এই পোস্টটি 973 বার দেখা হয়েছে

মাধব দাসঃ বিশ্বের অন্যতম চ্যানেল ‘টেন স্পোর্টস’ বিখ্যাত শুধুমাত্র রেসলিং শো সম্প্রচারের জন্য। আবালবৃদ্ধবনিতা সবার কাছে এই রেসলিং তুমুল জনপ্রিয়। এখন প্রশ্ন হলো WWE নামে খ্যাত এসব রেসলিং শো সাধারণ জনগণের চিন্তা-চেতনায় কতটুকু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে? বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী আামাদের মনকে সবসময় শান্তশিষ্ট রাখা দরকার। উত্তেজিত মন সবার জন্যই ক্ষতিকর। স্বাভাবিকভাবেই স্বল্প বসন নরনারীদের অশ্লীল ও হিংস্র আচরণ মানুষদের মনে ও দেহে কি ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় বর্তমান কালের যুবক-যুবতীদের মারমার কাটকাট হিংস্র মনোভাবের অন্যতম কারণ হতে পারে রেসলিং চলাকালীন উত্তেজনার কারণে একের পর এক সিগারেট ফুঁকছে আর টেনশনে ভুগছে। এতে তার তো ক্ষতি হচ্ছেই সেসাথে পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির ও ক্ষতি হচ্ছে।
যারা রেসলিং শো সম্প্রচার করে সেসব কর্মকর্তারা দুনিয়া জুড়ে গন্ডগোল আশঙ্কায় শো লিখতে বাধ্য হয় Don’t try it at home’ অর্থাৎ ‘ঘরে এটা চেষ্টা করো না’। বর্তমানে আরো একটু বাড়িয়ে লেখা হয় Don’t try it at home, school and anywhere.’ অর্থাৎ ‘ঘরে’ স্কুলে, কোথাও এটা চেষ্টা করো না।’ সুতরা এটি থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে ওরা যতই সতর্কবার্তা লিখুক সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ওসব লেখালেখিতে কোন লাভ হবে না। কেননা মানুষ যেখানে প্যাকেটের গায়ে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ‘ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর’ লেখা থাকলেও অবলীলায় ধূমপান করেই যাচ্ছে। সেখানে এ ধরনের সতর্কবার্তা গরু মেরে জুতা দানের মত।
এই যখন রেসলিং ভাবনায় মানুষ রীতিমত বুঁদ হয়ে যায় তখন সেসব ব্যক্তিদেরকে একটি গূঢ় তথ্য জানিয়ে দেয়া যাক। সেটা হল যে রেসলিং শোগুলো আমরা দেখতে পাই তা কিছু অভিনেতাদের নিখুঁত অভিনয় ছাড়া আর কিছুই নয়। অথচ এ নিখুঁত অভিনয় সবাইকে রীতিমত ধোঁকা দিয়েই যাচ্ছে। সূত্রঃ কালের কন্ঠ।
অতএব এসব অশ্লীল ও উত্তেজক শো দেখে কেন নিজের ক্ষতি করবেন? পক্ষান্তরে, ভক্তিমূলক প্রোগ্রাম ( যেমন- কৃষ্ণ কার্টুন, কৃষ্ণ সিরিয়াল, বৈদিক নাটক প্রভৃতি) দেখে উগ্র মনকে শান্ত রাখুন। হরে কৃষ্ণ।
(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ ২০১১ সালে জানুয়ারি প্রকাশিত)