এই পৃথিবী কি পূর্বে ভারতবর্ষ ছিল??

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪ | ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ | ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 52 বার দেখা হয়েছে

এই পৃথিবী কি পূর্বে ভারতবর্ষ ছিল??

কখনো কি প্রশ্ন জাগে না, যে বিচিত্র রকমের স্থান বা দেশ কেন হল। কেনই বা প্রতিটি দেশ ইউরোপ আফ্রিকার মত প্রাচুর্যময় নয়। কোথাও সমৃদ্ধশালী, কোথাও কোন প্রাচুর্যের ছোঁয়া নেই। এর পেছনে কী বা কারণ থাকতে পারে? আরও একটা প্রশ্ন থাকতে পারে তা হল এ সমস্ত বিচিত্র দেশের নামকরণ নিয়ে। তাই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বৈদিক শাস্ত্র থেকে এর সঠিক রহস্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। বৈদিক শাস্ত্র মতে এক সময় সমগ্র পৃথিবীকেই ইলাবৃত বর্ষ বা ভারতবর্ষ নামে ডাকা হত। এই পৃথিবীর শাসনভারের দায়িত্ব ছিল ইতিহাস বিখ্যাত বহু রাজাদের হাতে। এক সময় ধীরে ধীরে সেই ভারতবর্ষ ভেঙে গড়ে সাতটি পৃথক মহাদেশ এবং বহু দেশ। মূলত, ককেশাস নামক স্থানকে বলা হয় শ্বেত মানবদের উৎপত্তি উৎস হিসেবে। বর্তমান বিশ্বের পশ্চিমা জগতের যেসব সাদা লোকদের দেখতে পাওয়া যায় তাদর উত্তরসূরীদের বসতি ছিল এই ককেশাস (coucasus) নামক স্থানে। জিউস, মোসলেম এবং খ্রিষ্টানদের মতে এ স্থানেই ছিল স্বর্গের উদ্যান এটি হল আব্রাহামের বসতভূমি। যেটিকে ইন্দো ইউরোপীয়ান ককেশিয়ানদের পিতৃভূমি হিসেবে মনে করা হয়। তৈত্তিরীয় (Taythiriya) উপনিষদে এ বিষয়ে বলা হয়েছে। ব্রহ্মার পুত্র মরিচীর পুত্র ছিল কশ্যপ মুনি। ১২০ মিলিয়ন বছর পূর্বে কশ্যপ মুনি  ইন্দো-ইউরোপীয়ানদের পিতা হয়েছিলেন। এ সমস্ত ইন্দো ইউরোপীয়ানদের কিছু পৃথিবীর পশ্চিমে গেল আর কিছু গেল পূর্বে। কশ্যপ মুনি স্বয়ং ক্যাসপিয়ান সাগরের নিকটে ধ্যান মগ্ন হয়েছিল। যার বর্তমান নামকরণ অর্থাৎ ক্যাসপিয়ান সাগর ঐ কশ্যপ মুনির নামেই নামকরণকৃত। সূর্যদেব বিবস্বান ছিলেন কশ্যপ মুনির পুত্র যার স্ত্রী ছিলেন অদিতি। সূর্যদেবের অস্থিত্ব যে পশ্চিমা দেশেও ছিল তার প্রমাণ এখন পৃথিবীর অনেক স্থানে সূর্যদেবতাকে পূজার প্রচলন। কশ্যপ মুনি এবং দিতি থেকে সৃষ্ট দৈত্যরা তখন ইউরোপ জুড়ে বিস্তার লাভ করেছিল। বর্তমানের টাইটানস (Titans) এবং টিউটনস (Teutons) ডাচ এবং ডিউটস্চল্যান্ড (Deutschland) এ নামগুলো দেয়া হয়েছে ‘দৈত্য’ শব্দ থেকে। এ থেকে দৈত্যদের অবস্থান যে একসময় ছিল তার প্রমাণ মেলে। ব্রক্ষ্মার আরেক পুত্র অত্রি থেকে সোম বা চন্দ্র হয়। চন্দ্রের পুত্র বুদ্ধের পুত্র ছিল পুরুরভ। এভাবে বংশানুক্রমে আয়ু নহুম এবং পরে যথাতির জন্ম হয়। যথাতির পাঁচ সন্তান ছিল। ‘যদু’ থেকে বেড়ে উঠে যদুবংশ যেখানে কৃষ্ণবলরাম আবির্ভূত হয় এবং পুরু থেকে বেড়ে উঠে পুরুবংশ যারা হলো ভীষ্ম, ধৃতরাষ্ট্র, অর্জুন, যুধিষ্টির, ভীম, দূর্যোধন এবং মহারাজ পরিক্ষিত জন্ম নেয়। পুরু তখন বর্তমান মিশর স্থানটি পেয়েছিলেন তার রাজ্যের শাসনভার হিসেবে। পুরুর পুত্র ছিল প্রভির এবং প্রভিরের পুত্র ছিল মানষ্যু (Manasuya) যাকে মেনেস নামে ডাকা হত। যিনি পশ্চিমা ইতিহাসবিদদের মতে মিশরের প্রথম বংশের প্রতিষ্ঠাতা। পুরুর বংশ এভাবে ফারাও রাজা পর্যন্ত অতিবাহিত হয়েছিল। মিশরকে অজপতি নামে নামকরণ করা হয়। এই অজ জাতের পুত্র ছিল অজপতি। অপরদিকে অজ ছিল ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের পিতামহ রামচন্দ্র আবির্ভূত হয়েছিল সূর্যবংশে, সূর্যদেবের আরেক নাম রবি। ‘র’ তখন মিশরে সূর্য বংশের একটি শাখার অন্তর্গত ছিলেন। সেখানকার রাজা হলেন রামেস। যেটি রাম-ইস ভগবান রামচন্দ্র থেকেই নামকরণকৃত। পাণ্ডব পরিবারবর্গও একসময় মিশর এবং ইউরোপে এসেছিল যা এখন সাগরে নিমজ্জিত হয়। এভাবে পিরামিডের গায়ে বৈদিক সংস্কৃতির ছোঁয়া এখনও দেখতে পাওয়া যায় তার বিবরণ গত দু’সংখ্যায় তুলে ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা বর্তমানের ইসরাইলে গমন করে। যেটিকে বিশ্লেষন করলে দাঁড়ায় ইশ্বরাভলয় (ভূমি)’ তার অর্থ ইশ্বরের বাসস্থান। সুতরাং ইসরাইল ও তখন বৈদিক সংস্কৃতির সুরে নামকরণকৃত হয়েছিল। যযাতির তিনজন পুত্র বর্তমান ভারতেরবাইরে যে দুটি রাজ্য পেয়েছিল সেগুলো  হল তুর্কি এবং তুর্বসা। যবনরা পেয়েছিল তুর্কি এবং তুর্বাসা পেয়েছিল ফার্সিয়া ইত্যাদি। মহাভারত অনুসারে (আদিপর্ব ন ৮৫.৩৪) তুর্বাসা দুর্যোধনের হয়ে ■ কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছিল। অপরদিকে অনু পেয়েছিল গ্রীক এবং ইতালী। পরশুরামের বংশদূতরাও একসময় মিশরের রাজা ছিল। পরশুরাম ও যদু বংশজাত যাদের কিছু ইউরোপ এবং এশিয়াতেও এসেছিল। এর পরবর্তীতে বৈদিক সংস্কৃতির প্রধান নীতি বর্ণাশ্রম ধর্ম বিভিন্ন কারণে হারিয়ে য়ায়। মহাভারত (আদিপর্ব ১৭৪.৩৮) অনুসারে ভীম এবং সহদেব পুলিন্দ (গ্রীকদের) জয় করেছিল কেননা তারা ধর্ম পরিত্যাগ করেছিল এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে বর্তমান ক্ষেত্রেও সংস্কৃতির ব্যাবহারটাও অপরিসীম। বর্তমান ‘নরওয়ে’ দেশটির নাম সংস্কৃত শব্দ ‘নরক’ থেকে এসেছে। ‘সোভিয়েত’ এসেছে ‘শ্বেত’ থেকে। ‘রাশিয়া’ ‘ঋষি’ থেকে এসেছে। এভাবে সাইবেরিয়া’ শব্দ চি সংস্কৃত থেকে আগত। ‘স্ব্যান্দিনাভিয়া’ ‘ইতা থেকে এসেছে। যিনি দেবতাদের প্রচ্ছ কমান্ডার হিসেবে ছিলেন। (viking king) শব্দ দুটি এসেছে সিংহ থোর পশ্চিমা দেশগুলোতে যে বৈদিক সংস্কৃতি গোল বিদ্যমান ছিল তার প্রমাণ ইউরোপ ছাড়বে আবিষ্কৃত কৃষ্ণ, শিব, সূর্যদেব সহ আর বিভিন্ন মূর্তি। একসময় দেবতা একই অসুরদের সঙ্গে প্রায় বার বার যুদ্ধ হয়েছিল পরে ককেশাসের পূর্বদিক দেবতাদের এক পশ্চিম দিক অসুরদের দেয়। কিছু অসুর সেখানে অবস্থান করেছিল। ময়দানব  অসুরদের রাজা ছিলেন। তার স্থায়ী বসতি ছিল অলাতল লোক (ভূমণ্ডলের ১,০৮৮.০০০ কি.মি. দক্ষিণে) যেখানে ফ্লায়িং সসার নির্মিত হয়। ময়দানবের অনুসায়ী মগরা তাদের সেই বসতির স্থানকে ‘অমরক’ (Amaraka) নামে ডাকত। কেননা অসুররা প্রায়ই মনে করে মৃত্যু তাদের কিছুই করতে পারবে না। তাই তাদের মাতৃভূমিকে স্বর্গ মনে করত। আর এজন্যেই এই নাম পরবর্তীতে আমেরিগো  ভেসপুচ্চি (Amerigo vespucci) এটিকে বর্তমানে আমেরিকা নামে পুনস্থাপন  করে। এভাবে বংশগত দিক বিবেচনা করলে মান আমরা সবাই শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের গোত্রের  অন্তর্ভুক্ত। কেননা ব্রহ্মা উৎপত্তির উৎস তাই বলে। আর এই সমগ্র পৃথিবী যে একদম তে পুরোটাই ভারতবর্ষ ছিল তারও প্রমাণ খুব  সহজেই পাওয়া যায়। উপরোক্ত  গবেষণামূলক প্রতিবেদন থেকে অনেক গবেষকগণ স্বীকার করতে এখন আর দ্বিমত করে না। এসমস্ত প্রমাণাদি আরও একটি  বিষয় সাক্ষ্য দেয় যে, যেহেতু উপরোক্ত  ঘটনা সত্য তাতে কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই  সেহেতু  ভগবানের যে অস্থিত্ব ছিল তারও কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই । হরে কৃষ্ণ।

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।