এই পোস্টটি 534 বার দেখা হয়েছে
(৩/২/২৩), উদ্ধব বর্ণনা করেছেন পুতনার বিস্ময়কর কৃপার কথা।
“আহা! দুষ্টা পুতনা রাক্ষসী শ্রীকৃষ্ণের প্রাণ সংহার করার উদ্দেশ্যে কালকূট মিশ্রিত স্তন পান করিয়েও ধাত্রীর যোগ্য গতি লাভ করেছিল। তাঁর থেকে দয়ালু আর কে আছে যে, আমি তার শরণাপন্ন হব?”
এই শ্লোকের তাৎপর্য করতে গিয়ে আমাদের আচার্যগণ বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করেছেন। বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর বলেছেন- “পুতনা গোলকে আম্বিকা ও কিলিম্বার মতোই ধাত্রীর মর্যাদা লাভ করেছেন, যারা কৃষ্ণকে স্তন্য পান করিয়েছিলেন। শুধুমাত্র ভক্তের মতো পোশাকে সজ্জ্বিত হয়েই পুতনা ভক্তের রতি লাভ করেছেন। পুতনা হল কৃষ্ণের এক বিশেষ গুণের দৃষ্টান্ত, তাঁর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হলেও তারা পরিশেষে মুক্তি ও ভগবদসেবা প্রাপ্ত হতে পারে।”
শ্রীল প্রভুপাদ লিখেছেন, “যেহেতু পুতনা স্নেহময়ী মাতার মতো শ্রীকৃষ্ণকে তার স্তনদান করেছিল, তাই শ্রীকৃষ্ণ তাকে মাতারূপে স্বীকার করেছিলেন। ভগবান জীবের অতি নগন্য গুণও অঙ্গীকার করে তাকে সর্বোচ্চ পুরস্কারে পুরস্কৃত করেন। এইটিই হচ্ছে তাঁর মহিমা। তাই, ভগবান ছাড়া আর কে চরম আশ্রয় হতে পারে?”