যখন বুঝতে পারলাম যে উনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন তখনই আমরা গভীর বিষন্নতা এবং উৎকণ্ঠায় নিমগ্ন হয়েছিলাম। সুতরাং সে সময়টি ছিল আবেগপ্রবণ এবং খুবই কঠিন ও খারাপ সময়। যখন কৃষ্ণ দাস বাবাজি শ্রীল প্রভুপাদের নিকট এসেছিলেন তখন আমি সে সময় উপস্থিত ছিলাম। তিনি শ্রীল প্রভুপাদের শয্যার চরণের দিকে বসে ছিলেন এবং চরণ মালিশ করছিলেন, একই সাথে তার হস্ত স্পর্শ করছিলেন।
এরপর শ্রীল প্রভুপাদ কৃষ্ণ দাস বাবাজীকে ক্ষমা প্রার্থনাসুলভ বললেন যে, “কৃপা করে আমাকে আমার অপরাধের জন্য ক্ষমা করুন, যেটি আমি, আমরা গুরু ভ্রাতারা এবং সমস্ত বৈষ্ণবদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছি। আমি কি করতে পারি? আমাকে দৃঢ়তার সহিত প্রচার করতে হবে।” তখন কৃষ্ণ দাস বাবাজী তাঁর হাতে হাত বোলাতে লাগলেন এবং বললেন, “সেখানে কোনো অপরাধ নেই। স্বামীজি আপনার নিকট কোনো অপরাধ ঘটতে পারে না। আপনি বিশ্রাম করুন এবং শান্ত হোন।” শ্রীল প্রভুপাদ প্রকৃতপক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করে অশ্রুপাত করেছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।