প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:০২ অপরাহ্ণ আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:০২ অপরাহ্ণ
এই পোস্টটি 64 বার দেখা হয়েছে
(আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদপত্র “দি হাফিংটন পোস্ট-এ ২২ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে প্রকাশিত হয় এই আর্টিক্যাল। সম্পাদনায় ক্যাথি ফ্রেসটন) গত ২২ এপ্রিল সারাবিশ্বে উদ্যাপিত হল ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ সেই প্রাচীনযুগে সভ্য মানুষেরা চাষাবাদ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে ধান, গম, শাক উৎপাদন করে সেগুলো আহার করত। কিন্তু বর্তমানে অতিরিক্ত মাংসাহার বৃদ্ধি হওয়াতে সেই প্রাচীন চাষাবাদ প্রক্রিয়া – বর্তমানে পশু চাষাবাদ প্রক্রিয়ায় (Animal Agriculture) রূপান্তরিত হয়েছে। এই এনিমেল এগ্রিকালচার আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো যেমন-বায়ু, জল ও মাটিকে অত্যন্ত দূষিত করে তুলছে। মাত্রাতিরিক্ত মাংসাহারে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক সাম্প্রতিক কয়েকটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হল। ফার্মের পশুরা একদিনে যে পরিমাণ আবর্জনা তৈরি করে তাঁর সমান আবর্জনা তৈরি করতে মানুষের তিন বছর সময় লাগবে। প্রতি বছর ১৬.৬ বিলিয়ন টন পশুর বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হচ্ছে যা মানুষের তুলনায় ৬০ গুন বেশি। জাতিসংঘ মতে, “গবাদীপশু পালন সেক্টর পৃথিবীতে মারাত্মক জল দূষণ ঘটাচ্ছে।
চৈতন্য সন্দেশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন :https://play.google.com/store/apps/details?id=com.differentcoder.csbtg
প্রবাল প্রাচীর ভেঙে দিচ্ছে, মানুষের স্বাস্থ্যহানী ঘটাচ্ছে।” ফার্মের গবাদীপশুদের জল খাওয়ানো বা তাদের খাদ্য উৎপাদনে বছরে প্রায় ২৪০ ট্রিলিয়ন জল অপচয় হয়, যা দিয়ে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ দিনে ৮ বার স্নান করতে পারবে। পরিসংখ্যান মতে, ১ লিটার পশুর দুধ পেতে ৯৯০ লিটার জল খরচ করতে হয়। জাতিসংঘ মতে, প্রাণীদের খাবার সরবরাহের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবেশে মিশেছে। শুধুমাত্র পশুপালন সংস্থাসমূহ শতকরা ১৮ ভাগ গ্রীন হাউস গ্যাস উদ্দ্গীরণ করছে।
এছাড়া এই সেক্টর; বায়ুতে ৩৭ ভাগ ক্ষতিকর মিথেন, ৬৫ ভাগ ক্ষতিকর নাইট্রাস অক্সাইড তৈরির কারণ। উদ্ভিদের তুলনায় একটি প্রাণীর মাংস থেকে এক ক্যালরী শক্তি পেতে ১১ গুণ – জ্বালানী পোড়াতে হয়। পশুদের খাওয়ানোর কারণে বছরে ৪о মিলিয়ন টন মাটির অপচয় হচ্ছে মাংস – উৎপাদনের জন্য পৃথিবীতে ১০ বিলিয়ন একর জমি ব্যবহার করা হচ্ছে মোট কৃষি জমির ৭০ শতাংশ। পশু পালন সেক্টর দুই তৃতীয়াংশ ক্ষতিকর অ্যামেনিয়া উদ্গীরনের জন্য দায়ী যা এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির কারণ। জাতিসংঘ মতে, শুধুমাত্র ফার্মের পশুদের খাওয়ানোর জন্য বছরে ৮৩৬ মিলিয়ন টন খাদ্যের প্রয়োজন হয়।
যা দিয়ে মানুষের কয়েক বছরের খাদ্য চাহিদা মিটবে। জাতিসংঘের বৈজ্ঞানিক সনদের ৪০৮নং পৃষ্টায় উল্লেখ আছে যে, মাংস তৈরির লক্ষ্যে ইন্ডাস্ট্রীগুলো মারাত্মকভাবে ভূ-পৃষ্ঠের ক্ষতিসাধন করছে যা বাস্তুসংস্থানকে বিপর্যস্ত করছে।” জাতিসংঘ আরো বলেছে, “Perhaps it’s time to explore vegetarianism. Happy eating.:-এখনই সময় নিরামিষাশী হওয়ার, যার মাধ্যমে আনন্দময় স্বাদ পাওয়া যাবে।
চৈতন্য সন্দেশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন :https://play.google.com/store/apps/details?id=com.differentcoder.csbtg
Hare Krishna Thanks For Reading
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ জুন ২০০৯ হতে প্রকাশিত