এই পোস্টটি 1052 বার দেখা হয়েছে
ভালবাসার নিদর্শন আগ্রার তাজমহল ভুবনবিখ্যাত একথা সর্বজন বিদিত। সপ্তাশ্চার্যের অন্যতম এবং ভারতের গর্ব আাগ্রার তাজমহল’ । ইতিহাসখ্যাত এ তাজমহলের শৈল্পিক কারুকার্যেও অনুপম বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য্যে মোহিত না হয়ে পারা যায় না । বর্তমানে শিল্পবিপ্লবের ফলে আগ্রার পরিবেশ অনেকাংশে বিপর্যস্ত । বিজ্ঞানীরা পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখতে চেষ্টার কমতি করছেন না। কিন্তু বিধিবাম। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের তথাকথিত প্রচেষ্টাও বিফল। আশ্চর্য হলেও সত্য যে, তাজমহল তথা আগ্রার পবিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখতে বিজ্ঞানীদের তুলসী মহারাণীর আশ্রয় নিতে হচ্ছে । বর্তমানে হাইটেক প্রযুক্তির কারণে যদিওবা নতুন প্রজন্ম তুলসীর উপকারিতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল নয় তাদেরও এ সুসংবাদের কারণে বোধোদয় ঘটবে।
সপ্তদশ শতকের স্মৃতিসৌধ তাজমহল এখন অনেকাংশে অনুজ্জ্বল হয়ে গেছে। পরিবেশ প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণে জর্জরিত । বাস্তবিকে এর শ্বেত মার্বেল প্রাচীরগুলো এখন হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এই দূষণের প্রধান কারণ যানবাহন এবং শিল্পকারখানাসমূহ,যা উচ্চমাত্রায় সালফার ডাই অক্সাইড পরিবেশে যুক্ত করে। সালফার ডাই অক্সাইড যখন অক্সিজেন ও জলবায়ুর সংস্পর্শে আসে তা তখন ধ্বংসাত্মক পাঙ্গাসের আস্তরণের মাধ্যমে মার্বেল ক্যান্সারের সৃষ্টি করে। রাসায়নিক পদার্থের কারণে মার্বেলর যে ক্ষতিসাধন হয় তাই ‘মার্বেল ক্যান্সার’ । এখন ‘উত্তর প্রদেশ ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট’ এবং ‘অর্গানিক ইন্ডিয়া’ কর্তৃক একটি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের প্রাভাব হতে মুক্ত রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে এর নিকটে ২০ লাখ তুলসী চারা রোপণ করা হবে ।