এই পোস্টটি 212 বার দেখা হয়েছে
একটি পিঁপড়ে শরৎকাল কিছু শস্য সঞ্চয় করেছিল। শীতকালে। একদিন সে সেই শস্যদানাগুলি কিছুটা রোদে শুকোতে দিয়েছিল। তার সে সেগুলি যথা স্থানে রেখে দিলো। একটি ঘাস পোকা তখন সেখানে এসে শস্যদানাগুলিকে দেখতে পেলো। সে পিঁপড়েকে বলতে লাগলো, ভাই, দীর্ঘদিন আহার না পেয়ে আমি মরতে বসেছি। তাই তোমার কাছে একটা মিনতি করছি। পিঁপড়ে বললো, তোমার কি চাই?
ঘাসপোকা বললো, তোমার সঞ্চিত শস্যের কিছুটা যদি আমাকে খেতে দাও তা হলে আমি প্রাণে বাঁচতে পারবো।
সেই কথা শুনে পিঁপড়ে বললো, সমস্ত শরৎকাল তুমি কি করে কাটিয়েছো? ঘাসপোকা বললো, আমি সারা শরৎকাল গান গেয়ে কাটিয়েছি। পিঁপড়ে তখন তাকে জিজ্ঞেস করলো, গান গেয়েছ। ভালো করেছো। কিন্তু সেই সময়ে আহার সঞ্চয় কর নাই কেন? ঘাসপোকা উত্তর দিলো, গানের জন্য ঘোরাঘুরি করতে করতে আহার সঞ্চয় করার সময় হয়ে ওঠেনি। পিঁপড়ে তাকে বললো, এখন শীতকাল। এখন নেচে নেচে কাটিয়ে দাও। তোমার সময় তুমি ফাঁকি দিয়েছো, তবে আমি কেন তোমার জন্য সময় দেবো? এই বলে পিঁপড়ে চলে গেল।
হিতোপদেশ
সময়মতো যে যত্ন ও শ্রম করে, যে খাদ্য অর্থ সঞ্চয় করে, সে অসময়ে যখন শ্রম করতে অক্ষম হবে সেই সঞ্চিত সম্পদ সে গ্রহণ করে সুখে থাকতে পারবে। অনুরূপভাবে এই জীবনে যে ব্যক্তি কৃষ্ণভক্তি অনুশীলনে যত্ন নেবে, তার পারমার্থিক সম্পদ সঞ্চিত হবে, ফলে সে নিত্য ভগবদ্ধামে উপনীত হতে পারবে। কিন্তু যে সাধনভজনে সময় দিতে পারবে না, পরিণামে সে এই দুঃখময় জগতেই পড়ে থাকবে।