এই পোস্টটি 209 বার দেখা হয়েছে
![কেনিয়ার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা](https://csbtg.org/wp-content/uploads/2021/11/Residents-of-the-Hare-Krishna-Training-Centre-pre-pandemic-e1635858439848.jpg)
মাধব স্মুলেন: গেইনেস ডিল্লের কৃষ্ণ হাউসের একই আদর্শে নির্মিত কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবী হরেকৃষ্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (এইচকেটিসি) স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন শিক্ষার্থী তাদের পারমার্থিক জীবনের উন্নতির জন্য বর্তমানে কেন্দ্রটিতে বসবাস করছেন। এদিকে ১০ থেকে ১৫ জনের প্রত্যেকে নিকটবর্তী এলভোরেট ও জুজার স্যাটেলাইট কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছেন এ ছাড়া আরো অনেকে নিয়মিতভাবে সেন্টারের দৈনন্দিন কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করছেন। এই পর্যন্ত (এইচকেটিসি) প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী কৃষ্ণভাবনামৃতে যুক্ত করে এবং শ্রীল প্রভুপাদের শিক্ষার আলোকে চরিত্র গঠনে সহায়তা করে, যা তাদের পিতা-মাতা ও সরকার, যা ইস্কন একটি শিক্ষামূলক আন্দোলনের স্বীকৃতি দেয়। উভয়ের দ্বারাই প্রশংসিত হয়েছে। কেনিয়াতে এরকম আরো অনেক হরেকৃষ্ণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তাদেরকে কৃষ্ণভাবনামৃতের স্বাদ ও একই সাথে আশ্রম জীবনের অভিজ্ঞতা প্রদানের ইচ্ছায়, ২০১৫ সালে গোবিন্দ প্রেম দাস ইস্কন মন্দিরে ৩ মিনিটের দূরত্বে নাইরোবী (এইচকেটিসি) স্থাপন করেন। শীঘ্রই অনেক স্থানীয় শিক্ষার্থীরা কৃষ্ণভক্তে পরিণত হল। প্রথম কেন্দ্রের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, ২০২০ সালে নাইরোবী থেকে ১ ঘন্টার দূরত্বে জুড্যা শহরে দ্বিতয়ি কেন্দ্র স্থাপিত হয়। ২০২১ সালের জানুয়অরীতে এলডোরেটে, শ্রীল প্রভুপাদ কেনিয়া ভ্রমণের সময় এই শহরে যান, তৃতীয় কেন্দ্র স্থাপিত হয়। এই তিনটি কেন্দ্রই প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খুব নিকটেই অবস্থিত। এইচকেটিসি-তে স্থানান্তরের পূর্বে, শুরুতে শিক্ষার্থীদের চার মাসব্যাপী “সরল জীবন উন্নততর চিন্তাধারা” নামক সাপ্তাহিক ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়। এটি তাদের চরিত্র গঠন, সুখী আধ্যাত্মিক জীবন গঠনের প্রশিক্ষণ দেয়।
গোবিন্দ প্রেম প্রভু জানান “বছর শেষে তাদের কোর্স সম্পাদনের জন্য সনদপত্র দেয়া হয়। যেখানে উল্লেখ থাকে যে, তারা চরিত্র ঘঠনের প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হয়েছে।” “যেহেতু ইস্কন একটি বিখ্যাত শিক্ষামূলক সংগঠন। এটি তাদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল আরো ভারী করে।
গোবিন্দ প্রেম দাস বলেন, “অনেক মা-বাবা এখানে সরকারী কর্মকর্তা এবং তারা এ সমস্ত উদ্যোগে বেশ সারা দেয়। সরকারও এ আন্দোলনকে একটি শিক্ষামূলক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করে যেটি যুব সমাজকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে অর্থাৎ ২০২২ সালে মোম্বাসাতে আরো একটি হরে কৃষ্ণ ট্রেইনিং সেন্টার চালু করার করার পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য শ্রীল প্রভুপাদ মোম্বাসাতেও কিছু দিন প্রচার করেছিলেন।
চৈতন্য সন্দেশ নভেম্বর-২০২১প্রকাশিত