অষ্ট্রেলিয়া যখন অস্ত্রালয়

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৮ | ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 907 বার দেখা হয়েছে

অষ্ট্রেলিয়া যখন অস্ত্রালয়

অস্ট্রেলিয়া থেকে অস্ত্রালয় মহাভারতের নায়ক অর্থাৎ পাণ্ডবদের সাথে অষ্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সে সময় শারিরীক শক্তি অর্জন সহ বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র পলানোর পারদর্শিতা ছিল অপরিহার্য বিষয় সে সময়কার অস্ত্রসস্ত্র সমূহ ছিল অত্যন্ত কার্যকরী, বিশেষত তীরগুলো প্রতিপক্ষের জন্য অনেক দুর্ভোগ নিয়ে আসতে পারত। এজন্যে কোন নিরাপদ স্থানে অস্ত্রশিক্ষা অনুশীলনের জন্য পাণ্ডবরা জনবসতিহীন বিশাল একটি নিরাপদ স্থানে গমন করেছিল। অষ্ট্রেলিয়া হল সেই স্থান যেখানে পাণ্ডবরা অস্ত্রশিক্ষা অনুশীলন করত।
এজন্যে ‘অস্ত্রালয়’ থেকে পরবর্তীতে বিবর্তনে মাধ্যমে স্থানটি এখন ‘অষ্ট্রেলিয়া’ নামে পরিচিত। যখন অনুশীলন সম্পন্ন হত এবং যৌদ্ধারা অত্যন্ত পারদর্শী হতেন তখন তাদের বলা হত সিদ্ধ বা দক্ষ। যেরকম বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় গ্র্যাজুয়েট ডক্টরেট উপাধি প্রচলিত হয়। পরবর্তীতে এ সমস্ত সিদ্ধদের পাঠানো হত ঐ মহাদেশেরই আরেকটি স্থানে বিষয়টি অনেকটা শিক্ষার্থীদের জুনিয়র বিদ্যালয় থেকে সিনিয়র স্কুলে পাঠানোর মত। যেহেতু ঐ স্থানটি সিদ্ধদের স্থান ছিল তাই অচিরেই সেই শহরটির নাম হয় ‘সিদ্ধ’। পরবর্তীতে তাও বিবর্তনের মাধ্যমে পরিণত হয় বর্তমান ‘সিডনি’ নামে যেটি অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান  একটি সুপরিচিত শহর।

যেহেতু  অর্জুন ছিলেন ‘দক্ষদের মধ্যে দক্ষ’ তাই তিনি আরেকটি স্থানে গমন করেন। যে স্থানে তিনি অস্ত্র শিক্ষার পর গমন করেন সেই স্থানটি তার আরেকনাম ‘পার্থ’ নামে নামকরন হয়। বর্তমানে ‘পার্থ’ (Perth) নামে পরিচিত।

অস্ট্রেলিয়াতে আরেকটি সুপরিচিত স্থান জিম্পি পিরামিড। এই  স্থানে অনেক প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গেছে যেগুলোর সঙ্গে ভারতীয় বিভিন্ন মূর্তির অদ্ভূত মিল রয়েছে। তাছাড়া ঐ পিরামিড সম্প্রতি তৈরি হয়েছে বলে কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যাও নেই। যাহোক, ভারতীয় মহাকাব্য অনুসারে ধারনা করা যায় জিম্পি দ্বীপ হল এমন একটি স্থান যেখানে প্রাচীন ভারতীয়রা নির্দিষ্ট কিছু পারমার্থিক কার্যাবলী সাধন করত। হরেকৃষ্ণ!

(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ আগষ্টে ২০১৮ সালে প্রকাশিত)

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।