এই পোস্টটি 948 বার দেখা হয়েছে
মহাপ্রভুর বংশ পরিচয়
পশ্চিমের বারাণসী হতে তপস্বীও, জিতেন্দ্রিয়, বাৎস্য গোত্রীয় বৈদিক ব্রাহ্মণ মধুকর মিশ্র শ্রীহট্টে এসে বিবাহ করে বড়গঙ্গা নামক গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তাঁর উপেন্দ্রাদি চারি পুত্র ছিলেন। উপেন্দ্র মিশ্রের স্ত্রীর নাম ছিল কমলাবতী। তিনি পরমা সুন্দরী ছিলেন বলে তাঁর পিতা-মাতা শোভাদেবী বলে ডাকতেন।
শ্রীপাদ উপেন্দ্র মিশ্র তাঁর পুত্র শ্রীজগন্নাথ মিশ্রকে অসামান্য ধীশক্তি সম্পন্নও বুদ্ধিমান দেখে তৎকালীন বিদ্যার সর্বশেষ্ঠ পীঠস্থান নবদ্বীপে বিদ্যাভ্যাস করতে পাঠান।
শ্রীজগন্নাথ মিশ্র নবদ্বীপে এসে বাস করা শুরু করলেন বাস। এখানে জগন্নাথ মিশ্রের সাথে শ্রীনীলাম্বর চক্রবর্তীর কন্যা শ্রীমতী শচীদেবীর বিবাহ হয়।
মহাপ্রভুর জন্ম রহস্য
শ্রীজগন্নাথ মিশ্র ও শ্রীমতি শচীদেবীর দেহে শ্রীকৃষ্ণ প্রকাশিত হলে শচীমাতার গর্ভ সঞ্চারের লক্ষণ প্রকাশ পায়। শচীমাতার দেহে অপূর্ব জ্যোতি দেখা গেল এবং আশ্চর্যজনক অনেক ঘটনা ঘটতে লাগল।
এ সমস্ত লক্ষণ দেখে জগন্নাথ মিশ্র একদিন শচীদেবীকে বললেন, “কি সব অদ্ভূত ব্যাপার দেখা যাচ্ছে! তোমার দেহ জ্যোতির্ময় দৃষ্ট হচ্ছে মনে হয়, শ্রীলক্ষ্মী দেবীই জ্যোতির্ময় দেহে আশ্রয় করে আমাদের গৃহে অবস্থান করছেন।” আমি যেখানেই যাই সকলে আমাকে সম্মান করে আর টাকা-পয়সা, ধান-চাল, বস্ত্রাদি আপনা হতেই বাড়ীতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। শচীদেবীও তখন বললেন, “আমিও যত অদ্ভূত ব্যাপার দর্শন করছি যখন আকাশের দিকে তাকাই তখন দেখতে পাই বহু দিব্যলোক যেন আমাকে স্তুতি করছেন।” শচীদেবীর কথা শুনে জগন্নাথ মিশ্র বললেন “আজ আমি একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখেছি আমার হৃদয়ের মধ্যে যেন একটা দিব্য জ্যোতির্ময় বস্তু প্রবেশ করল। আমার মনে হয় তোমার গর্ভে কোনো মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করবেন।” উভয়েই এভাবে পরম আনন্দে ভাসতে লাগলেন।