ভক্তদের উদ্দেশ্যে শ্রীল প্রভুপাদের পত্রাবলী বিষয়: খাওয়া ও ঘুম

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪ | ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ | ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 111 বার দেখা হয়েছে

ভক্তদের উদ্দেশ্যে শ্রীল প্রভুপাদের পত্রাবলী বিষয়: খাওয়া ও ঘুম

 “কাউকেই শুধুমাত্র খাওয়া এবং ঘুমের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করাকে অনুমোদন দেয়া ঠিক নয়। সবারই উচিত দৈনন্দিন ২ অথবা ৩ বার ক্লাসে উপস্থিত থাকা এবং রাস্তায় সংকীর্তনের জন্যে বের হওয়া। খাওয়াটা কমিয়ে আনা উচিত। অতিরিক্ত খাওয়া অতিরিক্ত ঘুম যৌন বাসনার দিকে পরিচালিত করে। তাই ব্যবস্থাপনাটা খুবই সতর্কভাবে করা উচিত। এটি যে কোন আরাম বা অলস মনোভাব নয় যার একমাত্র পরিসমাপ্তি ঘটবে অধঃপতন।”

(রূপানুগা দাসের কাছে পত্র ৯ই জানুয়ারী, ১৯৭৫)

“তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে, ‘যখন আপনি আমাকে তুলসী দাসী নাম দিয়েছিলেন তখন আপনি বলেছিলেন, এখন তুমি খাওয়া ছাড়াই সন্তুষ্ঠ থাকতে পার। তার মানে কি এই যে আমার অল্প খাওয়া উচিত? হ্যাঁ, পারমার্থিক জীবনে যে কাউকেই দেহ আত্মা উভয়কেই ঠিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহন করা উচিত নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যে কেউ তার নিজের ইন্দ্রিয়গুলোকে সেবা করার চেয়ে বরং কৃষ্ণকে সেবার মাধ্যমেই সন্তুষ্ঠ থাকতে পারে।

(তুলসী দাসীকে পত্র, ২০মে, ১৯৭৩)

“কাম বা যৌন বাসনাকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য সবচেয়ে ভালো বিষয় হল অতিরিক্ত মসলা জাতীয় গ্রহন না করা এবং সর্বদা কৃষ্ণ স্মরণ করা। নিয়মিত জপ করা এবং সর্বদা কৃষ্ণভাবনায় থাকা।”

(নিরঞ্জন কে পত্র, ২৭মে ১৯৭১)

“অনুগ্রহ করে নৈমিত্তিক অভ্যাস, দিনের স্নানকার্য এবং সময়মত খাওয়া, পান করা এবং সময়মত ঘুমানোর মাধ্যমে নিজেকে উপযুক্ত রাখ”।

(গর্গমুনীকে পত্র, সেপ্টেম্বর ১৯৬৭)”এই অবস্থায়, যদি আমরা পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম গ্রহন না করি তবে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ব। এই বিষয়ে জোর খাটানোর কোনদরকার নেই। তাই যে কারোরই উচিত ভালো স্বাস্থ্য টিকিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহন করা। কিন্তু বর্তমানে, রাতে ৬ ঘন্টা ঘুমানো এটাই যথেষ্ট এবং বিশেষ প্রয়োজনে দিনে আরো এক ঘন্টা ঘুমাতে পার। ভক্তিমূলক সেবা নিষ্টাসহকারে পালনের মাধ্যমে। তোমার বেশি ঘুমের প্রবণতা আপনা আপনিই হ্রাস পাবে।”

(রুদ্রকে পত্র, ৯মার্চ ১৯৭০)

“আমি জানি না তুমি কি খাচ্ছ, কিন্তু খাবার হওয়া উচিত পুষ্টিকর এবং সাধারণ। কোন বিলাসী খাবার নয়। তার মানে চাপাটি, ডাল, শাকসবজি, কিছু মাখন, কিছু ফল এবং দুধ। এগুলোই ভাল স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু আমাদের উপভোগ করা indulge উচিত নয় মিষ্টি জাতীয় দৈনন্দিনভাবে এরকম কিছু গ্রহনের মাধ্যমে। অতিরিক্ত প্রথম শ্রেণীর খাওয়া আমাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করতে পারে, বিশেষত মিষ্টি জাতীয় কিছু খাবারের মাধ্যমে। যাই হোক, কৃষ্ণ প্রসাদ খাও, কিন্তু সতর্ক থাকো যেন আমরা লাক্সারী বা বিলাসী খাবার গ্রহনে ভোগম্মুখ না হই। কৃষ্ণের জন্য আমাদের সবচেয়ে সুন্দর প্রস্তুতকৃত খাবারটি নিবেদন করতে হবে। কিন্তু পক্ষান্তরে আমাদের জন্য প্রসাদ হওয়া উচিত উচিত সাধারণ মানের।

(গর্গমুনিকে পত্র, ২০নভেম্বর, ১৯৬৯)

“হ্যাঁ, বিষয়টি হল যে আমাদের প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহন অনুচিত। খাওয়া ঘুমানোর এ সমস্ত কিছু হল জড়জাগতিক চাহিদা। এগুলো যত বেশি কমানো হবে। তখন সেটাই ভালো। কিন্তু সময়ে সময়ে স্বাস্থ্যের ঝুঁকির ক্ষেত্রে নয়। কেননা আমাদের কৃষ্ণের জন্য কর্ম করতে হবে। তাই আমাদের অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যকে সুন্দরভাবে রাখতে হবে। কিন্তু আমাদের দেহ এবং আত্মাকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহন অনুচিত। এটাই হল আদর্শ। এর মানে এই নয় যে, যদি কারো দেহকে রক্ষার জন্য অধিক খাবার দরকার আর সে জন্যে যে কাউকে অনুসরণ করবে যার জন্য দরকার পরে কম খাবার। প্রকৃত বিষয় হল, খাবারটা শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ জিহ্বার চাহিদার ফলে এটিকে বিলাসিতা খাবারের মাধ্যমে ইন্দ্রিয়তৃপ্তি নয়।

“আমরা এমন কোন কিছু খেতে পারি না যা কৃষ্ণকে নিবেদন করা হয়নি এবং আমরা এমন কোন কিছু নিবেদন করতে পারি না যা কোন ভক্ত দ্বারা রান্নাকৃত হয়নি। আমি আশা করি এই ব্যাপারটি তোমার কাছে পরিষ্কার হবে।

(জয়পতাকার কাছে পত্র ১২ আগষ্ট, ১৯৬৯)

ভক্তদের বিভিন্ন সমস্যার উপর শ্রীল প্রভুপাদের বিভিন্ন বিষয়ের সেসময়কার পুরোনো চিঠিগুলো প্রতি মাসে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।