এই পোস্টটি 586 বার দেখা হয়েছে
স ম্পা দ কী য়
ব্যাক টু গডহেড
ব্যাক টু গডহেডের পদযাত্রার মধ্য দিয়ে স্বার্থক হতে যাচ্ছে শ্রীল প্রভুপাদের আরেকটি স্বপ্ন। তাই আমার সাথে হরে কৃষ্ণ আন্দোলনের সমস্ত ভক্ত নিশ্চিতভাবেই চিন্ময় আনন্দে উদ্ভাসিত হচ্ছেন। ব্যাক টু গডহেড’ প্রকাশনার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি শ্রীমৎ জয়দ্বৈত স্বামী ও শ্রীমৎ সৎস্বরূপ দাস গােস্বামীকে। বিশেষত জয়দ্বৈত স্বামী কর্তৃক সংকলিত ব্যাক টু গডহেড নীতিমালা গ্রন্থ থেকে শ্রীল প্রভুপাদের সমস্ত নির্দেশাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রীল প্রভুপাদ বলেছিলেন ‘ব্যাক টু গডহেড’ হল আমার জীবন ও প্রাণ। তিনি বিভিন্ন সময়ে এটি প্রকাশনার ব্যাপারে ভক্তদের প্রতি গুরুত্ব আরােপ করেছিলেন, যেটি ইতােমধ্যেই আপনারা চিঠি-পত্র বিভাগে জেনেছেন। তাই এ বিষয়ে আর আলােকপাত না করে আমি ব্যাক টু গডহেডের সম্পর্কে আরাে গভীর তত্ত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যাক টু গডহেড এর ইতিহাস তুলে ধরার অভিপ্রায় করছি। উক্ত ইতিহাসটি ব্যাক টু গডহেড এর একজন প্রবীন লেখক সত্যরাজ দাসের মাধ্যমে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪, একদল ভক্ত জড়াে হয়েছিল তাদের গুরুদেব শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের আবির্ভাব দিবস (১৮৭৪-১৯৩৭) উদযাপনের জন্য। তাদের মধ্যে একজনকে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত ঠাকুর আদেশ করলেন ইংরেজি ভাষায় কৃষ্ণভাবনা প্রচারের জন্য। তাই এরকম একটি পবিত্র দিনে শ্রীল এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ইংরেজি ম্যাগাজিন শুরু করলেন যেটিকে তিনি পরবর্তীতে উল্লেখ করেছিলেন তার পারমার্থিক জীবনের সূচনা হিসেবে। শ্রীমৎ সৎস্বরূপ দাস গােস্বামী রচিত ছয়-খণ্ডের জীবনী গ্রন্থ শ্রীল প্রভুপাদ লীলামৃত-এ বর্ণনা করা হয়েছে যে কিভাবে গৃহে বসে তিনি ‘ব্যাক টু গডহেড’ এর প্রথম সংখ্যাটি বের করার জন্য পরিশ্রম করেছিলেন।
৬নং সিতা কান্ত ব্যানার্জী ভবনের একটি কক্ষ থেকে প্রভুপাদ নিজে প্রবন্ধ রচনা, সম্পাদনা এবং টাইপ করতেন একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের উদ্দেশ্যে। তিনি একটি লােগাে ডিজাইন করেছিলেন যেটি ম্যাগাজিনের কাভার পৃষ্ঠার উপরে আয়তাকারভাবে অবস্থিত। লােগােটির বাম কোণে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ছবি, সূর্যের আলাের মত তার দিব্য অঙ্গ থেকে আলাে বিচ্ছুরিত হচ্ছে ডান কোনে কম আলােতে এক দল লােক প্রায় অন্ধকারের মধ্য থেকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর থেকে নিঃসৃত আলাের অনুসন্ধান করছে। এই দুটির মধ্যবর্তী অবস্থানে লেখা রয়েছে-ব্যাক টু গডহেড’। ডানে নিচের দিকের ঠিক কোণে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত বসে আছেন এবং গভীর ভাবনায় শাস্ত্র কথা লিখছেন। লােগাের উপরে মােটো লেখা আছে, “কৃষ্ণ হয় সূর্যসম, মায়া অন্ধকার, যাহা কৃষ্ণ তাহা নাহি মায়ার অধিকার।”
শ্রীল প্রভুপাদের তত্ত্বাবধানে আজকের এই বর্তমান লােগােটি অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।
৬৮ বছর পরে এসেও এখনও শ্রীল প্রভুপাদের তৈরি সেই পূর্বের লােগােটির ধারণা অনেকটাই অপরিবর্তনীয় রয়েছে। যেটুকু খানিকটা পরিবর্তন করা হয়েছে সেটি হল তার গুরুদেবের স্থলে শ্রীল প্রভুপাদের ছবি। আর এটি করা হয়েছে শ্রীল প্রভুপাদের উদ্দেশ্যে তার শিষ্যদের বাসনার মাধ্যমে। শ্রীল প্রভুপাদ সেটি অনুমােদন করেছিলেন। (উল্লেখ্য, শ্রীল প্রভুপাদের বর্তমান ছবিটি স্বয়ং প্রভুপাদই বাছাই করেছিলেন।)
শ্রীল প্রভুপাদের শুদ্ধতা এবং পাণ্ডিত্য সম্পর্কে আজ সারা বিশ্ব অবগত। তিনি সবার কাছে সুপরিচিত তার গ্রন্থ, শিষ্য এবং তার ভক্তিময় জীবনকালের মাধ্যমে। কিন্তু যখন তিনি ব্যাক টু গডহেড’ শুরু করেছিলেন, কতিপয় ব্যক্তিই জানত তার পারমার্থিক উপহারগুলি সম্পর্কে এবং খুব কমই তাকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছিল।
প্রকৃতপক্ষে, ১৯৪৪ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত বছরগুলােতে শ্রীল প্রভুপাদ তার অনেক সংখ্যা বের করেছিলেন একাই। তখন ম্যাগাজিনটি ছিল ট্যাবলয়েড আকারে-শ্রীল প্রভুপাদ প্রায় সব প্রবন্ধই নিজে লিখতেন, ছাপা তদারকি করতেন, প্রতিটি কপি (প্রতি সংখ্যায় এক হাজার করে) নিজে রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে লােকেদের কাছে বিক্রি করতেন। ব্যাক টু গডহেড’ প্রকাশ করা ছিল তার জন্য একটি সংগ্রাম। শুরুর দিকে শ্ৰীল প্রভুপাদ একটি ছাপাখানা এবং একজন বিতরণকারী বাছাই করার পর তাকে ছাপানাের জন্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। কেননা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতে কাগজের ঘাটতি হয়েছিল। শ্রীল প্রভুপাদ দৃঢ় ছিলেন এবং যা হােক অবশেষে তার প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশের অনুমতি পেয়েছিলেন। যেটি তিনি ৪৪ পৃষ্ঠায় ছাপিয়েছিলেন।
সৎস্বরূপ দাস গােস্বামী লিখেন, “সালটি ছিল ১৯৪৪ এবং অভয় বিশেষভাবে বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আলােকপাত করেছিলেন…..লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানিতে দীর্ঘ ৪ বছরের যুদ্ধের পর, বিশ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন পৃথিবীকে ক্ষত বিক্ষত করছিল।
“অভয় তার পত্রে লিখেছিলেন পৃথিবীর প্রতি এক তৃতীয়াংশ জনগণকে যুদ্ধের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে এবং একটি বিশ্বের অনুসন্ধান করতে হবে যেখানে শান্তি রয়েছে এবং এখন যে তিক্ততা ও দুঃখের অভিজ্ঞতা তারা লাভ করছে তা থেকে মুক্ত থাকবে। কিন্তু প্রায়ই তারা রাজাবিহীন রাজ্য চায়। ভগবানবিহীন ভগবানের রাজ্য হতে পারে না।
এখানে অবশ্যই ব্যাক টু গডহেড ই আমাদের সমাধান। ভবিষ্যতে জাতিগুলাের মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা আনতে আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। এইটি হচ্ছে
সর্বোত্তম এবং যদি এটি ভুল হত তবে সেটি প্রত্যাখ্যাত হত। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা মানবসৃষ্ট স্বার্থপরতার কারণে ম্লান হয়ে গেছে অন্যথায় আমরা ভগবানের কাছে ফিরে যেতে পারতাম। এটি (ব্যাক টু গডহেড) বিশ্বের সকল জাতির জন্য প্রয়ােজন।
“প্রভুপাদ বলছিলেন, কিভাবে তিনি ব্যাক টু গডহেড’ ম্যাগাজিনের প্রকাশনা শুরু করেছিলেন । কিভাবে তিনি (১৯৩০ সালে) শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের অপ্রকটের দুই সপ্তাহ পূর্বে একটি চিঠি লিখছিলেন। কিভাবে তার গুরুদেব ইংরেজিতে প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছিল। গুরুদেবের আদেশ শিরােধার্য করে প্রভুপাদ ইংরেজিতে ভাষাভাষীদের কথা মাথায় রেখে পাশ্চাত্যের ম্যাগাজিনগুলাের সমমানের ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে লাগলেন। ম্যাগাজিনগুলােতে তিনি তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা কারণ ও ফলাফল বৈদিক শিক্ষা ও পারমার্থিক দৃষ্টিকোণ হতে বিশ্লেষণ করতেন এবং বৈদিক শ্লোক ও তার ব্যাখ্যাগুলাে ইংরেজিতে ভাষান্তর করে তিনি পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করতেন। এভাবে তিনি তার প্রকাশনা চালিয়ে যেতে লাগলেন। যদিও তখনাে তার অর্থাভাব ছিল এবং এই কারণে মাত্র দুটি সংখ্যা প্রকাশ করার পর তাকে ম্যাগাজিনটির প্রকাশনা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল এভাবে বহু বছর পার হয়ে গিয়েছিল। শ্রীল প্রভুপাদ তার লেখার কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন এবং স্বপ্ন দেখতে লাগলেন কিভাবে কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের প্রসার ঘটানাে যায়। ১৯৫২ সালে তার পরিবার এলাহাবাদ স্থানান্তরিত হয়। সেখানেই তিনি ব্যাক টু গডহেড পুনর্জাগরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে ব্যাক টু গডহেড এর পুণরায় শুভ সূচনা হল । তখনাে তিনি একাকী লিখছিলেন, সাথে সাথে টাইপ করা, সম্পাদন করা, মুদ্রণের জন্য বিভিন্ন স্থানে যােগাযােগ সহ যাবতীয় কাজগুলা করছিলেন। এলাহাবাদ হতে তিনি ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তি, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সাথে যােগাযােগ করতে লাগলেন। শীঘ্রই তিনি আসিতে যান যেটি এলাহাবাদ থেকে প্রায় ৪০০ মাইল দূরবর্তী। তিনি সেখানে আচার্য প্রভাকরের সাথে সাক্ষাৎ করেন। শ্রীল প্রভুপাদ এবং প্রভাকর (যিনি প্রভুপাদের ১ম শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন) একত্রে ব্যাক টু হেড মুদ্রণ ও মুদ্রণের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন। কয়েক বছর পর প্রভুপাদ যখন দিল্লিতে ব্যাক টু হেড’ এর প্রকাশনা শুরু করেন, তখন তাকে চায়ের দোকানে দোকানে ঘুরতে হত। শুধুমাত্র একটি কপি বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে হত ঘন্টার পর ঘন্টা।
১৯৬৫ সালে প্রভুপাদ আমেরিকায় আসেন এবং কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের প্রথম ১৯৬৬ সালে অক্টোবরে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে ‘ব্যাক টু গডহেড’ তার শুভযাত্রা শুরু করে। প্রথমে ম্যাগাজিনে মাইমােগ্রাফি কবিতা ছাপা শুরু হলেও প্রভুপাদ তার শিষ্যদের আদেশ দেন “তােমাদের এটির জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যাতে করে এটি বিশ্বে নামী-দামী ম্যাগাজিন যেমন-টাইম, লাইফ অথবা রিডার্স ডাইজেস্ট পত্রিকার মতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
মানুষ তাদের অর্থ ব্যয় করছে কামনা বাসনার কথা বলে এমন ম্যাগাজিনগুলাের পিছনে। ধর্মীয় ও পারমার্থিক প্রচার প্রচারনা শর্তেও তারা ইন্দ্রিয় তৃপ্তিকেই জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করছে। তাদের কাছে আত্মােপলব্ধি একটি গুরুত্বহীন বিষয়। যদিও কারাে কাছে এটি কৌতুহলপূর্ণ কিন্তু কর্মময় জীবনের ব্যস্ততা অথবা জাগতিক আমােদ-প্রমােদের প্রণােদনায় তারা এই কৌতুহল পরিত্যাগ করে। তারা তাদের জীবনে পারমার্থিক বার্তার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে না।
অতএব, তাদের দৃষ্টিতে ব্যাক টু গডহেডর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা নেই।
যখন এইসব ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যাক টু গডহেড সম্পর্কে আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির প্রয়ােগ করা হয় তখন কৃষ্ণভক্তরা দেখতে পান যে, লােকেরা
এটির জন্য সময় দিতে চায় না। প্রভুপাদ এই ঘটনাটির কথা ১৯৫৬ সালে ব্যাক টু গডহেড ম্যাগাজিনে উল্লেখ করেছিলেন। আমি এক ভদ্রলােককে অনুরােধ করি
ব্যাক টু গডহেডের পাঠক হওয়ার জন্য। মাঝে মাঝে আমরা প্রতিউত্তর পাই “সময় নেই”। তারা বলে তারা অর্থ উপার্জন, শরীর ও আত্মা প্রতিপালনে ব্যস্ত। কিন্তু আমরা যখন তাকে জিজ্ঞাসা করি, আত্মা কি? সে কোন উত্তর দিতে পারে না।
কিন্তু প্রত্যেকেরই ভগবদ্গীতা হতে এইসব বিষয় জানা উচিত। তাদের জানা উচিত যে, এই শরীর একটি বহির্বাস (পরিধেয় পােশাক) ব্যতিত অন্য কিছুই নয়। প্রকৃত ব্যক্তির যত্ন না নিয়ে পােশাকের যত্ন নেয়া যে কতটা বােকামি ও সময়ের ব্যথা অপচয়।
কৃষ্ণতত্ত্ব বিজ্ঞান অর্জন না করে বর্তমান আধুনিক সমাজ যে পথে এগুচ্ছে সেটি তাদের শুধু যন্ত্রণাই দান করবে। যে পথে মানুষ নিজের পরিচয় সম্পর্কে বিভ্রান্তি হয়ে নিজেকে একটি পােশাক রূপে কল্পনা করছে। নিজেকে পােশাক ভেবে সে তার শার্ট-প্যান্টকে খাওয়াচ্ছে। এটিই হচ্ছে আজকের অবস্থা। ফলে অর্থনীতি ও বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব উন্নতি সত্ত্বেও মানুষ অসন্তুষ্ট আর ব্যাক টু গডহেড’র লক্ষ্যই হচ্ছে এই অসন্তুষ্ট লােকদের সন্তুষ্ট করতে এই অধুনা অন্ধকার যুগে কৃষ্ণভাবনার অপ্রাকৃত আলাের বিচ্ছুরণ ঘটানাে।
ব্যাক টু গডহেড’ তার সমাজ প্রতিষ্ঠা করার যে
লক্ষ্য নিয়ে তার যাত্রা শুরু করেছিল তা প্রতিপালন করেই সে ক্রমপ্রসারমান। যে ব্যাক টু গডহের এই সুযােগটি গ্রহণ করতে না পারে সে তার পারমার্থিক পরম শান্তি প্রাপ্তির সুবর্ণ সুযােগ হারাচ্ছে।
আর যারা এই সুযােগটি হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করছে তারা ব্যাক টু গডহেড লােগাতে প্রদত্ত সেই লােকগুলাের একজন হওয়ার সুযােগ অর্জন করছে যারা শ্রীকৃষ্ণের সুবর্ণ অবতার চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রেমের আলােয় আলোকিত।
– সম্পাদক
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ, মার্চ ২০২১ সংখ্যা