এই পোস্টটি 241 বার দেখা হয়েছে
কুলবীর দাস: পাশ্চাত্যে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের প্রথম দু’জন নারী শিষ্যা হলেন-শ্রীমতি বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী দাসী ও শ্রীমতি বিনোদ বাণী দেবী দাসী। তাঁরা উভয় যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের অধিবাসী ছিলেন। তাঁরা আমৃত্যু বৈদিক গৌড়ীয় ভাবাদর্শিক ভজন জীবন অতিবাহিত করেছেন।
বিনোদ বাণী দেবী দাসী যাঁর পূর্বনাম ছিল মিস ডেইজি কোসিলিয়া বোটওয়েল, তিনি লন্ডনের একটি ধনী সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের গৌড়ীয় দর্শনের প্রতি অনুরক্ত হয়েছিলেন। তিনি শ্রীমৎ ভক্তিপ্রদীপ তীর্থ মহারাজের মাধ্যমে শ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের নিকট হতে ১৯৩৭ সালে ফেব্রুয়ারীতে দীক্ষা লাভ করেন। তিনি ১৯০৬ সালে জে.এম স্যানালের শ্রীমদ্ভাগবতের সংস্করণ পড়েছিলেন ও ৬ খন্ডের ইংরেজিতে চৈতন্য চরিতামৃত অধ্যয়ন করেছিলেন। এছাড়া শ্রীমৎ ভক্তিপ্রদীপ মহারাজের অনুবাদকৃত ইংরেজি গীতাসহ প্রচুর বৈদিক গ্রন্থ অধ্যয়ন করেছিলেন। তাঁর টমাস নদীর তীরে একটি বড় উদ্যান ছিল, যেখানে বসে তিনি পবিত্র হরিনাম করতেন আর শ্রীবৃন্দাবনের ধ্যান করতেন। প্রায় সময় সেখানে অবস্থানরত বাঙ্গালী অভিবাসীদের নিয়ে হরিনাম করতেন।
বিনোদবাণী দেবী দাসী তাঁর বাড়িটি শ্রী গৌর রাধা বিনোদ জিউ এবং শ্রী বাসুদেব বিগ্রহের পূজার জন্য দান করেছিলেন। তিনি ১৯৮১ সালে এই ইহ জগৎ ত্যাগ করে গোলক ধামে যাত্রা করার পূর্বে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি শ্রী বাসুদেব গৌড়ীয় মঠের নামে উইল করে যান। ২৭ ব্রুনহাস্ট রোড, লন্ডনে তাঁর অবদানে স্থাপিত হয় শ্রীবাসুদেব গৌড়ীয় মঠ। ১৯৮২ সালে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে শ্রীপাদ কমলাক্ষ দাস ব্রহ্মচারী ঐ মঠের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।