এই পোস্টটি 278 বার দেখা হয়েছে
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
ইস্কনের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী, মহারাজ, প্রবীণ ভক্তদের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে ৪ দিন ব্যাপি শ্রবণ মেলা শেষ হয়। শ্রীশ্রী রাধামাধব প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শ্রীশ্রী রাধামাধবের অর্ভিষেক, গরুর গাড়ি করে পরিক্রমা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
৬ই মার্চ ভোরে বিভিন্ন দেশের চার হাজার ভক্ত নিয়ে ৩৩ তম নবদ্বীপ মণ্ডল পরিক্রমা টিম মায়াপুর মন্দির থেকে যাত্রা শুরু করে সরস্বতী নদী পার হয়ে সুর্বণ বিহারে পদার্পণ করেন। যেখানে সুবর্ণ সেন রাজাকে শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু দর্শন দিয়েছিলেন। সেখান থেকে পঞ্চানন তলা শিবের স্থান দর্শন করে নরসিংহ পল্লি নরসিংহদেবের অর্পূব বিগ্রহ দর্শন করে মন্দাকিনী নদীর জল মস্তকে ধারণ করে হরিহরক্ষেত্রে হরিহরকে প্রণাম করে মায়াপুরে এসে শেষ হয়।
৭ মার্চ দ্বিতীয় দিন মায়াপুর থেকে জলঙ্গি নদী পার হয়ে গোরাদহ, শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের বাড়ি সানন্দা সুখদা কুঞ্জ-সুরভীকুঞ্জ, জগন্নাথ মন্দির পহংসবাহন মহাদেব, পুষ্করতীর্থ, নৈমিষারণ্য দর্শন করে মায়াপুরে পরিক্রমা সম্প্রাতি ঘঠে।
৮ মার্চ মায়াপুর থেকে যাত্রা শুরু করে গঙ্গা পার হয়ে নবদ্বীপ শহর হয়ে চম্পাহাটি শ্রীশ্রীগৌর-গদাধর মন্দির দর্শন করে, সমুদ্রগড়, বিদ্যানগর সার্বভৌমভট্টাচার্যের বাড়ি, বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের জন্মস্থান মামগাছি দর্শন করে মায়াপুরে এসে পরিক্রমা শেষ হয়।
৯ মার্চ চতুর্থ দিন গঙ্গা পার হয়ে নবদ্বীপ শহরে অবস্থিত পৌড় মায়া মন্দির, বিষ্ণুপ্রিয়া মন্দির ও সিদ্ধ শ্রীল জগন্নাথ দাস বাবাজির সমাধি মন্দির দর্শন করে গঙ্গা পার হয়ে নন্দন আচার্যের ভবন যেখানে চৈতন্য মহাপ্রভু সাথে নিত্যানন্দ প্রভু সাথে প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে সে স্থান দর্শন মধ্যে দিয়ে পরিক্রমা সমাপ্ত হয়।
১০ মার্চ মায়াপুর থেকে যাত্রা শুরু মহাপ্রভুর জন্মস্থান হয়ে নদীয়া ঘাট, শঙ্করপুট, বেলপুকুর (যেখানে ব্রহ্মার চার পুত্র বেল খেয়ে তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন) এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দাদু নীলাম্বর চক্রবর্তীর সেবিত প্রাচীন বিগ্রহ মদন গোপাল দর্শন করে, মেঘের ছাড়া, সীমান্তী দেবীর মন্দির, রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির, শ্রীধর ঠাকুরের বাড়ি, চাঁদকাজীর সমাধি, মাসির বাড়ি, শ্রীমুরারি গুপ্ত ঠাকুরের বাড়ি, শ্রী অদ্বৈত ভবন ও শ্রীবাসঅঙ্গন হয়ে মায়াপুর এসে পরিক্রমা সমাপ্তি ঘটে।
উক্ত পরিক্রমার বিভিন্ন স্থানের মহিমা বর্ণনা করেন- শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ লোকনাথ স্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ ভক্তিপুরুষোত্তম স্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ রাধারমণ স্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ ভক্তিবিঘ্ন নৃসিংহ স্বামী মহারাজ, শ্রীমৎ ভক্তি বিজয় ভাগবত স্বামী মহারাজ সহ আরো অনেকেই।
১১ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত মায়াপুরে দেশ-বিদেশের কীর্তন সম্রাটদের নিয়ে জাকঁজমক পূর্ণ কীর্তন মেলা অনুষ্ঠিত হয়, এতে ভক্তরা নৃত্য-কীর্তনে মেতে ছিল। আয়োজনে আরো ছিল রাধামাধবের বোট ফেস্টিভাল, গঙ্গা পূজা, শান্তিপুর উৎসব।
১৮ মার্চ উদযাপিত হয় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৬ তম আবির্ভাব তিথি, এই উপলক্ষে মহা-অভিষেক ও সকলকে অনুকল্প প্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং পরের দিন জগন্নাথ মিশ্র উৎসবের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে। হরেকৃষ্ণ