এই পোস্টটি 237 বার দেখা হয়েছে
বিশ্বের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমাদেরকে নিরামিশাষী হতে হবে। দ্যা টাইমসের এক সাক্ষাতকারে ব্লেন্টফোর্ড এর লর্ডস্টার্ন বলেন, “মাংস হচ্ছে পানির অপব্যয় এবং অনেকগুলো গ্রীনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করে। যা পৃথিবীর সম্পদের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। নিরামিষ আহার খুবই উত্তম অভ্যাস। গরু এবং শুকরের মাংসে থাকে মিথেন যা গ্রীনহাউসের গ্যাসের উৎস। বিশ্ব ক্ষতিকর গ্যাস হিসেবে কার্বন-ডাই অক্সাইটের (CO2) তুলনায় মিথেন (CH4) ২৩ গুণ বেশি ক্ষতিকর। ২০০৬ এর ডিসেম্বরে কোপেনহেগেন এর একটি সমাবেশে। লর্ড স্টার্ন বলন,“মানুষের ব্যবহারে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ততদিন পর্যন্ত আসবে না যতদিন পর্যন্ত না তারা মাংসাহার ত্যাগ করতে পারছে। তিনি আরও বলেন, মানুষের এটা খুবই চিন্তা করে দেখা উচিত যে, সে কি করছে এবং তাকে আরও বেশি চিন্তা করা উচিত যে, সে কি খাচ্ছে। এখন আমার বয়স ৬১ বছর কিন্তু আমার খাদ্যাভ্যাস ছাত্রজীবন থেকে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। মানুষ তাদের প্রয়োজন গ্রীন হাউস গ্যাস কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এই মাত্রা থেকে সামান্য পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তা পরিবেশ এবং পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের জন্য খুবই হুমকির বিষয় হবে। লর্ড আর্ন বলেন ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ ২৫ গিগাটনে নামিয়ে আনতে হবে। যা বর্তমানে ৫০ গিগাটন। UN এর তথ্য মতে মাংস উৎপাদনের কারণে কার্বনের পরিমাণ প্রায় ১৮ভাগ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়াও এর সাথে আরও যুক্ত রয়েছে বনভূমি উজাড় এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদন। লর্ড স্টার্ন বলেন আমি মাংসাহারের বিরুদ্ধে বলছি এ কারণে যে, তা আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সু টেইলর নামে একজন মহিলা লর্ড স্টানের মতামতকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, আমরা যা খেতে পছন্দ করি তা আমাদের ব্যক্তিগত এবং পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটা মানুষ পরিবেশকে রক্ষার জন্য যা করতে পারি তা হল ব্যক্তিগতভাবে মাংসের ব্যবহার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে কমানো। হরে কৃষ্ণ।