এই পোস্টটি 1091 বার দেখা হয়েছে
মাধব স্মুলেন: অনেক ভক্ত সপ্ন দেখেন যে এমন একটি কর্মজীবন যা ভক্তিমূলক সেবাকে দ্বিগুন করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জয়া গোবধনা এবং হরিদাস ঠাকুর পিত্তর ক্লিস অগানাইজড় ” নামে তেমনই একটি স্বাস্থকর স্ন্যাকস-কোম্পানী গড়ে তুলছেন।জয়া গোবর্ধনা যখন ভ্রাম্যমান সেলসম্যান হিসেবে চাকরী করলিলেন, তখন ফ্লোরিডার টালাহাসিতে হরিদাস ঠাকুরের রেস্টুরেন্টে উচ্চতর স্বাদ আস্বাদন করেন। প্রসাদের প্রেম ভাগাভাগির কারনে তাদের মধ্যে একটি বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এবং তারা ২০০৫ সালে তাদের বন্ধু লীলাসুখ দাসীর গ্র্যানেলো ব্যবসা কিনে নেন এবং এটির নতুন নামকরন করেন ও এটিকে জর্জিয়ার আটলান্টাতে স্থানান্তরিত করেন।
জয়া গোবর্ধনা বলেন- প্রসাদ সবসময় আমার জীবন এবং আমার কৃষ্ণভাবনার একটি বড় অংশ এয় উঠেছে। ইস্কন এক বছর যাবত আমার প্রধান সেবা ছিল রান্না করা, এবং আমর আধ্যাত্মিক গুরু শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজ এই কাজে আমাকে সবসময় উৎসাহ দিতেন। হরিদাস ঠাকুর একইভাবে তার গুরু হৃদয়নন্দ দাস গোস্বামী উৎসাহিত হন এবং তিনি দেখতে পান মানুষের কাছে পোঁছানো এবং তাদের আধ্যাত্মিক জীবন শুরু করে তাদের অনন্য ব্র্যান্ডে পিত্তর ব্লিস অরগানিকস এর কৃষ্ণপ্রসাদ তারা এক বছরে প্রায় এক মিলিয়নের বেশি লোকের মধ্যে বিতরন করেন। পর আটলান্টাতে হরিনামের জন্য সপ্তাহে তিনবার একটি ট্রেল মিশ্রন প্রদান করে। এবং তারা ভ্রাম্যমান সংকীর্ত্তন দল ও সাধু সংগ কীর্তন রিট্রিট এর ভক্তদের কাছে ছাড়ে তাদের পন্যগুলি প্রদান করেন। সমস্ত আটা মুক্ত এবং প্রত্যয়িত জৈব উপাদান দ্বারা তাদের গ্রানোলা গুলো তিনধরনের চিনিমুক্ত, খেজুরের পেষ্ট যুক্ত মিষ্টি স্বাধের, দুটি অধেক কারবাল দিয়ে শস্যমুক্ত এবং একটি উচ্চ প্রেটিন যুক্ত। গ্র্যানোলা গুলোর স্বাধের মধ্যে অন্তুভুক্ত- কলা, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম মাখন ভ্যানিলা , ম্যাপেল ক্র্যানবেরি এবং গাজর কেক, পিত্তর ব্লিস এছাড়াও দেয় সাতটি ভিন্ন শক্তিবার যেমন আকাই নারিকেল, লেবু ক্র্যানবেরি,সাদা চকলেট বাষ্প বেরি, এবং সূর্যমূখী স্বাদযুক্ত মাখন চকলেট, একই সাথে তাদের অত্যন্ত জনপ্রিয় এনাজি বাইটস যা একই স্বাদ যুক্ত হয়ে থাকে- অবশেষে তাদের পানভোজনবিলাসী বাদাম মিশ্রিত হয় যার সাথে নারকেল, মধু , কাজুবাদাম, তিল মধু কাজুবাদাম ম্যাপেল দারুচিনি মিশ্রিত বাদাম যুক্ত থাকে। এই সবগুলো তাদের আটলান্টা উপকূলের ম্যারিটাতে অবস্থিত ৫,২০০ বর্গফুটের রান্নাঘরে তৈরি হয়। সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত ভক্তকর্মীরা প্রতিদিন সকাল ৬ টায় কাজ শুরু করে।স্বয়ংক্রিয় মিশ্রন যন্ত্র এবং বিশাল র্যাক ও ভেন ব্যবহার করে তারা প্রতিদিন ১০০০ পাউন্ডের পরিমান খাবার তৈরি করে । রান্নাঘরটিতে তারা উচ্চমানের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে এবং ভগবানকে নিবেদন করা ছাড়া কোন খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করা হয় না। ইস্কন আটলান্টা মন্দিরের পূজারী চিত্রবীর্য দাস ভগবান গৌর নিতাই কে প্রত্যেক ব্যাচের প্রসাদ নিবেদন করে থাকেন। পসাদগুলো প্যাকেট করার পর বিক্রয়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০০ টি দোকানে পাঠানো হয়। এই দোকানগুলোর মধ্যে প্রধান আনচলিক শাখাগুলো হল হোলফুডস, ক্রোয়েডারস এবং স্প্রাউটস, তাছাড়া বৃহত্তর সহশাখা গুলো হচ্ছে আরকানঘাসের ওঝার্ক ন্যাচারাল ফুডস এবং কালিফোর্নিয়ার নিউ লিফ এর মত দোকানগুলি। স্থানীয়ভাবে আটলান্টা এলাকায় পিত্তর ব্লিস অর্গানিকস এর পন্যগুলো প্রায় ১০০ কফি শপ , প্রসাধনীর দোকান আশেপাশে মুদির দোকানে এবং কৃষকদের বাজারে বিক্রি হয়।
জয়া গোবর্ধনা বলেছেন- কৃষকদের বাজারে গ্রাহকদের আমরা ব্যক্তিগতভাবে জানতে পারি। তাই আমরা জানতে পেরেছি যে অনেক লোক তোদের সন্তানদের প্রসাদ সেবনের মাধ্যমে গড়ে তুলছেন, এবং তাদের মধ্যে অনেকে অনুগত্য রয়েছে। লোকজন সত্যিই প্রসাদের প্রতি অনেক আকৃষ্ট এবং তারা মন্তব্য করেছেন যে এই প্রসাদের স্বাদ এবং অনুভুতি বাজারের অন্যান্য জিনিসের চেয়ে অতুলনীয়। এটি আমাদের জন্য খুবই অনুপ্রেরনীয় বিশেষ করে আমরা জানি যে প্রসাদ গ্রহন রান্না করা এবং ভক্তদের দ্বারা ভগবানকে নিবেদনের ফলে হৃদয়ের শুদ্ধিকরন ঘটে।
তাছাড়া আটলান্টার কেন্দ্রস্থলের উপহারের দোকান এবং অধডজন বৃহত্তম হোটেলে পিত্তর ব্লিস এর প্রসাদ বিক্র হয়। এবং তারা স্থানীয় ভাবে তৈরি অগানিফস ফুডস্ এবং রন্তন কারী সেফকে সমর্থন করতে চান এবং তাদের খাবারের মেনুতে পিত্তর ব্লিসকে স্বীকৃতি দিতে চান।
আর ও দূরবর্তী বিস্তৃত ষ্টাট আপ কোম্পানীগুলোর জন্য পিত্তর ব্লিস অগানিকস পন্য তৈরি করতে শুরু করছে।
যদিও এটি বছরের পর বছর ধরে ক্রমবধমান হয়ে আসছে। তারপর ও পিত্তর ব্লিস কোম্পানী নিজেদেরকে ছোট কোম্পানী হিসেবে বিবেচনা করে।কিন্তুু সাম্প্রতিক সময়ে জয়া গোবর্ধনা দাস ও হরিদাস ঠাকুর ব্যবসায়কে আরো দ্রুত সম্প্রসারনের লক্ষে জাতীয় বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ এবং বড় এর্কাডন্ট এবং ক্লায়েন্ট নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছেন। তারা আশা করছে ৫০০টি দোকান থেকে ২০০০ দোকানে সম্প্রসারনের এবং একদিন ২০০০০ দোকনে। অন্যান্য ভক্ত যারা তাদের স্বপ্ন প্রকাশ করেছেন তাদের জন্য পরামর্শ- কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করে। যতদিন না তিনি আপনাদের দৃড়সংকল্প এবং আকাঙ্গ দেখতে পায়। এবং তারা আরো বলেন ভক্ত জগতের মধ্যে আপনাদের ব্যবসাকে সফল করতে কখন ও ভয় পাবেননা হোক এটি পেশাদারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায় প্রশিক্ষন।
ফলাফলে তারা আমাদের আশ্বাস দেয় এবং গভীরভাবে পরিপূর্ন করে। হরিদাস ঠাকুর বলেছেন আমি এই কাজের মাধ্যমে কৃষ্ণ এবং আমার গুরু মহারাজের সাথে যুক্ত আছি।“জয়া গোবর্ধনা উপসংহারে বলেছেন- যখন আপনি রাতে বালিশে মাথা রাখবেন । আপনি জানতে পারবেন, আপনি কী করছেন, এতে এই জগৎ উপকৃত হচ্ছে এবং জগতের মানুষকে আধ্যাত্মিক জীবনে সাহায্য করছে কিনা।” হরেকৃষ্ণ!
(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ অক্টোবর ২০১৮ সালে প্রকাশিত)