এই পোস্টটি 206 বার দেখা হয়েছে
শ্রীমৎ গৌর গোবিন্দ স্বামী তাঁর ‘বিপ্রলম্ভ ভাবে শ্রীগৌরাঙ্গ’ গ্রন্থের ৪র্থ অধ্যায়ে বর্ণনা করেন-কারণ কৃষ্ণ সম্বন্ধ, অভিধেয় ও প্রয়োজন – এই ত্রিতত্ত্বে প্রকাশিত হয়েছেন। সম্বন্ধাধিদেব হচ্ছেন শ্রীশ্রীরাধা-মদনমোহন, অভিধেয়াধিদেব হচ্ছেন শ্রীশ্রীরাধা-গোবিন্দদেব এবং প্রয়োজনাধিদেব হচ্ছেন শ্রীশ্রীরাধা-গোপীনাথ। তাই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু হচ্ছেন রাধা-মদনমোহন, রাধা-গোবিন্দ ও রাধা-গোপীনাথের সম্মিলিত রূপ। কৃষ্ণ ত্রিভঙ্গ অর্থাৎ তিন জায়গায় বাঁকা। প্রথম বাঁক পাদপদ্মে, দ্বিতীয় বাঁক বাম মুখমণ্ডল ও তৃতীয় বাঁক হৃদদেশ। তার মানে সম্বন্ধতত্ত্ব পাদপদ্ম: রাধা-মদনমোহন, দ্বিতীয় অভিধেয়তত্ত্ব মুখমণ্ডল: রাধাগোবিন্দ ও তৃতীয় প্রয়োজনীয় তত্ত্ব: হৃদদেশ: রাধা-গোপীনাথ। কারণ, প্রেম হৃদয়ের অন্তরতম সম্পুটে অবস্থিত। তাৎপর্য হচ্ছে এই যে যাঁরা ভাগ্যবান তাঁরা সম্বন্ধতত্ত্ব, শ্রীশ্রীরাধা-মদনমোহনের একীভূত রূপ শ্রীগৌরহরির পাদপদ্ম হতে নিঃসৃত সুমিষ্ট মধু আস্বাদন করে থাকেন। যাঁরা আরো অধিক ভাগ্যবান তাঁরা অভিধেয়-তত্ত্ব শ্রীশ্রীরাধা-গোবিন্দের মিলিত তনু শ্রীগৌরহরির মুখ-পদ্ম হতে নিঃসৃত সুমিষ্ট মধু আস্বাদন করে থাকেন এবং আর যাঁরা সবচাইতে ভাগ্যবান তাঁরা প্রয়োজনীয়- তত্ত্ব শ্রীশ্রীরাধা গোপীনাথের মিলিত তনু শ্রীগৌরহরির হৃদপদ্ম হতে নিঃসৃত সুমিষ্ট মধু আস্বাদন করে থাকেন।