এই পোস্টটি 149 বার দেখা হয়েছে

ডেকান হেরাল্ড অবলম্বনে: দীর্ঘ ৪ ঘন্টা সরকার পক্ষীয় নেতাদের সঙ্গে বিরোধী পক্ষীয় নেতাদের সঙ্গে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়। ভয়েস-ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হয় অবশেষে সরকার পক্ষীয় নেতাদের। আর এরই মাধ্যমে বিল পাশ হয় যে, ভারতের কর্ণাটকে এখন থেকে গো-হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুধু গো-হত্যা নয় এই বিলের মাধ্যমে গরু বিক্রি এবং তার মাংস বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনকি গরুবাহী যানবাহনের যাতায়াতের উপরও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিজেপি সরকার। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, তবে তার জন্য শাস্তিও খুব কঠোর। অপরাধসূচক যে কাউকে জরিমানা হিসেবে ২৫০০০ থেকে ৫০০০০ রুপি সহ ন্যূনতম এক বছর থেকে সাত বছর পর্যন্ত হাজত বাস হতে পারে। বিলটি ১৯৬৪ সালের কর্ণাটক গরু জবাই প্রতিরোধ এবং গবাধি পশু সংরক্ষণ আইনের সংশোধনী বিল হিসেবে প্রসিদ্ধ। শুধু নয় এই বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটনের দামও প্রতি কেজিতে ২৬০ থেকে বেড়ে ১০০০ রুপিতে হয়েছে। এই আইনের বিরোধী কিছু থাকলেও তার চেয়ে অনেকগুন বেশি সরকারের এই আইনে সমর্থন জানিয়েছে। অনেকের মন্তব্য, “এভাবে যদি গরু জবাই আর বেশি দিন চলতে থাকে তবে আর কিছু দিন পরে দুধের ঘাটতি হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত।” কর্ণাটকের অধিকাংশ জনগণ এই আইনের স্বপক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতের অনেক স্থানে গো-হত্যার বিরুদ্ধে ইসকন ভক্তদের সঙ্গে সাধারণ জনগণরাও জোর আন্দোলনে নেমে পড়েছিল। কর্ণাটকের এই গো-হত্যা আইন প্রতিরোধে কিছুদিন আগের ঐ আন্দোলন এক বিরাট প্রভাব ফেলেছে। এই আন্দোলন এখন সারাবিশ্বে ঘটে চলেছে যার প্রভাব অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববাসী দেখতে পাবে। যার একটি নিদর্শন কর্ণাটকের এ বিল পাশ।
হরে কৃষ্ণ।
চৈতন্য সন্দেশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন :https://play.google.com/store/apps/details?id=com.differentcoder.csbtg
Hare Krishna Thanks For Reading