কথা কখন ও কিভাবে বলবেন?

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 118 বার দেখা হয়েছে

কথা কখন ও কিভাবে বলবেন?

আদিপুরুষ দাস


কথা বলার শক্তি এতই শক্তিশালী যে, এটি কারো জীবনকে গড়তে পারে অথবা ভাঙতে পারে। এই শক্তি সম্পর্কে অবগত হয়ে, আমাদেরকে যথাযথভাবে এর ব্যবহার করা উচিত যাতে করে তা নিজের ও অন্যের কল্যাণ বয়ে আনে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো কথা বলার জন্য কি কোন দিক নির্দেশনা রয়েছে? শাস্ত্রে কি এই বিষয়ে ব্যবহারিক দৃষ্টান্ত রয়েছে? শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাচিক তপস্যার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আর শ্রীমদ্ভাগবতের ১ম স্কন্ধে বিদুর সেই নিদর্শন ব্যবহারিক প্রয়োগটির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

বাচিক তপস্যা

শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতার (১৭/১৫) কৃষ্ণ বলেছেন—
অনুদ্বেগকরং বাক্যং সত্যং প্রিয়হিতং চ যৎ ।
স্বাধ্যায়াভ্যসনং চৈব বাঙ্ময়ং তপ উচ্যতে ॥
অর্থাৎ ‘অনুদ্বেগকর, সত্য, প্রিয় অথচ হিতকর বাক্য এবং বৈদিক শাস্ত্র পাঠ করাকে বাচিক তপস্যা বলা হয়। এই তপস্যার মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ইঙ্গিত করেছেন যে, বাক্যালাপের সময় আমাদের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। সত্য কথা বলতে হবে এবং সে সাথে তা প্রীতিপূর্ণ হতে হবে। এই প্রকার সত্য ও প্রীতিমূলক বাক্য শ্রোতার জন্য উপকারী হওয়া উচিত এবং সে সাথে লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে কোন বাক্য শ্রোতাকে উত্তেজিত না করে।

২টি ঘটনার মাধ্যমে বিদুরের দৃষ্টান্তমূলক আচরণ
১ পাণ্ডবদের সাথে আচরণ

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে জয় লাভ করার পর যুধিষ্ঠির মহারাজের সঙ্গে বিদুরের সাক্ষাৎ ঘটে। সে সময় যুধিষ্ঠির মহারাজ রাজ্যাভিষিক্ত হন। তখন বিদুরকে রাজ পরিবারের সমস্ত সদস্যরা সাদরে অভ্যর্থনা জানায় ও বিদুরকে দর্শন করে সবাই অত্যন্ত আনন্দিত হন। বিদুরকে যথাযথভাবে অভ্যর্থনা জানানো ও আতিথেয়তা প্রদর্শনের পর যুধিষ্ঠির মহারাজ প্রশ্ন করেন, কিভাবে বিদুর পাণ্ডবদের দুঃসময়ে রক্ষা করতেন। এরপর তিনি বিদুরের পরিভ্রমণ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বিদুরের গুণ মহিমা কীর্তন করে বলেন যে, আপনার মতো মহাত্মারা হলেন স্বয়ং তীর্থস্থানের প্রতিমূর্তি । তাঁরা যেস্থানে যান না কেন সেই স্থান পবিত্র হয়ে যায়। তার পর তিনি যদুদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, কেননা তীর্থ ভ্রমণ করার সময় বিদুর দ্বারকা পরিদর্শন করেছিলেন। যুধিষ্ঠির মহারাজের প্রশ্নের উত্তরে বিদুর তীর্থ পরিক্রমার সময় তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন, কিন্তু যাদব বংশ ধ্বংসের বিষয়টি গোপন করেন। বিদুর পাণ্ডবদের প্রতি অনুকম্পাশীল ছিলেন। যেহেতু শৈশব থেকেই পাণ্ডবরা অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, তাই তিনি যদুবংশের বিনাশের সংবাদটি প্রদান করেন নি। যদিও সেটি সত্য সংবাদ কিন্তু পাণ্ডবদের জন্য তা ছিল অশুভ ও অপ্রীতিদায়ক। প্রকৃতপক্ষে তা ছিল অপ্রিয়ম ‘অপ্রিয়’ এবং দুর্বিষহম ‘অসহনীয়’। সংবাদটি পাণ্ডবদের জন্য অসহনীয় বেদনা নিয়ে আসবে তাই বিদুর সেই সত্য সংবাদটি প্রকাশ করেন নি। এমন নয় যে, পাণ্ডবরা ভবিষ্যতে সেই সংবাদটি শুনবেন না, অবশ্যই একসময় তা তারা শুনবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বিদুর মন্দ সংবাদের বার্তাবাহক হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাননি । শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীমদ্ভাগবতের (১/১৩/১৩) শ্লোকের তাৎপর্যে উল্লেখ করেছেন “নীতি শাস্ত্র অনুসারে, অন্যের দুঃখ হতে পারে এমন অপ্রিয় সত্য বলা উচিত নয়। প্রকৃতির নিয়মে আপনা থেকেই দুঃখ-দুর্দশা আমাদের ওপরে নেমে আসে, সুতরাং তা নিয়ে প্রচার করে তার তীব্রতা বৃদ্ধি করা করাও উচিত নয়।”

২ ধৃতরাষ্ট্রের সাথে আচরণ

যুধিষ্ঠির মহারাজের রাজ প্রাসাদে বিদুরের পরিদর্শনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল তার ভ্রাতা ধৃতরাষ্ট্রকে মৃত্যুর করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করা। তিনি তাকে রাজ প্রাসাদের আসক্তি পরিত্যাগ করে বৈরাগ্য অবলম্বন ও তপস্যার জীবন গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। ধৃতরাষ্ট্রকে রাজা হিসেবে সম্বোধন করেন যা তার প্রকৃত পরিচয় ছিল না এবং অনতিবিলম্বে তাকে রাজপ্রসাদ পরিত্যাগ করতে অনুরোধ করেন। বিদুর শুরু থেকেই তার বাক্যের মধ্যে জরুরি অবস্থা ও উদ্বেগ জাতীয় তথ্য প্রদান করেন এবং প্রতিটি বাক্যের মাধ্যমে তার উপর চাপ সৃষ্টি করেন। তিনি বলেন যে, সময় কতটা শক্তিশালী, কেউ এর থেকে নিস্তার ও পরিত্রাণ পায় না। তিনি এমন সব দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করেন, যারা কালের প্রভাবে নিহত হয়েছিল। তারপর তিনি বিশেষভাবে বার্ধক্যের অবস্থা সম্পর্ক তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন কিভাবে তিনি স্কুল ও সূক্ষ্ম শরীর উভয়ই শক্তি হারাছেন। আর তিনি ধৃতরাষ্ট্রের অহংকারের উপর এক প্রচণ্ড আঘাত করেন, এই বলে যে, ধৃতরাষ্ট্র হলেন গৃহ পালিত একটি পোষা কুকুরের মতো। যে ভীম তার সন্তানদের হত্যা করেছেন, তারই দেওয়া অন্ন তিনি গ্রহণ করছেন। বিদুর ধৃতরাষ্ট্রের অহংকারকে আরো গভীরে গিয়ে ছেদন করেছিলেন।


কেউ জিজ্ঞাসা না করলেও অপ্রিয় সত্য কথা শ্রেয় লাভের নিমিত্তে বলতে হয়। আবার কেউ জিজ্ঞাসা করলেও সত্য কথা যা তার জন্য অপ্রীতিকর তা বলতে নেই। বিদুরের এই আচরণ ভক্তি জীবনের জন্য অনেক শিক্ষণীয়।


তিনি বলেছিলেন, যাদের আপনি অগ্নিতে নিক্ষেপ এবং বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের উপর নির্ভর করে অধঃপতিত জীবন যাপন করার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনি তাদের পত্নীকে অপমানিতা করেছিলেন এবং তাদের রাজ্য ও ধন সম্পদ আহরণ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁকেই ধীর বলা হয় যিনি আত্মীয় স্বজনদের না জানিয়ে দূর দেশে চলে যান এবং সমস্ত দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে, জড় দেহটি যখন অব্যবহার্য হয়ে পড়ে তখন তা ত্যাগ করেন। এরকম প্রথম শ্রেণির ব্যক্তিরা গৃহত্যাগ করে পরিপূর্ণভাবে তাঁর হৃদয়স্থিত পরম পুরুষ ভগবান শ্রীহরিতে ভরসা রাখেন, সুনিশ্চিতভাবে তিনিই সর্বোত্তম মানবসত্তা। বিদুর কেন ধৃতরাষ্ট্রকে অপ্রিয় সত্য কথা বললেন? তার কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত বিদুর ধৃতরাষ্ট্রকে ও দুর্যোধনকে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ প্রতিহত করার জন্য বলেছিলেন। ধৃতরাষ্ট্র তখন অজুহাত দিয়েছিলেন যে, যা ঘটছে তা সব ভগবানের ইচ্ছাতেই হচ্ছে, এতে তার কি করার আছে। দ্বিতীয়ত বিদুর কালের প্রভাব সম্পর্কে অবগত হয়ে এবং ভয়ংকর কলিযুগের আবির্ভাব সম্পর্কে উদ্ধিগ্ন হয়ে, তিনি ধৃতরাষ্ট্রের মনে তীব্রভাবে পুণর্জাগরণ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, কেননা কলিযুগ হলো অধঃপতনের যুগ। আর কলিযুগ আসার পূর্বেই ধৃতরাষ্ট্রের কৃচ্ছাসাধন করা উচিত। সর্বশেষ এটি হলো ধৃতরাষ্ট্রের প্রতি বিদুরের অনুকম্পাই এভাবে ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে বাক্যালাপ করেছিলেন। বিদুর সত্যকে উপস্থাপন করেছিলেন তাতে বাচিক তপস্যার ২টি বিষয় “প্রিয়ম” ও “অনুদ্বেগকরং” প্রকাশিত হয়নি, কিন্তু ধৃতরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর হওয়ায় ধৃতরাষ্ট্র সংসারের আসক্তি বর্জন করে অবশেষ মুক্তি লাভ করেছিলেন। বিদুরের এ প্রকার অপ্রিয় সত্য কথা ধৃতরাষ্ট্রকে কালের প্রভাব থেকে রক্ষা করেছিল। শ্রীল প্রভুপাদ গীতার তাৎপর্যে (১৭/১৫) উল্লেখ করেছেন যে, “শিক্ষক অর ছাত্রদের শিক্ষা দান করবার জন্য সত্য কথা বলতে পারেন।”

পাণ্ডবদের সাথে বিদুরের আচরণ থেকে শিক্ষা

১) অন্য ভক্তদের সাথে গ্রাম্য প্রজন্ম করবেন না। ২) অপ্রীতিকর সংবাদ প্রচার করবেন না। কেননা সেগুলি আপনা আপনি প্রচারিত হবে। তা যদি আমাদের কোন মিশন বা লক্ষ্য থাকে তাহলেও কোন কথা বলবেন না যাতে করে আমাদের লক্ষ্য ব্যর্থ হয় । উপরোক্ত শিক্ষাগুলো আমাদের ভক্তিযোগ অনুশীলনে ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে বিপদজনক প্রজল্প থেকে সৃষ্ট বড় বড় সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারি। শ্রীল রূপ গোস্বামী উপদেশামৃতের ২য় শ্লোকে ভক্তির অন্যতম প্রতিবন্ধক রূপে এই প্রজল্পকে উল্লেখ করেছেন। সেই শ্লোকের তাৎপর্যে শ্রীল প্রভুপাদ উল্লেখ করেন যে, যখন আমরা বন্ধু-বন্ধবদের সাথে মিলিত হই, তখন আমরা বিভিন্ন অবাঞ্ছিত কথা শুরু করি। এটি অনেকটা মাঠের ব্যাঙের ডাকের মাধ্যমে সর্পকে আহ্বান করার মতো, যদি আমরা প্রজল্প করি তবে বৈষ্ণব অপরাধের মাধ্যমে আমাদের পারমার্থিক মৃত্যু হতে পারে। বৈষ্ণব অপরাধ হলো মত্ত হস্তীর মতো। তাই নিজেদের সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী রক্ষাবেষ্টনী গড়ে তোলা উচিত। পাণ্ডবদেরকে অপ্রিয়কর, অকল্যাণকর সত্যকথা না বলাব মাধ্যমে বিদুরের এই দৃষ্টান্ত আমরা অনুসরণ করতে পারি, যাতে করে আমরা বৈষ্ণব অপরাধের বিরুদ্ধে একটি সুদৃঢ় সুরক্ষা বেষ্টনী গড়ে তুলতে পারি। এ প্রজল্পকে প্রতিহত করা যায় কৃষ্ণকথা আলোচনার মাধ্যমে।
৩) ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে দৃঢ় করতে পারে এবং সে সাথে আমাদের লক্ষ্যের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারি। এই বিষয়টি গ্রন্থ বিতরণের সেবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। যখন আমরা কোন ব্যক্তিকে গ্রন্থ বিতরণের চেষ্টা করি, তখন যুক্তিতর্কে সময় নষ্ট না করে, আমরা ভদ্রোচিতভাবে সে কথোপকথন সমাপ্ত করে অন্য একজন ব্যক্তির কাছে কৃষ্ণভাবনা প্রচার করতে পারি।

ধৃতরাষ্ট্রের সাথে বিদুরের আচরণ থেকে শিক্ষা

১) দীর্ঘ দিন ধরে যার সাথে সম্পর্ক রয়েছে, তার সাথে দৃঢ়ভাবে আমরা কথা বলতে পারি, যাতে সেই ভক্তটি পারমার্থিক অধঃপতন থেকে মুক্ত হতে পারে। সে সাথে দুঃখ-দুর্দশা থেকে পরিত্রাণের জন্য ইতিবাচক পরামর্শ প্রদান করা উচিত।
২) নাস্তিকদের সাথে তর্ক হলে, তাদের যুক্তি তর্কে পরাস্ত করতে হবে ও তাদের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে কথা বলা উচিত।
ধৃতরাষ্ট্রের সাথে বিদুরের অনেক বছরের সম্পর্ক থাকায় তিনি তাকে দৃঢ়ভাবে প্রচার করেছিলেন। তদ্রুপ অন্তরঙ্গ ভক্তদের সাথে কথা বলার সময় যদি আমরা জানতে পারি যে, তিনি কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যেমন চারটি বিধি নিষেধ ভঙ্গ করা, সেক্ষেত্রে আমাদেরকে তার সাথে দৃঢ়ভাবে কথা বলাই শ্রেয় এবং সেই সাথে কার্যকরী কিছু পন্থাও প্রদর্শন করা উচিত। যাতে করে তিনি তার সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে পারেন। শ্রীল প্রভুপাদকে প্রসন্ন করার অন্যতম পন্থা হলো নাস্তিকদেরকে যুক্তি তর্কে পরাস্ত করা। তাদের সাথে তর্ক বিতর্কের সময় পূর্বাতন আচার্যদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিত এবং দৃঢ় ভাবে তাদেরকে পরাস্ত করে ভগবৎ ভাবনার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা উচিত।
পরিসংখ্যানে পাণ্ডবগণ ও ধৃতরাষ্ট্রের সাথে বিদুরের দৃষ্টান্তমূলক আচরণ থেকে আমরা দেখতে পাই যে, কেউ জিজ্ঞাসা না করলেও অপ্রিয় সত্য কথা শ্রেয় লাভের নিমিত্তে বলতে হয়। আবার কেউ জিজ্ঞাসা করলেও সত্য কথা যা তার জন্য অপ্রীতিকর তা বলতে নেই । বিদুরের এই আচরণ ভক্তি জীবনের জন্য অনেক শিক্ষণীয়। এখান থেকে আমরা অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর প্রাপ্ত হতে পারি কিভাবে কথা বলতে হয়, কি বলতে হয় না, কখন বলতে হয়, কখন বলতে হয় না। যদিও জিহ্বাতে হাড় নেই কিন্তু জিহ্বা যদি এমন কথা মুখ দিয়ে বলে তবে শরীরের থেকে হাড়ও ভাঙতে পারে। তাই শাস্ত্র আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে মুখ বা জিহ্বা আমাদের জীবনে প্রতিটা পদক্ষেপে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
জিহ্বাগ্রে ভাসতে লক্ষ্মী জিহ্বাগ্রে মিত্র বান্ধব ।
জিহ্বাগ্রে সর্বদেবতা জিহ্বাগ্রে সর্বশত্রব ॥
অর্থাৎ জিহ্বার ডগায় টাকা উড়ে। কে তোমার মিত্র হবে তা নির্ভর করে জিহ্বার উপর। জিহ্বার অগ্রে বিরাজ করেন সমস্ত দেবতা আর জিহ্বার কথাতেই নির্ভর করে কারা তোমার শত্রু হবে।

ব্যাক টু গডহেড, জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৮ হতে প্রকাশিত

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।