ডারউইন তত্ত্ব বিবর্তনবাদের ভ্রান্তি

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১২:৩০ অপরাহ্ণ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১২:৩০ অপরাহ্ণ

এই পোস্টটি 271 বার দেখা হয়েছে

ডারউইন তত্ত্ব বিবর্তনবাদের ভ্রান্তি
ব্রিটিশ চিন্তাবিদ চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) আধুনিক বিবর্তনবাদতত্ত্ব প্রবর্তন করেন। তার সেই তত্ত্বে তিনি উল্লেখ করেন প্রাকৃতিক নির্বাচনের ধীর লয় কার্যপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাণ কাঠামোর উন্নয়ন ঘটেছে, উন্মেষ ঘটেছে বিভিন্ন প্রজাতির। তার এই কাজ সমাজে এতটায় প্রভাব ফেলে যে, সেটি প্রাণবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান এবং সাধারণ ব্যক্তিদেরও ভাবিয়ে তোলে। এখানে প্রভুপাদ তার দুটি জটিল লক্ষ্যকে (১। ঈশ্বরের বুদ্ধিমত্তা দর্শন ২। অমর আত্মার দেহান্তর প্রক্রিয়া) সামনে রেখে ডারউইনের বিবর্তনবাদতত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই তত্ত্বের ভ্রান্তি উন্মোচন করেছেন।

শিষ্য : ডারউইন প্রদর্শন করতে চেয়েছেন যে, বিশুদ্ধ জড় প্রক্রিয়ায় (যান্ত্রিকভাবে) বিভিন্ন জীবন্ত প্রজাতির উৎপত্তির উৎস ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। যেটি প্রাকৃতিক শক্তিসমূহের অপরিকল্পিত ক্রিয়া মাত্র। তিনি এটিকে ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন’ নামে অভিহিত করেছেন। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, একটি আদিম ও প্রাথমিক স্তর হতে ধীর ও পর্যায়ক্রমিকভাবে বিকশিত হতে হতে সকল উচ্চতর ও জটিল যৌগিক প্রজাতির উন্মেষ ঘটেছে। উদাহরণস্বরূপ কোনো প্রাণ কাঠামোর (প্রজাতি) আচরণের মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্য থাকে যা তাকে পরিবেশে অপেক্ষাকৃত ভালভাবে খাপ খাওয়াতে সক্ষম করে। এইরকম উৎকৃষ্ট আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলো তার (প্রজাতির মধ্যে বেঁচে থাকে এবং তার নিকটস্থ উত্তরসূরি বা বংশগতির ধারক বা বাহকের নিকট স্থানান্তরিত হয় এবং অন্য উৎকৃষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলো ধীরে ধীরে প্রাকৃতিকভাবে অবলুপ্ত হয়। এভাবে একটি শীতল জলবায়ু ঐ সকল প্রজাতির জন্যই সহায়ক হবে যে সমস্ত প্রজাতির মধ্যে দীর্ঘকেশ কিংবা চর্বিযুক্ত টিস্যু বর্তমান রয়েছে এবং এই প্রজাতিগুলো শীতল জলবায়ুতে বেঁচে থাকার নিমিত্তে ধীরে ধীরে নিজেদের বিকশিত করতে থাকবে ।
শ্রীল প্রভুপাদ : প্রশ্ন হচ্ছে শরীরের কাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে, এখানে কি পরিকল্পনা রয়েছে যে একটি বিশেষ প্রকারের শরীরে কী যেমন তুমি বলেছ দীর্ঘ কেশ, চর্বিযুক্ত টিস্যু-একটি নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক অবস্থার ভিত্তিতে প্রকাশিত হওয়া উচিত? কে এই সকল অবস্থার ব্যবস্থা করছে? এটিই হচ্ছে প্রশ্ন।
শিষ্য : কেউই করেনি। বর্তমান বিবর্তনবাদীদের বিবর্তনবাদ তত্ত্বটি কাকতালীয় ঘটনার বৈচিত্র্যতা প্রকাশের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।
প্রভুপাদ : এটি মূর্খতা। কাকতালীয় ঘটনা বলতে কিছুই নেই। যদি তারা বলে এটি কাকতালীয় ঘটনা তাহলে তারা অপদার্থ। আমার প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে যে কে এই প্রাণিসমূহের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন অবস্থার ব্যবস্থা করছে?
শিষ্য : উদাহরণ স্বরূপ, একটি ব্যাঙ হয়তো হাজার হাজার ডিম দিতে পারে কিন্তু এত ডিম পাড়া শর্তেও খুব সামান্য পরিমাণ ডিম ফুটে বাচ্চা হবে এবং সেখান থেকে খুব কম বাচ্চাই পরিণত অবস্থা প্রাপ্ত হবে। সেগুলোই বেঁচে থাকবে যারা তুলনামূলকভাবে বেঁচে থাকার জন্য বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন। যদি প্রকৃতি সর্বোত্তম যোগ্যতাসম্পন্নন্দের নির্বাচন না করে তবে প্রকৃতি ব্যাঙ আর ব্যাঙে পূর্ণ হয়ে যাবে।
প্রভুপাদ : হ্যাঁ, ব্যাঙের মতোই অনেক প্রাণি আছে যারা শতশত ডিম দেয়। সাপ এক সাথে অনেকগুলো ডিম পাড়ে। সবগুলো যদি পরিণত হয়ে ওঠে তবে সেটি প্রকৃতিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাই বড় বড় সাপ ছোট ছোট সাপদের ভক্ষণ করে। এটিই প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু এই প্রকৃতির পেছনে একটি উন্নত মস্তিষ্ক কাজ করছে, এটিই হচ্ছে আমাদের প্রস্তাবনা। এই প্রকৃতি কখনো অন্ধ নয় এর পেছনে অবশ্যই উন্নত মস্তিষ্ক রয়েছে এবং সেই উন্নততর মস্তিষ্ক হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আমরা এটি ভগবদ্‌গীতা (৯.১০) হতে জানতে পারি ‘ময়াধ্যক্ষেন প্রকৃতি সূয়তে স্বচরাচরম’ এই প্রকৃতিতে সংঘটিত সকল কার্যই পরমেশ্বর ভগবানের অধ্যক্ষতায় পরিচালিত। সর্প শত শত ডিম দিলেও যদি প্রাকৃতিক নিয়মে সেগুলোর অধিকাংশই নিহত না হত তাহলে সত্যিকার অর্থেই পৃথিবী সর্পে পরিপূর্ণ হয়ে যেত। একইভাবে পুরুষ বাঘ তার শাবককে ভক্ষণ করে। অর্থনৈতিক তত্ত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ম্যালথাস বলেছেন যখনই কোনো স্থান অত্যধিক জনসংখ্যায় ভরপুর হয়ে ওঠে তখন সেখানে অবশ্যই যুদ্ধবিগ্রহ, মহামারী, দূর্ভিক্ষ সংঘটিত হয়। আর এই সব ধ্বংসযজ্ঞের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি স্বাভাবিক ভারসাম্য অবস্থায় ফিরে আসে। এইসব প্রাকৃতিক ঘটনা কোনোটিই কাকতালীয় ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিত। যখন কেউ বলে তার উৎপত্তি একটি কাকতালীয় ঘটনা মাত্র, তখন বুঝতে হবে তার জ্ঞান পর্যাপ্ত নয়।
শিষ্য : কিন্তু ডারউইনের এই তত্ত্বের স্বপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে।
প্রভুপাদ : আমাদেরও পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু তোমার যখন প্রমাণই রয়েছে তখন এখানে কাকতালীয় ঘটনা বলা সঠিক নয়।
শিষ্য : যেমন ধরুন লক্ষ লক্ষ ব্যাঙের মধ্যে একটির হয়তো পানির পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
প্রভুপাদ : কিন্তু এটাতো ‘কাকতালীয় ঘটনা’ নয়। এটি একটি পরিকল্পনা। একজন ব্যক্তি তখনই ১টি ঘটনাকে ‘কাকতালীয়’ বলে যখন তার জ্ঞান অপূর্ণ, যখন সে সেই ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। এটি একটি প্রতারণা মাত্র। সুতরাং তার (ডারউইনের) পূর্ণ জ্ঞান নেই অতএব সে কোনো তত্ত্বের জন্য যোগ্য নয়। এটি প্রতারণা ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
শিষ্য : ধরে নিলাম ডারউইন একটি পরিকল্পনা বা ডিজাইন দেখেছিলেন। কিন্তু-
প্রভুপাদ : যদি সে একটি পরিকল্পনা বা ডিজাইন দেখে থাকে তাহলে ডিজাইনটি কার? যখন তুমি ডিজাইনকে স্বীকৃতি দিচ্ছ, তখন তোমাকে অবশ্যই ডিজাইনারকেও স্বীকৃতি দিতে হবে। যদি তুমি কোনো পরিকল্পনা দেখ, তবে তার পরিকল্পনাকারীকেও তোমার অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। এটি সে (ডারউইন) জানত না।
শিষ্য : কিন্তু ‘পরিকল্পনাটি’ প্রকৃতির একটি অনৈচ্ছিক ক্রিয়া মাত্র।
প্রভুপাদ : এখানে একটি পরিকল্পনা রয়েছে। সূর্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ানুক্রমিক হিসাব অনুযায়ী উদিত হয়। সে আমাদের হিসাবে ওঠে না। বরং আমরাই সূর্যকে ভিত্তি ধরে আমাদের সময়ের হিসাব নির্ণয় করি। আমরা বলতে পারি যে, ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে সূর্য ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ওঠে। আমরা শিখেছি যে, ঋতু অনুসারে সূর্য যথাসময়ে উদিত হয়। এটি কোনো খেয়ালিপনা নয়, কিংবা কাকতালীয় ঘটনাও নয়। বরং এটি সময় নির্দিষ্ট পরিকল্পনা।
শিষ্য : কিন্তু আপনি কি বলবেন না এটি একটি যান্ত্রিক প্রক্রিয়া?
প্রভুপাদ : তাহলে কে এই যান্ত্রিক প্রক্রিয়াটি তৈরি করেছেন?
তুমি যদি কোনো যন্ত্র দেখ তবে অবশ্যই তার পেছনে একজন যন্ত্রি রয়েছে।
একটি মস্তিষ্ক রয়েছে যে এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে। এখানে একটি যন্ত্র রয়েছে [প্রভুপাদ একটি টেলেক্স মেশিনের দিকে নির্দেশ করলেন] কে এটি তৈরি করেছে? এই যন্ত্রটি নিজে নিজে কাকতালীয় ঘটনার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়নি। এটি লোহার তৈরি। লোহা কখনো কাকতালীয়ভাবে একটি যন্ত্রে রূপ ধারণ করতে পারে না। এর পেছনে একটি সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক কাজ করেছে যে এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন। সুতরাং এই প্রকৃতির সবকিছুই পরিকল্পিত এবং এই সকল পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে উন্নততর মস্তিষ্ক।
শিষ্য : ডারউইন তার বিবর্তনবাদ তত্ত্বে প্রাণ কাঠামোর (প্রজাতি) আবির্ভাব ও বিনষ্টের যে চিত্রটি অঙ্কন করেছেন সেটি দেখে মনে হয় যেন, এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং যেখানে ঈশ্বরের চিত্রটি পূর্ণরূপে অপসারিত। বিবর্তনবাদ তত্ত্বটি পর্যালোচনা করলে মনে হয় যেন সকল জড় উপাদানের সমন্বয়ে জীবনের উদ্ভব ঘটেছে তারপর প্রাকৃতিকভাবে একটি হতে অপরটি এভাবে বিবর্তিত হতে হতে বিভিন্ন প্রকার প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রভুপাদ : এটি হচ্ছে বোকামি। ঈশ্বরই সমন্বয় করছে। সমন্বয় কখনো নিজে নিজে হয় না। যেমন ধর, আমি রান্না করছি। এখানে অনেকগুলো উপাদান একত্র করে রান্না করতে হয়। উপাদানগুলো নিজে নিজে একত্রিত হয়ে খাদ্যে রূপান্তরিত হতে পারে না। আমি পাচক বা রান্নাকারী। আমি প্রয়োজন অনুযায়ী ঘি, মসলা, চাল, ডাল এবং অন্যান্য উপাদান একত্রে সমন্বয় করলে তখন সেটি একটি ভাল উপাদেয় খাবারে রূপান্তরিত হয়। তাই প্রকৃতির সকল উপাদানগুলো সমন্বয়ের জন্যও ঈশ্বরের প্রয়োজন? অন্যথায় কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত উপাদান-এর সংমিশ্রণে এই সকল যৌগ গঠিত হচ্ছে? তুমি রান্নাঘরে সকল উপাদান রেখে এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে বলতে পার না যে, ‘বাহ! আমার খাবার তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষ কারো সাহায্য নিয়ে আমরা রান্না করতে পারি এবং সেটি খেতে পারি। এটিই হচ্ছে আমাদের অভিজ্ঞতা। তাই যদি সমন্বয়ের কথা আসে তাহলে কে এই সমন্বয়টি করছে? বোকা বৈজ্ঞানিকেরা জানে না কীভাবে এই সমন্বয়টা হচ্ছে।
শিষ্য : বৈজ্ঞানিকেরা এখন বলছে, কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এই চারটি উপাদান হতেই জীবনের উদ্ভব ঘটেছে।
শ্রীল প্রভুপাদ : যদি মৌলিক ভিত্তি শুধুমাত্র রাসায়নিক দ্রব্যই হয়ে থাকে তবে কে এই রাসায়নিক দ্রব্যগুলো তৈরি করেছে? এই প্রশ্নটিও করা উচিত?
শিষ্য : বহু প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খননের মাধ্যমে তারা প্রজাতির প্রাণের বিবর্তনের প্রমাণস্বরূপ বিশেষ লক্ষণ বা চিহ্ন আবিস্কারের প্রচেষ্টা করছে এবং এভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বছরের পর বছর ধরে একটি ধীর পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রজাতি প্রাণের কাঠামো বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিকশিত হতে হতে আরো জটিল ও বিশেষায়িত কাঠামো লাভ করছে। এভাবে অমেরুদণ্ডি প্রাণি হতে মৎস্য, অতঃপর মৎস্য থেকে উভচর প্রাণি, এর থেকে সরীসৃপ, এর থেকে কীটপতঙ্গ, সেখান থেকে স্তন্যপায়ী এবং পাখি অতঃপর চূড়ান্তভাবে মানব দেহে কাঠামো লাভ করেছে। এই প্রক্রিয়ায় বহু প্রজাতি যেমন ডাইনোসর-এর মতো প্রাণকাঠামোর উদ্ভব, বিকাশ সাধন এবং চিরস্থায়ী বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিলুপ্ত। ঘটনাবহুলভাবে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বানরসদৃশ প্রজাতি উদ্ভব হয় এবং সেই প্রজাতি উন্নয়নের এই পর্যায়ে মানুষ প্রজাতি উদ্ভব।
প্রভুপাদ : এটি কি সেই তত্ত্ব যে, তত্ত্ববলে ‘বানরই মানুষের পূর্বপুরুষ’।
শিষ্য : মানুষ এবং বানর উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। তারা একই জায়গা হতে এসেছে
প্রভুপাদ : সবকিছুর মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু যদি বানর শরীর উন্নত হতে হতে মানব শরীর প্রাপ্ত হয় তাহলে কেন মানব শরীরের উন্নতির পরেও বানর প্রজাতিটির অস্তিত্ব বিনষ্ট হয়নি। যেহেতু তুমিই বলেছ প্রকৃতি অপেক্ষাকৃত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রাণকাঠামোকে নির্বাচন করে এবং নিম্নতর প্রাণ কাঠামোকে গুণ বা আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলোকে অবলুপ্ত করে।
শিষ্য : মানব শরীর এবং বানরেরা এবং বৃক্ষের দুটি শাখা মাত্র
শ্রীল প্রভুপাদ : হ্যাঁ, উভয়ই এখনো বর্তমান আছে। তেমনি করে আমরা বলতে চাই প্রাণ কাঠামোর প্রাথমিক অবস্থা হতেই মানব প্রজাতিও বর্তমান ছিল ।
শিষ্য : এই বিষয়ে তারা কোনো প্রমাণ পায়নি।
প্রভুপাদ : কোনো প্রমাণ নেই কেন?
শিষ্য : ভূগর্ভে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে সেরকম কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শ্রীল প্রভুপাদ : ভূতাত্ত্বিক প্রমাণই কি সব কিছু? অন্য কোনো প্রমাণ কি নেই?
শিষ্য : কিন্তু প্রমাণ ভিন্ন কথা বলছে। ৫০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে এখানে কোনো স্থলজ প্রাণি ছিল না শুধু ছিল জলজ প্রাণি।
শ্রীল প্রভুপাদ : এরা নির্বোধ। তুমি পাঁচশ মিলিয়ন বছর পূর্বের ইতিহাস দিতে পার না। কোথায়? আমাকে দেখাও পাঁচশ বছর আগের ইতিহাস। তুমি শুধু জল্পনা কল্পনা করছ, তুমি বলছ ‘ঐতিহাসিক প্রমাণ’ কিন্তু তোমার সেই প্রমাণ কোথায়? তুমি তিন হাজার বছর আগের ইতিহাস আমাকে বলতে পারবে না, আর তুমি বলছ পাঁচশ মিলিয়ন বছর আগের কথা৷ এই সবই বোকামি ।
শিষ্য : আমি যদি গভীর খনন করি স্তরভেদে।
শ্রীল প্রভুপাদ : কিছু ধূলোবালি নিয়ে তুমি পাঁচশ মিলিয়ন বছর আগের হিসেব করছ। এটি সর্বোচ্চ দশ বছর আগের হতে পারে। তুমি তিন হাজার বছর আগের ইতিহাস দিতে পারবে না। তাহলে কীভাবে তুমি পাঁচশ মিলিয়ন বছর আগের কথা বলছ? তখন তুমি কোথায় ছিলে? তুমি কি তখন ছিলে? তাহলে কীভাবে তুমি বলছ যে, সকল প্রজাতি তখন ছিল না? এগুলো সব জল্পনা, কল্পনা। এভাবে সবাই ভাবতে পারে এবং নির্বোধের মতো কিছু কথা বলতে পারে। আমরা বিবর্তনকে স্বীকার করি কিন্তু সেটি এরকম নয় যে, প্রজাতি প্রাণ কাঠামোর পরিবর্তনশীল। শরীরটি এখানে রয়েছে কিন্তু আত্মা তার বিবর্তনের মাধ্যমে শরীরের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। সে একটি শরীর হতে অন্য শরীরে স্থানান্তরিত হচ্ছে। আমার একটি শিশু শরীর ছিল। কিন্তু আত্মার বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমি প্রাপ্ত বয়স্ক একটি শরীর প্রাপ্ত হয়েছি এখন আমার সেই শিশু শরীরটি অবলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে অনেক শিশু রয়েছে একইভাবে সকল প্রজাতি সমান্তরালভাবে বর্তমান এবং তারা অতীতেও বর্তমান ছিল।
উদাহরণস্বরূপ যদি তুমি রেলে ভ্রমণ কর তুমি ১ম শ্রেণি বগি, ২য় শ্রেণি বগি, ৩য় শ্রেণি বগি খুঁজে পাবে। এগুলো রয়েছে এখন যদি তুমি অনেক অর্থ দিয়ে ১ম শ্রেণির বগি ভাড়া কর এবং বল যে, ‘আমিই এই বগিটি তৈরি করেছি’ এটা কি ঠিক? না। এগুলো অনেক আগে থেকেই ছিল। বর্তমান বিবর্তনবাদীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের মধ্যে আত্মা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। আত্মা বিবর্তনশীল এবং একটি কম্পার্টমেন্ট হতে আরেকটি কম্পার্টমেন্টে স্থানান্তরিত হওয়ার মতোই আত্মা এক দেহ হতে অপর দেহে স্থানান্তরিত হয় পদ্মপুরাণ বলছে যে, ৮৪ লক্ষ প্রজাতি রয়েছে এবং আত্মা এই সমস্ত দেহে বিবর্তিত হয়। এই বিবর্তন প্রক্রিয়াকে আমরা স্বীকার করি। এই আত্মা কখনো উদ্ভিদ শরীর ধারণ করে, কখনো কীটের শরীর ধারণ করে, কখনো পশু শরীর ধারণ করে। কখনো মানব শরীর ধারণ করে। কিন্তু এই সকল প্রাণকাঠামো অবলুপ্ত নয়। এরা বর্তমান তাদের পরিবর্তন হয় না কিংবা একটিকে বিকশিত করতে অপরটির অবলুপ্ত হতে হয় না। সবগুলোই সমান্তরালভাবে বর্তমান।
শিষ্য : আমি শুধুমাত্র সময়ানুক্রমিক হিসেব খুঁজে বের করতে চাচ্ছি।
প্রভুপাদ : কীভাবে সময়ানুক্রমিক ইতিহাসঃ যদি তোমার যথার্থ জ্ঞান না থাকে, তোমার তত্ত্ব যদি পরিশীলিত না হয়, তবে কেন আমি তোমার তত্ত্বটি গ্রহণ করব?
শিষ্য : ঠিক আছে। আপনি দাবি করছেন লক্ষ লক্ষ বছর আগে এ গ্রহে জটিল প্রাণ কাঠামো বর্তমান ছিল ।
প্রভুপাদ : সেটি যে গ্রহেই হোক সেটি বড় কথা নয়, আসল কথা হচ্ছে, সকল প্রজাতি বর্তমান আছে বর্তমান ছিল এবং বর্তমান থাকবে প্রকৃতির অধীনে। আমরা বৈদিক শিক্ষা হতে পাই এখানে প্রায় ৮৪ লক্ষ প্রজাতি রয়েছে। তারা তোমার পূর্বে জ্ঞাতি হতে পারে বা আমার জ্ঞাতি হতে পারে। কিন্তু তাদের সংখ্যা এবং প্রকার নির্দিষ্ট। যদি তুমি তোমার সীমাবদ্ধ দক্ষতা নিয়ে তোমার স্বজাতিকে পর্যবেক্ষণ করতে পার তবে সেটি যথার্থ হবে না। বিবর্তনবাদ আমরা স্বীকার করি, কিন্তু তোমার বিবর্তনবাদ তত্ত্বটি সঠিক নয়। আমাদের বিবর্তনবাদ তত্ত্বটি যথার্থ । বেদ হতে আমরা জানতে পারি ৮৪ লক্ষের শারীরিক কাঠামো রয়েছে যা প্রকৃতির কর্তৃত্বে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই আত্মা অপরিবর্তনশীল বা একই থাকে। তাই ভগবদ্‌গীতা বলছে (৫.১৮) যে জ্ঞানী বা পণ্ডিত ব্যক্তি সে প্রজাতি, শ্রেণি, গুণ এই সকল কিছু বিবেচনায় আনে না ‘পণ্ডিতা সমদর্শিন’। সে আত্মাকে দর্শন করে এবং সে সকল প্রজাতির মধ্যে কোনো ভিন্নতা দর্শন করে না।
শিষ্য : ডারউইন এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিকদের কাছে আত্মা সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই।
প্রভুপাদ : তারা এই জায়গাতে ব্যর্থ হয়েছে।
শিষ্য : তারা বলছে নিম্নতর অবস্থা হতে বিবর্তিত হতে হতে উচ্চতর প্রজাতির অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছে। এই পৃথিবীর ইতিহাসে-
শ্রীল প্রভুপাদ : হয়তো এটি গ্রহণ করা যেতে পারে। একটি প্রাসাদের বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে ১ম শ্রেণির অ্যাপার্টমেন্ট, ২য় শ্রেণির অ্যাপার্টমেন্ট, ৩য় শ্রেণির অ্যাপার্টমেন্ট এখন তুমি তোমার ইচ্ছা ও গুণ অনুসারে যেভাবে তুমি যে অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া পরিশোধ করতে সমর্থ হবে তুমি সেই অ্যাপার্টমেন্টে বাস করার অনুমোদন প্রাপ্ত হবে। কিন্তু অন্যান্য বিকল্প অ্যাপার্টমেন্টগুলো ঐ প্রাসাদে বর্তমান থাকবে। তারা বিবর্তিত হবে না। শুধু তোমার বাসস্থানের পরিবর্তন ঘটবে তোমার ইচ্ছা ও গুণ অনুযায়ী কখনো ১ম শ্রেণির অ্যাপার্টমেন্টে, কখনো ২য় শ্রেণির অ্যাপার্টমেন্টে এভাবে তোমার বাসস্থান পরিবর্তন হতে থাকবে।
শিষ্য : তাদের ইচ্ছানুযায়ী?
প্রভুপাদ : হ্যাঁ। মৃত্যুর সময়কালীন আমাদের মানসিকতা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে কোন অ্যাপার্টমেন্টে বা কোনো দেহ আমি পেতে যাচ্ছি। কিন্তু এই অ্যাপার্টমেন্টে বা দেহ এই প্রকৃতিতে রয়েছে। এই রকম নয় যে, সেটি আমি সৃষ্টি করছি এই সেই অ্যাপার্টমেন্টের শ্রেণি সীমাবদ্ধ, ৮৪ লক্ষ। একজন হোটেল পরিচালকের মতো। সে আগত ও অপেক্ষমান গ্রাহকদের কীভাবে সুবিধাদি প্রদান করবে এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সে তার গ্রাহকদের সুবিধার্থে সকল ধরনের কক্ষ ও উপযোগের ব্যবস্থা করে, যাতে বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহক তার ইচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী তা উপভোগ করতে পারে। ভগবানের সৃষ্টিও একই রকম। তিনি জানেন এই জড় জগতে জীবসত্তা কতটুকু চিন্তা করতে পারে। তাই তিনি সকল প্রকারের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি সৃষ্টি করেছেন। যখন ঈশ্বর চিন্তা করেন ‘এস, এখানে এস’ তখন প্রকৃতি কাজ শুরু করে ‘প্রকৃতে ক্রিয়মানানি গুণৈ কর্মানি’ (ভগবদ্‌গীতা ৩.২৭) প্রকৃতি তখন সুবিধাসমূহ প্রদান করে। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকল জীবসত্তার হৃদয়ে পরমাত্মারূপে অবস্থান করছেন এবং তিনি জানেন যে ‘সে এটি চায় বা এটি প্রাপ্তির ইচ্ছা পোষণ করছে’ তখন ভগবান প্রকৃতিকে তার ইচ্ছাস্বরূপ উপযোগ দিতে নির্দেশনা দেন ‘তাকে এই অ্যাপার্টমেন্টটি দাও’ এবং প্রকৃতি তার নির্দেশনা মান্য করে। হ্যা, এস, এটিই তোমার অ্যাপার্টমেন্ট’ এটিই হচ্ছে সত্যিকার ব্যাখ্যা ।
শিষ্য : জ্ঞান বলছে লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বেও এই গ্রহে (মানব প্রজাতীসহ) নানা প্রাণি যৌগিক প্রাণ-কাঠামো বর্তমান ছিল।
শ্রীল প্রভুপাদ : হ্যাঁ, কারণ আমাদের বৈদিক জ্ঞান বলছে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে প্রথম সৃষ্টি হচ্ছে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি এবং এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বিনির্মাণের প্রকৌশলী ব্রহ্মা। তাহলে কীভাবে আমরা তোমার তত্ত্বটি গ্রহণ করব যে, একটি বিবর্তনের উন্নয়নে প্রজাতির বিকাশ ঘটেছে। আমরা আমাদের জ্ঞানটি ব্রহ্মার নিকট থেকে পেয়েছি যিনি যথাযথ ও পূর্ণ জ্ঞানসম্পন্ন। ড. ব্যাঙ একটি তিন থেকে চার ফুট কুয়ো নিরীক্ষণ করে যদি উত্তর দেয় যে, প্রশান্ত মহাসাগর একটি কুয়ো সদৃশ। তখন তার পরীক্ষণের সাথে বাস্তবতারতো বৃহৎ বৈসাদৃশ্য থাকবে। ড. ব্যাঙ কখনো আমাদেরকে প্রশান্ত মহাসাগর সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে না। কারণ তার জ্ঞান, শক্তি ও ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। কিন্তু আমরা তার থেকে প্রশান্ত মহাসাগর সম্পর্কে জেনেছি যে, এই প্রশান্ত মহাসাগর সৃষ্টি করেছে। তাই আমাদের জ্ঞান যথাযথ।
শিষ্য : কিন্তু তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ প্রমাণও তো অবশিষ্ট নেই।
প্রভুপাদ : আমাদের বুদ্ধিমত্তাই আমাদের প্রমাণ। কোনো হাড় নয়, কোনো পাথর নয়। আমরা এই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছি সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন গুরু পরম্পরার ভিত্তিতে। এটি শ্রুতির মাধ্যমে অর্থাৎ শ্রবণের মাধ্যমে। লক্ষ লক্ষ বছর আগে ব্যাসদেব এই জ্ঞান নারদ থেকে পেয়েছিলেন । নারদ পেয়েছিলেন ব্রহ্মা হতে। লক্ষ, কোটি বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু এটি ব্রহ্মার একদিনেরও সমান নয়। তাই লক্ষ লক্ষ বছর পার হওয়াটা আমাদের বিস্মিত করে না। কিন্তু ব্রহ্মা শ্রীকৃষ্ণ হতেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কিত বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন জ্ঞান তার জন্মদিন হতেই প্রাপ্ত হওয়া শুরু করেছিলেন। ব্রহ্মাই হচ্ছেন প্রথম যিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন এবং তার সেই জ্ঞান বৈদিক সাহিত্য আকারে আমাদের নিকট এসেছে। তাই আমরা বেদ হতে এই ধরনের বুদ্ধিভিত্তিক তথ্য প্রাপ্ত হয়েছি। কিন্তু তথাকথিত বিজ্ঞানী ও দার্শনিকেরা যারা এই অপ্রাকৃত জ্ঞান গ্রহণের পন্থা গ্রহণ করছে না, যারা এভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হতে তাদের জ্ঞান গ্রহণ করেনি তাদের জ্ঞান যথাযথ নয় সেটি তাদের সীমাবদ্ধ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা যেরকম গবেষণাই করুক না কেন। তারা যাই বলুক না কেন, আমরা এটিকে অপূর্ণ বলেই গ্রহণ করব।
আমাদের পদ্ধতি তাদের থেকে ভিন্ন, তারা কতগুলি মৃত হাড় নিয়ে নাড়াচাড়া করছে মাত্র। আমরা সেই উন্নততর মস্তিষ্কের অন্বেষণ করছি। এই বিষয়ের উপর জোর দেয়া উচিত। তারা মৃত হাড় নিয়ে ব্যস্ত আমরা ছুটছি উন্নততর মস্তিষ্কের পেছনে। সুতরাং কোনটি বিবেচনা করা সর্বোত্তম?

প্রকৃতপক্ষে ডারউইনের সময় ও পরবর্তী সময়েও বিজ্ঞানীদের প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নির্দেশ করেছিল যে, লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বেও মানুষের অস্তিত্ব ছিল। ডারউইনের স্বপক্ষের অনেক বিবর্তনবাদীও এটি স্বীকার করেছিলেন। যাই হোক উক্ত প্রমাণাদি বিবর্তনতত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক বিধায় অধিকাংশ বিবর্তনবাদী ডারউইনিস্ট তাদের প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে এই প্রমাণগুলো এড়িয়ে যেতেন। যাই হোক, বর্তমানে লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বের মানব কাঠামোর হাড়, কংকাল, খুলিসহ বহু প্রমাণাদি আবিষ্কৃত হচ্ছে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন ড. মাইকেল ক্রেমো ও ড. রিচার্ড থম্পসমের গ্রন্থ ‘Forbidden Archaeology’.

 

জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৩ ব্যাক টু গডহেড 

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।