এই পোস্টটি 546 বার দেখা হয়েছে
‘মৃত্যুকালে মানুষ অবশ্যই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, কারণ তার শারীরিক প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়ে যায়। সারাজীবন ধরে যে মানুষ ভগবানের পবিত্র নাম জপের অভ্যাস করে এসেছে, সে-ও সেই সময়ে খুব স্পষ্টভাবে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করতে না-ও পারে। তাহলেও সে আজীবন পবিত্র নাম জপের সমস্ত সুকৃতি ফল উপভোগ করে থাকে। তাই, শরীর যতক্ষণ ভাল থাকে, তখন কেন আমরা ভগবানের পবিত্র নাম উচ্চস্বরে আর স্পষ্টভাবে জপ করতে থাকব না? ভগবানের পবিত্র নাম সবসময়ে যিনি জপ করতে থাকেন, তাঁর নিজ আলয়ে, ভগবদ্ধামে ফিরে যাওয়া সুনিশ্চত হয়।’
-শ্রীমদ্ভাগবত ৬/২/৪৮ তাৎপর্য
তেজোদ্দীপ্ত জপ করতে হলে, জোরে জোরে উচ্চারণ করে জপ করা চাই; তাতে শক্তিলাভ হয়। জপ করার সময়ে যদি উচ্চারণ আর শব্দবিন্যাসে, একটু বেশি শক্তি দেওয়া যায়, তাহলে অতি সহজেই অসংলগ্ন মনটাকে বশে রাখা যায়।
কৃষ্ণভাবনা অনুসরণে অন্ততঃ ষোল মালা জপ চর্চায় যদি আমরা লেগে থাকতে পারি, তাহলে ভক্তিসেবা অনুশীলনের সেই পরিপূর্ণতার মাধ্যমে আমরা আর তেমনভাবে কিছুতেই বিচলিত হবো না। ফলে, এমন অবস্থায় কখনও পড়ব না যে, সবরকম ভক্তিচর্চা আর সারাদিন ষোলমালা জপ ইত্যাদি সব বন্ধ করে দিতে হবে।
‘নীরবেই জপ করতে হবে তেমন কোন কথা নেই। নীরবেই করো বা জোরেই করো, সবই ঠিক। কোনও বিধিনিষেধ নেই। শুধু একটি বিষয়ে আমাদের মন দিতে হবে যেন খুব মনোযোগ সহাকারে জপ করা হয়, আর পরিষ্কারভাবে উচ্চারিত ধ্বনিতরঙ্গ বেশ শোন যায়।’
৮ মার্চ, ১৯৬৯ তারিখে শ্রীল প্রভুপাদের চিঠি থেকে – শ্রীমৎ সৎস্বরূপ গোস্বামী
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ, জানুয়ারি ২০২0 সংখ্যা