এই পোস্টটি 3505 বার দেখা হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: “ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেস” যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক হিন্দু কন্ফারেন্স যা ৬০টি দেশের ২৫০০ জন অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা আয়োজিত হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সিকাগো শহরে শ্রীল প্রভুপাদ এবং তাঁর আন্তজার্তিক কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভগবদ্গীতার বাণী প্রচার এবং জনগণের নিকট প্রাচীন হিন্দুধর্মের গোড়াপতনের শিক্ষাকে তুলে ধরার অপরিহার্য ভূমিকাকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
ইস্কনের গভর্ণর বডি কমিশনার (জিবিসি) এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থাপক অনুত্তম দাস হরে কৃষ্ণ আন্দোলনের পক্ষে এই সংবর্ধনাটি গ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমধর্মী এই পর্বটি শুরু হয় জার্মনীর একজন বিশিষ্ট শিল্পী এবং নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক শ্রীমতি চন্দ্রিকা টাণ্ডান এর সংস্কৃত প্রার্থনা এবং গীতি পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে। দালাই লামা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুসরণকৃত একটি বার্তা তাঁর ভিডিও কন্ফারেন্সর দ্বারা পরিবেশন করেন, কেননা তিনি অসুস্থতার দরুণ উপস্থিত থাকতে পারেননি।
তিনদিনের এই অনুষ্ঠানটি আকৃষ্ট করে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক নেতা, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ, বড় ব্যবসায়ী এবং সেলিব্রেটিদের। যারা বিভিন্ন মতামত বিতরণ, অন্যদের অনুপ্রাণিত করা এবং সার্বজনীন মঙ্গলার্থে হিন্দুদের জন্য একটি “বৈশ্বিক প্লাটফর্ম” বিকশিত করার লক্ষ্যে মনস্থ।
একটি সংগঠন, যার যাত্রা শুরু হয়েছিল নিউইর্য়কের বাওয়ারী রোডে কিন্তু তা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আধ্যাত্মিক সংস্থা। ইস্কন তার এই সাফল্যমণ্ডিত যাত্রার অনেক দূর এসে পৌঁছে গেছে এবং বৈষ্ণব ধর্মের এই বার্তা দ্বারা ভগবদ্গীতার শিক্ষা বিশ্বের সর্বত্র তুলে ধরছে। গভীর বৈদিক জ্ঞান এবং সংস্কৃতির সাক্ষ্যস্বরূপ ইস্কন যা সাফল্য অর্জন করেছে তার দ্বারা আজ আমরা সকলেই আশির্বাদপুষ্ট।
মূলত আধ্যাত্মিকতার সাথে আমাদের সম্পর্কে চিরন্তন বিদ্যমান। শ্রীপাদ অনুত্তম দাস আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন এই জগৎটি আমাদের নয়, যেহেতু এটি ভগবানের সম্পত্তি তাই আমরা তা জোরপূর্বক দখল করে নিতে পারি না এবং যখনই আমরা এই প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করতে পারব তখনই প্রকৃত শান্তি আমরা প্রাপ্ত হব। বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও দূর্গম স্থান সমূহতে সকল ইস্কন সদস্য এবং তথা এর অনুগামীবৃন্দ গণ অন্যদের নিকট অবশ্যই এই বার্তা পৌঁছে দেবেন।
(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ পত্রিকা নভেম্বর ২০১৮ প্রকিাশিত)