এই পোস্টটি 915 বার দেখা হয়েছে

এক হিন্দু লোক তার মন্দিরে এক দেবতার মাটির মুর্তিকে নিয়মিত পূজা দিত। ওটা দেখে তার এক অহিন্দু প্রতিবেশী তাকে প্রতিদিন বলত
“মাটির মুর্তিকে পূজা করে কোনো লাভ আছে? কি হয় ওটা করে? আপনার দেবতা তো আর পূজা পায় না।”
হিন্দু লোকটা কিছু বলত না। কিন্তু দিন দিন একই ভাবে অহিন্দু লোকটা বিরক্ত করতে লাগল। তাই হিন্দু লোকটা একদিন করল কি, ঐ মন্দিরের বাইরে তার প্রতিবেশী অহিন্দু লোকটার একটা ছবি টাঙ্গালো, পরে যখন অহিন্দুলোকটা আসল, তখন সে ঐ ছবিতে একটা জুতার মালা পরিয়ে রাখল। অহিন্দু লোকটা এটা দেখে যথারীতি ক্ষেপে গেল!! সে তো রেগে-মেগে আগুন! সে বলল, আপনার সাহস কতোবড় আমার ছবিতে জুতারমালা দিয়ে রাখছেন?
আমাকে এতো অপমান করার সাহস আপনাকে কে দিল? এই বলে গালি দিতে লাগল। হিন্দু লোকটি তখন বলল, ভাই, আমি তো একটা
ছবিতে জুতার মালা দিছি, আপনার গলায় তো আর দেইনি। অহিন্দু লোকটা আরো ক্ষেপে গিয়ে বলে – ফাইজলামি পাইছেন, এইটাতো আমারই ছবি, আমার ছবিতে জুতার মালা দিয়ে আমারে অপমান করে আবার আবোল-তাবোল বকছেন মিয়া?
হিন্দু লোকটি বলল – তাহলে আপনার ছবিতে জুতার মালা দিলে আপনার লাগে? অহিন্দু লোকটি বলল – অবশ্যই। হিন্দু লোকটি বলল – তাইলে শুনুন, আপনার কাগজের একটা ছবিতে জুতার মালা দিলে যদি আপনার অপমান হয়, তবে আমার দেবতার ঐ মাটির মুর্তিতে পূজা
দিলে আমার দেবতারই পূজা হয়। যদি বুইঝা থাকেন, তাহলে এখন থেকে আর মূর্খের মতো আচরণ করবেন না। অহিন্দু লোকটা তারপর থেকে আরলোকটা তাকে বিরক্ত করে নি।
হরে কৃষ্ণ।।