এই পোস্টটি 376 বার দেখা হয়েছে
বিশাল আয়তনের পৃথিবীসহ মহাকাশের অন্যান্য গ্রহগুলো যে, কীভাবে শূন্যে ভাসছে তা এখনও সবার কাছে বিস্ময়কর! বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অনেক গবেষণা চালিয়ে যান। যারা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী তারা নিশ্চয় বহুল পঠিত পদার্থবিজ্ঞানের নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র সম্পর্কে অবগত থাকবেন ।
পদার্থবিজ্ঞান মতে মহাবিশ্বের বস্তুসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ বলা হয় । আইজ্যাক নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এটি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত। প্রাত্যহিক জীবনে মহাকর্ষ খুবই পরিচিত একটি জিনিস, কারণ এটি ভরসম্পন্ন যে কোনো বস্তুকে ওজন দান করে যার ফলে বস্তুটি ওপর থেকে ফেললে মাটিতে পড়ে। মহাকর্ষের কারণেই পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলি সূর্যের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের সাহায্যে মহাকর্ষকে ব্যাখ্যা করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে স্থান কালের বক্রতার জন্য মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয়। আইজ্যাক নিউটন ১৬৮৭ সালে তার Philosophia Naturails Principia Mathmatica বইটিতে মহাকর্ষ বিষয়ে ধারণা দেন। তার সূত্রটি ছিল “মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তুকণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক ও এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এ আকর্ষণ তাদের কেন্দ্র সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।” এ সূত্রানুসারে যদি দুটি বস্তুর ভর যথাক্রমে m1 ও m2 এবং মধ্যবর্তী দূরত্ব d হয় তবে F=Gm1m2/d2 যেখানে G হল সার্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক। এই হল নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্রের ব্যাখ্যা। তবে সবচেয়ে অবাকের বিষয় হল তাঁর সেই সূত্রটি ছিল নিতান্তই কাল্পনিক এবং কিছুটা ভ্রান্তিপূর্ণ । নিম্নে সেই বিষয়টি এখানে তুলে ধরেছেন প্রভুপাদের অন্যতম বিজ্ঞানী শিষ্য রিচার্ড এল থম্পসন (সদাপুত দাস)।
সূচনা : নিউটনের অভিকর্ষ তত্ত্ব গ্রহসমূহের গতি সম্পর্কিত অনেক ব্যাখ্যা প্রদান করে। পরিমাণগতভাবে তার এ তত্ত্ব অনেকটাই যথাযথ এবং মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ বা অন্য কোনো যান পাঠানোর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তা স্বীকার করেছেন। যেহেতু এ তত্ত্বটি গ্রহগুলোর গতি সম্বন্ধীয় তথ্য প্রদান করে। তাই অনেক লোকই হয়তো স্বীকার করবে যে, এটি অবশ্যই যথাযথ তথ্য প্রদান করবে। তাদের ধারণা এ তত্ত্বটির মাধ্যমে গ্রহগুলো গতির পেছনে কি রয়েছে তা বিশ্লেষণ করতে সমর্থ হবে।
যাহোক, এমনকি যদিও এই তত্ত্বটি অত্যন্ত সফলভাবে গৃহীত হয়েছে, কিন্তু তবুও এই তত্ত্বের মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সমস্ত সীমাবদ্ধতাসমূহ নিম্নে প্রদত্ত হল:
(১) এখনও পর্যন্ত নিউটনের হিউরিক তত্ত্ব মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ যেমন- ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটোর দীর্ঘকালীন আচরণ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেনি। একটি উপায়ে বিষয়টি নিরূপণ করা যায় সেটি হল অন্য কোনো গ্রহের অস্তিত্ব খুঁজে বের করা যেটি বা যে গ্রহসমূহ এই সমস্ত গ্রহসমূহের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। যাহোক তেমন গ্রহ এখনো অজানাই রয়েছে।
(২) একটি কাহিনি কথিত হয় যে, ফ্রান্স জ্যোতির্বিদ লেভেরিয়ের ইউরেনাসের কক্ষের অভিকর্ষীয় গাণিতিক বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে মহাকাশে তখনকার দিনে অজানা একটি গ্রহ নেপচুনের অবস্থান সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তখন বার্লিনের আরেকজন বিজ্ঞানী গলে তার টেলিস্কোপের মাধ্যমে একটি নির্দেশিত দিকে লেভেরিয়ের যেখানে গ্রহটি থাকতে পারে বলেছিলেন সেখানে গ্রহটির অনুসন্ধান পান। ফলশ্রুতিতে তখন আন্তর্জাতিকভাবে ঘটনাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ আবিষ্কারকে আরো শক্তিশালী করে যখন ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী জন অ্যাডামস্ স্বতন্ত্রভাবে গবেষণা করেন তখন তিনিও লেভিরিয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর মতো কাছাকাছি স্বীকারোক্তি দেন। কিন্তু পরবর্তী যে গবেষণাগুলো হয় তার মাধ্যমে উপরোক্ত ঘটনাগুলির ঠিক উল্টোটা প্রদর্শিত হয় যে, নেপচুন গ্রহটি আসলে কোনো গ্রহ নয় যেটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল । বিজ্ঞানী গলের আবিষ্কারটিকে একটি হাস্যকর দুর্ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। আরেকটি গ্রহ প্লুটো আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এরকম একটি ঘটনা জড়িত।
অথচ, নিউটনের মহাকর্ষীয় বা মাধ্যাকর্ষন তত্ত্বের গাণিতিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে নেপচুন ও প্লুটোর আবিষ্কারের সেই ভ্রান্ত কাহিনিগুলো এখনও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গ্রন্থে বা প্রবন্ধে প্রচলিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত সাহিত্যসমূহ পুরোপুরি বিশ্বস্থ নয় ।
(৩) ১৮৭০ সালে লেভেরিয়ের যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, মারকিউরি গ্রহের কক্ষপথের যে গরমিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা করা যাবে মারকিউরি ও সূর্যের মধ্যকার একটি গ্রহের অস্তিত্ব অনুসন্ধানের মাধ্যমে। সেরকম একটি গ্রহ তিনি খুঁজে বের করে তার নাম দেন ভালকান, যেটিকে নিয়ে পুনঃ পুনঃ গবেষণা করা হয়েছিল লেভিরিয়ের গবেষণার মাধ্যমে গ্রহটির কক্ষপথের গাণিতিক ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছিল । অথচ এখন আরো আধুনিক গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, এরকম কোনো গ্রহ আদৌ ছিল না। যে সমস্ত তথ্যমূলক গবেষণা লেভিরিয়ের দাঁড় করিয়েছিল তা ছিল সবই মোহময়। ৩
(৪) বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সাড়া জাগানো তত্ত্ব ছিল আইনস্টাইনের রিলেটেভিটি বা আপেক্ষিক তত্ত্ব, যেটি মারকিউরি গ্রহের কক্ষপথের গরমিল সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করে। যাহোক কেউ কেউ দাবি করে যে, নিউটনের অভিকর্ষ তত্ত্ব এটি ব্যাখ্যা করতে পারে, যদি সূর্যের আকার পর্যাপ্তভাবে কমলাকার হয় (obtate) হয়।
আবার কিছু বিজ্ঞানী তুলে ধরে যে, যদি এই তত্ত্বটি মারকিউরি গ্রহের কক্ষপথের মিল সম্পর্কে নির্ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে,তবে ভেনাস গ্রহের কক্ষপথের যে গরমিল রয়েছে তা আইনস্টাইনের তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে না।8
(৫) ১৯৪০ সালে নভেম্বর ১১-১২ তারিখ পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশী গবেষক মারকিউরি গ্রহের গতিবিধি সম্পর্কে গবেষণা করে। এর গতিবিধি বা ভ্রমণ শুরু হয় ৩৬ সেকেন্ড দেরীতে এবং অভিকর্ষের গাণিতিক ব্যাখ্যা অনুসারে যতক্ষণে প্রবেশ করা উচিত তার চেয়েও ১৮ সেকেন্ডের কম সময়ব্যাপী স্থায়ী ছিল । ৫
(৬) নিউটনের তত্ত্বানুসারে সমস্ত গ্রহগুলো তাদের কক্ষপথে একই দিকে ঘুরা উচিত যেভাবে তারা সূর্যের চারদিকে ঘোরে (ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে)। কিন্তু সাম্প্রতিক রাডার পরিমাপে দেখা গেছে যে, ভেনাস গ্রহটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘূর্ণায়মান এবং ভেনাস যখন পৃথিবীর কাছাকাছি আসে তখন এর এক পার্শ্ব সর্বদা পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকে। তবে এখানেও এটি লক্ষণীয় যে, প্রাক-রাডার পরিমাপে দেখা গিয়েছিল যে, ভেনাস ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরে ২৩ ঘন্টা অথবা ২২৫ দিন ব্যাপ্তিকালের মধ্যে। সাম্প্রতিক পরিমাপ পদ্ধতির মাধ্যমে এটিও প্রমাণিত হয় যে, ভেনাসের বায়ুমণ্ডল ৫ দিন ব্যাপী ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরে। ৬
(৭) চাঁদের কক্ষপথের গতির ছোট গরমিলসমূহ পরিলক্ষনের মহাকর্ষীয় ধ্রুবক ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। ৭
এভাবে আরো বেশ কিছু গড়মিল রয়েছে নিউটন প্রদত্ত অভিকর্ষের ব্যাখ্যার মধ্যে। উপরোক্ত তথ্যসমূহ প্রদর্শন করে যে, অভিকর্ষ সংক্রান্ত যে তত্ত্ব প্রচলিত আছে তা প্রকৃতির যে আসল কার্যকলাপ বা আচরণ তার থেকে কিছুটা ভিন্ন। পার্শ্বে সন্নিবেশিত উদাহরণসমূহ প্রদর্শন করে যে, কীভাবে মায়া বা মোহ এবং স্বেচ্ছাচারি ভাবনা বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন তত্ত্ব বা ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছে যা প্রকৃত সত্য থেকে ভিন্ন।
অভিকর্ষের কারণ সম্পর্কে পদার্থবিজ্ঞানে দীর্ঘদিন যাবৎ অনেক মত-পার্থক্য প্রচলিত রয়েছে। স্বয়ং বিজ্ঞানী নিউটন জোর দিয়ে বলেছেন যে, তার তত্ত্বটি শুধুমাত্র পরিলক্ষণজনিত সংখ্যাগত বর্ণনা। তিনি অভিকর্ষ সম্পর্কে বলেছিলেন, “একটি দূরত্বে নির্দিষ্ট কার্য” (action at distance) হিসেবে। তবে শূন্য স্থানে বলের অদ্ভুত ক্রিয়াজনিত যে ধারণা তা তার দিনে এবং বর্তমানেও নিউটন এবং অন্য বিজ্ঞানীদের জন্য রহস্যজনক। এভাবে ১৮ এবং ১৯ শতাব্দিতে পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে এই অভিকর্ষ সম্পর্কে নতুন কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর জন্য অনেক প্রচেষ্টা বা গবেষণা পরিচালনা করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত এ সব প্রচেষ্টার সবগুলোই ব্যর্থ হয়েছিল । ৮
বৈদিক শাস্ত্রানুসারে গ্রহগুলো বায়ুর মাধ্যমে ভাসমান, তবে এ বায়ু আমাদের পৃথিবীতে বিরাজমান বায়ু থেকে ভিন্ন। পৃথিবীর ওপরে মেঘ ও সাধারণ বিরাজিত বায়ুর ঠিক কিছু ওপর থেকে অন্তরীক্ষ বা মহাকাশের শুরু। আর মহাকাশে রয়েছে আরেক প্রকার বায়ু যার নাম ‘প্রবাহ’। এ প্রবাহ বায়ু গ্রহগুলোকে ভাসিয়ে নিচ্ছে এবং এ বায়ু পৃথিবীতে বিরাজমান বায়ুর থেকে অনেক ভিন্ন বৈশিষ্ঠ্যের।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব অভিকর্ষকে ব্যাখ্যা করে চতুমাত্রিক কাল-সময় এর বেঁকে যাওয়ার ঘটনা হিসেবে। যাহোক অবশেষে তত্ত্বটিও পদার্থবিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। তবে এখন নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে অভিকর্ষ, সম্পর্কিত একটি কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল তত্ত্ব। সূত্রায়িত করার জন্য যেহেতু এখনকার দিনে পদার্থবিজ্ঞানিদের জন্য কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে গ্রহণ করা হয়েছে সমস্ত পারমাণবিক অজানা রহস্য উদ্ঘাটনের ভিত্তিস্বরূপ। তাই অভিকর্ষ সম্পর্কে এমন তত্ত্বের প্রয়োজন যা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জন্য শক্তিশালী ভিত্তির সরবরাহ করবে। ইতোমধ্যে পদার্থবিজ্ঞানীরা অভিকর্ষ সম্পর্কিত কোয়ান্টাম তত্ত্ব গঠনের জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে। তবুও অভিকর্ষের প্রকৃতি সম্পর্কে উন্মুক্ত কিছু প্রশ্ন রয়েই গেল।
শ্রীল প্রভুপাদ এই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন যে, বৈদিক তত্ত্ব অনুসারে গ্রহসমূহ মহাকাশে ভাসছে বায়ুর সুদক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে। (শ্রীমদ্ভাগবত ৫/২৩/৩) তাৎপর্য)। তিনি প্রচলিত অভিকর্ষ ধারণাটিই প্রত্যাখ্যান করেছেন, যেটিকে তিনি কাল্পনিক তত্ত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
কিন্তু তিনি এও বলেছেন যে, গ্রহের ঘূর্ণনের গতির প্রকৃত কারণের মাধ্যমে দৃশ্যমান যে কার্যকলাপের সৃষ্টি হয় তাকে কেউ যদি চায় তবে অভিকর্ষ হিসেবে অভিহিত করতে পারে। যেহেতু অভিকর্ষের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই আমাদের কিছু বৈদিক তত্ত্ব এখানে তুলে ধরা উচিত।
প্রথমত, বৈদিক শাস্ত্রানুসারে গ্রহগুলো বায়ুর মাধ্যমে ভাসমান, তবে এ বায়ু আমাদের পৃথিবীতে বিরাজমান বায়ু থেকে ভিন্ন। পৃথিবীর ওপরে মেঘ ও সাধারণ বায়ুর ঠিক কিছু ওপর থেকে অন্তরীক্ষ বা মহাকাশের শুরু। আর মহাকাশে রয়েছে আরেক প্রকার বায়ু যার নাম ‘প্রবাহ’। এ প্রবাহ বায়ু গ্রহগুলোকে ভাসিয়ে নিচ্ছে এবং এ বায়ু পৃথিবীতে বিরাজমান বায়ুর থেকে অনেক ভিন্ন বৈশিষ্ঠ্যের সিদ্ধান্ত শিরোমনি অনুসারে এরকম সাতটি ভিন্ন ভিন্ন বায়ু হল : আবহ (বা আবহাওয়া), প্রবাহ, উদ্বাহ, সম্বাহ, সুবাহ, পরিবাহ এবং পরাবাহ । দ্বিতীয়ত, বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি যে, গ্রহমণ্ডলীয় পদ্ধতিসমূহ ভগবান বিষ্ণুর প্রকাশ অনন্ত শেষের মাধ্যমে পরিচালিত । এক্ষেত্রে যদি আমরা গ্রহগুলোর কার্যকলাপের পেছনে মূলত অনন্ত শেষই পরম কারণ হিসেবে ধরি তবে সেক্ষেত্রে এক দিক দিয়ে বায়ুর মাধ্যমে যে গ্রহগুলো ভাসছে সেটি গৌণ হয়ে যায়। এর মাধ্যমে অনন্ত শেষের মাধ্যমেই যে এক জাগতিক কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে তা প্রদর্শিত হয় ৷
অতএব, উপরোক্ত তথ্যসমূহের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, অভিকর্ষীয় তথ্যসমূহের যে ধারণা প্রচলিত রয়েছে তা এক ধরনের বিশেষ বায়ুর সূক্ষ্ম ও সুদক্ষ পরিচালনারই ফল।
সূত্র ১ : PL: Lowell, P., The Evolution of Worlds (New York: Macmillan, 1909) ২ : Dr: Rawlins, D., “The Mysterious Case of the Planet Pluto,” Sky and Telescope (March 1968), pp. 160-62.
৩, ৪, ৭ : CR1Corliss, W. R., Mysterious Universe (Glen Arm, Md: The Sourcebook Project, 1979)
৫, ৬ : CR2 Corliss, W. R., The Moon and the Planets (Glen Arm, Md: The ) Sourcebook Project, 1985)
৮ : RP: Jaki, S. The Relevance of Physics (Chicago: The Univ. of Chicago Press, 1970)
বিশিষ্ট বিজ্ঞানি রিচার্ড লেসলি থম্পসনের দীক্ষিত নাম সদাপুত দাস একজন আমেরিকান গণিতবিদ, লেখক এবং প্রভুপাদের অন্যতম প্রিয় শিষ্য। বৈদিক সৃষ্টিতত্ত্বের ওপর গবেষণায় সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখেন। এ বিষয়ে তাঁর অনেক বিখ্যাত গ্রন্থ রয়েছে, যা সারা বিশ্বে খ্যাতি লাভ করে। তিনি ভক্তিবেদান্ত ইনস্টিটিউটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য। ২০০৮ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি অপ্রকট হন।
ত্রৈমাসিক ব্যাক টু গডহেড, এপ্রিল – জুন ২০১৪