এই পোস্টটি 843 বার দেখা হয়েছে

ফেব্রুয়ারি ২০১৪: মেইল অনলাইন : যারা ধর্মীয় অনুশাসন পালন করেন, তারা অন্যদের চেয়ে স্বাস্থ্যবান হন। তারা অসুস্থ কম হন। কর্মক্ষেত্রেও তারা কম চাপ ও উদ্বেগ অনুভব করেন। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যের স্টকপোর্ট শহরে হেলথ অ্যান্ড সেফটি ল্যাবরেটরির মনোবিজ্ঞানী ড. রোক্সানি গ্যারভেইস দেখেছেন, ধার্মিক মানুষ অন্যদের চেয়ে কম উদ্বেগ বা মানসিক চাপে ভোগেন। একজন ধর্মপ্রাণ চাকরিজীবী মনে করেন, তার জীবন অন্যদের তুলনায় বেশী অর্থবহ। ড. রোক্সানি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, ধার্মিক শ্রমিকরা বাড়িতে ও কর্ম জীবনে সুখী হন। তিনি বলেন, যারা নিয়মিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি তৃপ্ত থাকেন। দ্যা টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে তিনি বলেন, আমাদের কাজের পরিসর যেমন বেড়েছে, তেমনি জীবন ও পাল্লা দিয়ে চলছে। আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বা ধর্মীয় রীতিনীতি কর্মক্ষেত্রে একটি শক্তি হিসেবে কাজ করে। এর ফলে ধার্মিক মানুষ কর্মজীবনে যেকোনো চ্যালেঞ্জর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।এ বিশ্বাস শুধু চাকুরীজীবীর জন্যই নয়, বরং নিয়োগকারী জন্য উপকারী। ড. রোক্সানি গবেষণা তথ্য ‘ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটিজ ডিভিশন অব অকুপেশনাল সাইকোলজি’র বার্ষিক সম্মেলন উপস্থাপন করা হয়। প্রসঙ্গত, আধ্যাত্মিকতা বা কৃষ্ণভাবনামৃত সমগ্র মানব সমাজের জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে। এটি ইহজীবন এবং সেই সাথে ও পরলৌকিক জীবনে অসীম সাধন করে। এছাড়াও ধর্মীয় বিধিনিষেধ পালন সর্বোচ্চ কল্যাণকর কেননা এগুলো মানব জাতির কল্যাণের নিমিত্তে প্রধান করা হয়েছে।ঠিক যেমন কৃষ্ণভাবনামৃত লালনের মাধ্যমে যেকেউ যেকোনো পরিস্থিতিতে সুখী থাকেন এবং পরমজ্ঞান লাভ করতে পারেন।