পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গীতা !

প্রকাশ: ২ নভেম্বর ২০১৮ | ৭:২১ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২ নভেম্বর ২০১৮ | ৭:২১ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 1821 বার দেখা হয়েছে

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গীতা !

৮০ কেজি ওজন ,দৈর্ঘ্য ১১০ ইঞ্চি ও প্রস্থে ৭৯ ইঞ্চি 

মধুসেবিত দাস: সমস্ত প্রধান প্রধান ধর্মে কোন না কোন শাস্ত্র রয়েছে। বাইবেল হল খ্রিষ্টানদের জন্য, কোরান হল ইসলাম ধর্মের জন্য, শ্রীমদ্ভগবদগীতা হল সনাতন ধর্মের জন্য, শ্রীমদ্ভগবদগীতা হল পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর প্রিয় ভক্ত অর্জুনের মধ্যকার পবিত্র কথোপকথন এবং এটি সংঘটিত হয়েছিল হাজার হাজার বছর পূর্বে কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে, পরমেশ্বর ভগবান আত্মা, কাল, কর্ম, পুনর্জন্ম, যোগ ও ভগবদ্ প্রেম সম্পর্কে অর্জুনকে সমাজের সবার কল্যানার্থে ব্যাখ্যা করেন। ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্টের মেডিটেরিয়ান ব্রাঞ্চের ট্রাষ্টি ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মধুসেবিত দাস গত ২৬ বছর ধরে শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ গ্রন্থ সহ শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থসম্ভারের মহিমা প্রচার ও প্রসারের জন্য নিজেকে সর্বতোভাবে উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, “১৯৬৫ সালে ৭০ বছর বয়সে মাত্র সাত ডলার নিয়ে ইস্‌কন প্রতিষ্ঠাতা আচার্য এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ভারত থেকে পশ্চিমা দেশে এসেছিলেন দুর্দশাগ্রস্ত মানবতার জন্য শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতার বাণী প্রচার করার জন্য ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাষ্ট শ্রীল প্রভুপাদের অনবদ্য কর্ম দিব্য গ্রন্থসমূহ প্রকাশনার দায়িত্বে সার্বক্ষনিকভাবে নিয়োজিত তিনি সারাবিশ্ব ১৪ পরিক্রমা করেছিলেন শুধুমাত্র বৈদিক শাস্ত্রের অমিয় বাণী প্রচারের উদ্দেশ্যে এবং এর ফলে লক্ষ লক্ষ লোকের হৃদয়ের অভূত পরিবর্তন সাধিত হয়। তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভগবদগীতার বাণী সবার মাঝে যথাযথ ভাবে প্রচার করেছেন।
এ জন্য মধুসেবিত দাস ভাবছিলেন ভগবদ্‌গীতামহিমা কিভাবে সারা বিশ্বের সর্বত্তোমভাবে প্রচার করা যায়, যার মাধ্যমে লোকেরা এটি অধ্যায়নের জন্য অনুপ্রাণীত হবে। এর পরেই হঠাৎ মনে অনুপ্রেরনা আসল যে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ শাস্ত্র মুদ্রিত হলে তা একটি আকর্ষনীয় ব্যাপার হবে, এজন্য বিভিন্ন পেশাধারী ও শুভাকাঙ্খীদের সহায়তায় এ সুবিশাল গ্রন্থটির ওজন হবে ৮০০ কেজি দৈর্ঘ্য প্রস্থ হবে ২.৮ মিটার ও ২মিটার, শুধু তাই নয় ৭০০ কেজি ওজনের ৬৭০ পৃষ্টা মুদ্রিত হবে জল নিরোধক ও ছেদন বিহীন কাগজ দ্বারা এবং সে সাথে প্রচ্ছদ পটের জন্য ব্যবহৃত স্যাটেলাইট ধাতুর, এছাড়াও গ্রন্থটির ভিতরে বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু ব্যবহার করা হবে, ২০১৮ সালের এ বছরটি পালিত হস্তে শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ গ্রন্থটির প্রকাশনার ৫০ বছর পূর্তি উৎসব, শ্রীল প্রভুপাদ এই গ্রন্থে অনুবাদ ও ভাষ্য প্রদান করেন, এজন্য শ্রীল প্রভুপাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই দিব্য গ্রন্থটি সবার কাছে সুলভ করার জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন স্বরুপ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গ্রন্থটিতে সুদৃশ্য ও বিশাল চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে এ সর্ববৃহৎ গ্রন্থটি আগামী গীতা জয়ন্তীতে ডিসেম্বরে ভারতের নিউ দিল্লীতে প্রথমবারের মত প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য মধুসেবিত দাস ইতোমধ্যে দর্শন, কৃষ্ণ আর্ট ও সম্প্রতি প্রকাশিত ১৬ কেজি ওজনের ভগবদ্‌গীতা প্রকাশনা করেছেন, এবার এরকম একটি বৃহৎ ভগবদগীতা প্রকাশের স্বপ্ন তিনি পূরণ করতে যাচ্ছেন, গ্রন্থটি বিভিন্ন দেশে পর্যায়ক্রমে প্রদর্শনের পর যেখানে কৃষ্ণ অর্জুনকে গীতা দান করেছিলেন সেই কুরুক্ষেত্রে রাখা হবে অথবা মায়াপুর ধামে যেখানে বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম মন্দির স্থাপিত হচ্ছে সেখানে রাখা হবে। গ্রন্থটি প্রকাশনার জন্য মধুসেবিত দাস সবার একান্ত সহায়তা কামনা করেন। এটি প্রকাশনা করতে খরচ হচ্ছে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www. astoundingbhagavadgita.com. হরে কৃষ্ণ!

(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ আগষ্ট মাসে ২০১৮ তে প্রকাশিত)

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।