স্কটিশ চার্চ কলেজে শ্রীল প্রভুপাদের জন্মবার্ষিকী

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ১:৩৯ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ১:৪১ অপরাহ্ণ

এই পোস্টটি 192 বার দেখা হয়েছে

স্কটিশ চার্চ কলেজে শ্রীল প্রভুপাদের জন্মবার্ষিকী

শ্রীল প্রভুপাদের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর স্মরণে স্কটিশ চার্চ কলেজ শ্রীল প্রভুপাদকে তাদের বিশিষ্ট প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং অনলাইনে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ‘আধুনিক বিশ্বে আধ্যাত্মিকতা’ বিষয়ে শ্রীল প্রভুপাদের অবদানকে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকৃতি প্রদান করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজে অভয় চরণ দে তার উচ্চতর পড়াশুনা সম্পন্ন করেন। কলেজটি উত্তর কলকাতায় হ্যারিসন রোডে তাঁর বাসভবনের কাছে অবস্থিত। কলেজে শ্রীল প্রভুপাদ ইংরেজির পাশাপাশি সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষালাভ করেছেন। তার বেশিভাগ অধ্যাপক ছিলেন ইউরোপীয়। নিম্নলিখিত চিঠিটি “শ্রীল প্রভুপাদ লীলামৃত” গ্রন্থে দ্বিতীয় অধ্যায়ে উদ্ধৃত যেখানে শ্রীল প্রভুপাদ তার কলেজের বছরগুলি সম্পর্কে কথা বলেছেন।
শ্রীল প্রভুপাদ: আমরা আমাদের অধ্যাপকদের আমাদের পিতার মতো সম্মান করতাম। ছাত্র এবং অধ্যাপকদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডব্লিউ.এস. উরকুহার্ট, একজন সাধারণ দয়ালু ভদ্রলোক ছিলেন। যাঁর সাথে আমরা মাঝে মাঝে ঠাট্টা করতাম। আমি প্রথম বর্ষে ইংরেজি ও সংস্কৃত এবং দ্বিতীয় বর্ষে সংস্কৃত ও দর্শন তারপরের বর্ষে দর্শন ও অর্থনীতি অধ্যয়ন করি। আরেকজন অধ্যাপক ছিলেন জে.সি স্ক্রিমজিও ; তিনি ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন ।
ইংরেজি সাহিত্য পড়ানোর সময় তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সরল প্রবন্ধগুলো পড়াতেন। “হ্যাঁ, হ্যাঁ,” তিনি বলতেন, “তোমার বঙ্কিমবাবু এইরকমই বলেছেন।” তিনি বঙ্কিমের সাহিত্য অধ্যয়ন করেছিলেন এবং তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ওয়াল্টার স্কটের সাথে তুলনা করেছিলেন। সেই সময়ে, ডিকেন্স এবং স্যার ওয়াল্টার স্কট ছিলেন দুজন অত্যন্ত মহান ইংরেজ সাহিত্যিক। তাই তিনি আমাদের সেই ঔপন্যাসিকদের রচিত সাহিত্য শিক্ষা দিতেন এবং সম্পর্কটা খুব সুন্দর ছিল। শ্রীল প্রভুপাদ (অভয়চরণ দে ) ১৯২০ সালে ইংরেজি, দর্শন এবং অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে গান্ধীর স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য তিনি তার ডিগ্রি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।