এই পোস্টটি 50 বার দেখা হয়েছে
একদা এক বৃদ্ধ লোক ছিলেন। তিনি দেখেছিলেন তাঁর চার পুত্রই অলস। পুত্রদেরকে কিভাবে শিক্ষা দেওয়া যায় সেই বিষয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। তিনি ভাবলেন, আমার মাত্র অল্প সম্পদ আছে। এই পুত্রেরা বসে বসে সম্পদ ভোগ করছে। কিন্তু তারা কিছুই উৎপাদন করছে না। একদিন বৃদ্ধ লোকটি বিছানায় শুয়ে ছিলেন। চার পুত্রকে তাঁর কাছে এসে বসতে বললেন। পুত্রেরা পিতার কাছে এসে বসল। পিতা বললেন, শোন একটি কথা বলি। আমার তো দিন শেষ হয়ে আসছে। আর বাঁচব না। তাই তোমাদের একটি গোপন কথা বলি। এই সামনের জমিটাতে অনেক ধন পোঁতা আছে। তোমরা ভালো করে খুঁড়ে সেই ধন বের করো। এই বলেই পিতা দেহত্যাগ করলেন।
পুত্রেরা চিন্তা করল, জমির কোন স্থানে ধন থাকতে পারে? তারা সেজন্য পুরো জমিটাই কোদাল দিয়ে চারজনে খুঁড়তে লাগল। সারা জমি খোঁড়া হলেও কোনও ধন পাওয়া গেল না। তারপর তারা চিন্তা করল, ধন যখন পাওয়া গেল না, তখন সেই মাটিতে শস্যদানা, শাক সবজী চাষ করা যাক। তখন তারা চাষাবাদ করতে লাগল। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি শস্যদানা উৎপাদন হলো। প্রতিবেশী লোকেরা তাদের খুবই প্রশংসা করতে লাগল। সেই পুত্রেরাও আনন্দিত ও উৎসাহিত হয়ে ফসলাদি উৎপাদনে যত্ন করতে লাগল। পরবর্তীতে তারা বুঝলো যে, পিতা ঠিকই বলেছেন। গুপ্তধন এই জমিতেই আছে। যদি সেই জমিটাকে উৎপাদন মূলক কাজে ব্যবহার করা যায় তবেই সেই ধন পাওয়া যায়। চুপচাপ বসে না থেকে কিছু কিছু পরিশ্রম করে যাওয়া কর্তব্য। এরপর থেকে তারা নিরলসভাবে চাষাবাদে যুক্ত হলো।
হিতোপদেশ: প্রবাদ আছে – অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। যখন কেউ কর্তব্য-কর্মে নিযুক্ত থাকে, স্বভাবতই সে উদ্যমশীল হয়। কর্মঠ ব্যক্তির শয়তানী করবার সময় থাকে না। অলস জীবন অনর্থের কারণ। কৃষ্ণভাবনার মধ্যে ভক্তরা সর্বদাই কৃষ্ণকর্মে নিযুক্ত থাকেন। অন্যথায় দুস্তর দুঃখদায়ী মায়া, উত্তীর্ণ হওয়া অসাধ্য।